কুরআনুল কারিম আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নাজিলকৃত সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব। এর প্রতিটি সুরার মধ্যেই আছে অসংখ্য রহমত, হেদায়াত ও বরকত। বিশেষ করে কিছু সুরা ও সময়ের ফজিলত আল্লাহ তাআলা এবং রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। সুরা দোখান তাদের মধ্যে অন্যতম। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন হাদিসে সুরা দোখানের ফজিলত, বিশেষত জুমার রাতে এটি পাঠের গুরুত্বের কথা বলেছেন।
সুরা দোখান পাঠের মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ। مَنْ قَرَأَ حَم الدُّخَانَ فِي لَيْلَةِ الجُمُعَةِ أَوْ يَوْمِ الجُمُعَةِ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الجَنَّةِ যে ব্যক্তি জুমার রাতে বা জুমার দিনে সূরা দোখান পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন। (শুআবুল ইমান:২৭৯১)
সুরা দোখান পাঠকারীর জন্য ৭০,০০০ ফেরেশতা ক্ষমা প্রার্থনা করে। مَنْ قَرَأَ حَم الدُّخَانَ فِي لَيْلَةِ الجُمُعَةِ أَوْ يَوْمِ الجُمُعَةِ صَلَّتْ عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ، وَغُفِرَ لَهُ যে ব্যক্তি জুমার রাতে বা জুমার দিনে সুরা দোখান পাঠ করবে, ৭০,০০০ ফেরেশতা তার জন্য রহমত প্রার্থনা করবে, আর আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। (সুনানুত তিরমিজি:২৮৮৯)
কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি
مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الدُّخَانِ فِي لَيْلَةِ الجُمُعَةِ أَصْبَحَ مَغْفُورًا لَهُ، وَزُوِّجَ مِنْ الحُورِ العِينِ، وَغُفِيَتْ فَزَعَةُ القِيَامَةِ عَنْهُ যে ব্যক্তি জুমার রাতে সুরা দোখান পাঠ করবে, সে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে সকাল করবে, তাকে হুরদের সাথে বিয়ে দেওয়া হবে এবং কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করা হবে। (মুজামুল কাবির:৪২৭১)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
حم وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ হা-মিম। শপথ ঐ সুস্পষ্ট কিতাবের। নিশ্চয়ই আমি একে বরকতময় রাতে নাজিল করেছি।(সুরা দোখান:১-৩) মুফাসসিরগণ বলেন, এখানে বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদর বোঝানো হয়েছে। এ থেকেই সুরা দোখানের মর্যাদা বোঝা যায়।
সুরা দোখান পাঠ করা উত্তম সময়
জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার সুর্যাস্তের পর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত) অথবা জুমার দিনে। সর্বোত্তম সময়, বৃহস্পতিবার ইশার নামাজের পর থেকে তাহাজ্জুদের সময় পর্যন্ত।
সুরা দোখান পাঠ করা বিশেষ করে জুমার রাতে এক মহান আমল। কুরআন ও হাদিসের স্পষ্ট প্রমাণ থেকে আমরা বুঝতে পারি, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ, ফেরেশতাদের দুআ, গুনাহের মাফ এবং জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া যায়। আসুন, আমরা এ মহৎ আমলটিকে আমাদের নিয়মিত জীবনের অংশ বানাই এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন আমিন!
সুরা দোখান পাঠের মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ। مَنْ قَرَأَ حَم الدُّخَانَ فِي لَيْلَةِ الجُمُعَةِ أَوْ يَوْمِ الجُمُعَةِ بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الجَنَّةِ যে ব্যক্তি জুমার রাতে বা জুমার দিনে সূরা দোখান পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন। (শুআবুল ইমান:২৭৯১)
সুরা দোখান পাঠকারীর জন্য ৭০,০০০ ফেরেশতা ক্ষমা প্রার্থনা করে। مَنْ قَرَأَ حَم الدُّخَانَ فِي لَيْلَةِ الجُمُعَةِ أَوْ يَوْمِ الجُمُعَةِ صَلَّتْ عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ، وَغُفِرَ لَهُ যে ব্যক্তি জুমার রাতে বা জুমার দিনে সুরা দোখান পাঠ করবে, ৭০,০০০ ফেরেশতা তার জন্য রহমত প্রার্থনা করবে, আর আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। (সুনানুত তিরমিজি:২৮৮৯)
কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি
مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الدُّخَانِ فِي لَيْلَةِ الجُمُعَةِ أَصْبَحَ مَغْفُورًا لَهُ، وَزُوِّجَ مِنْ الحُورِ العِينِ، وَغُفِيَتْ فَزَعَةُ القِيَامَةِ عَنْهُ যে ব্যক্তি জুমার রাতে সুরা দোখান পাঠ করবে, সে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে সকাল করবে, তাকে হুরদের সাথে বিয়ে দেওয়া হবে এবং কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করা হবে। (মুজামুল কাবির:৪২৭১)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
حم وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ হা-মিম। শপথ ঐ সুস্পষ্ট কিতাবের। নিশ্চয়ই আমি একে বরকতময় রাতে নাজিল করেছি।(সুরা দোখান:১-৩) মুফাসসিরগণ বলেন, এখানে বরকতময় রাত বলতে লাইলাতুল কদর বোঝানো হয়েছে। এ থেকেই সুরা দোখানের মর্যাদা বোঝা যায়।
সুরা দোখান পাঠ করা উত্তম সময়
জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার সুর্যাস্তের পর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত) অথবা জুমার দিনে। সর্বোত্তম সময়, বৃহস্পতিবার ইশার নামাজের পর থেকে তাহাজ্জুদের সময় পর্যন্ত।
সুরা দোখান পাঠ করা বিশেষ করে জুমার রাতে এক মহান আমল। কুরআন ও হাদিসের স্পষ্ট প্রমাণ থেকে আমরা বুঝতে পারি, এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ, ফেরেশতাদের দুআ, গুনাহের মাফ এবং জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়া যায়। আসুন, আমরা এ মহৎ আমলটিকে আমাদের নিয়মিত জীবনের অংশ বানাই এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন আমিন!