ফুলবাড়ীতে আগাম আমন ধানের সস্তার কাঁচা খড়ে গবাদিপশুর বারো অবস্থা

আপলোড সময় : ২৩-১০-২০২৫ ০২:২৪:১০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-১০-২০২৫ ০২:২৪:১০ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী কাটাই মাড়াই শুরু হয়েছে আমাগ জাতের আমন ধানের। বাড়তি লাভের আশায় স্বল্প মেয়াদি এই আগাম জাতের আমন ধান চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে ওঠছেন কৃষক। আগাম জাতের এই আমন ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য হিসেবে বিক্রি করে ধানের উৎপাদন খরচ উঠে আসছে কৃষকের। এতে করে খামারী ও গবাদিপশু পালনকারীরা কম খরচে গো খাদ্যের চাহিদা মেটাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন চাষ মৌসুমে উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউনিয়নে ১৮ হাজার ১৪৮ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩ হাজার ২হেক্টর রয়েছে আগাম জাতের ধানের লক্ষ্যমাত্রা। আগাম জাতের মধ্যে হাইব্রিড ও উপসী জাতের তেজগোল্ড, ব্রি-৯০, বিনা-১৭, সম্পা কাটারী, জাপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ বিভিন্ন জাতের ধান রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলবাড়ী পৌরশহরের ফুলবাড়ী প্রেসক্লাব এলাকা, কলেজ রোড, নিমতলা মোড়সহ বেশি কিছু এলাকার সড়কের পাশে বিক্রির জন্য থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আগাম ধানের কাঁচা খড়ের আটি। সেখান থেকে স্বল্পমূল্যে এসব কাঁচা খড় কিনে নিয়ে খামারীসহ বাসাবাড়ীতে গবাদিপশু পালনকারি ব্যক্তিবিশেষ। এতে করে আগাম জাতের ধানের কাঁচা খড় বিক্রি করেই কৃষকদের ধানের উৎপাদন খরচ উঠে যাচ্ছে। ধানের সঙ্গে কাঁচা খড় বিক্রি করে বাড়তি আয়ের মুখ দেখছেন কৃষকরা। একই সঙ্গে আলুসহ অন্যান্য রবি ফসল চাষেরও খরচ কিছুটা হলেও এগিয়ে নিতে পারছেন।

এদিকে আগাম জাতের আমন ধান কাটাই মাড়াই শেষে এসব ধানের কাঁচা খড় সংগ্রহ রমরমা ব্যবসা করছে শহরের মৌসুমী খড় ব্যবসায়ীরা। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ভিড় জমাচ্ছেন কৃষকের ক্ষেত ও খোলানে। এতে করে কৃষকের সঙ্গে সঙ্গে এসব মৌসুমী খড় ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, আগাম ধানের পর আগাম আলু চাষ করলে তার দামও ভালো পাওয়া যায়। ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ জমিগুলোতে আগাম জাতের আমন ধান লাগিয়েছিলেন। ধান কাটা ও মাড়াই শেষে কাঁচা খড়গুলো বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছেন। এখন একই জমিতে আগাম আলু চাষ করবেন।

পৌরশহরের ফুলবাড়ী প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকার মৌসুমী খড় ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল, শফিকুল ইসলাম, আজগর আলী ও জবেদ আলী বলেন, বর্তমানে শুকনা এক পোণ (৮০টি খড়ের আঁটি) খড় বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এহিসেব অনুযায়ী প্রতিটি আঁটির দাম পড়ছে ১০ থেকে সাড়ে ১০ টাকা। একইভাবে কাঁচা খড় ২০ আঁটি (এক বোঝা) ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতিটি আঁটি খড়ের দাম পড়ছে সাড়ে তিন টাকা।

খড় কিনতে আসা আব্দুল বাতেন বলেন, বাড়ীতে ৩টি গরু রয়েছে। এ জন্য প্রতিদিন খড় প্রয়োজন হয়। বর্তমানে শুকনা খড়ের দাম বেশি হওয়ায় কাঁচা খড় দিয়েই গরুর খাদ্য জোগান দিচ্ছেন।

আরেক ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে শুকনা খড়ের দাম আনেক বেশি। তাই খরচ বাচাতে তিনি কাঁচা খড় কিনছেন। শুকনা খড় কিনতে অন্তত ৩০০ টাকা লাগলেও এখন সেখানে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সারোয়ার হাসান বলেন, ধানের রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমনে বিভিন্ন কীটনাশক এবং সার প্রয়োগ করা হয়। যা গরুর শরীরের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এতে করে পেট ফোলা, পাতলা পায়খানা, রক্তে অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হওয়াসহ গরুর বিভিন্ন সমস্যা এমনি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সে কারণে গরুকে কাঁচা খড় খাওয়াতে হলে ধুয়ে শুকিয়ে খাওয়াতে হবে। তবে কীটনাশক বিহীন কাঁচা ঘাস ও খড় গরুর জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]