রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্ত ঘোষিত কুমিরের পুনরাবির্ভাব, এলাকাবাসীকে সতর্কতা জারি

আপলোড সময় : ২২-১০-২০২৫ ০৪:১৭:১৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২২-১০-২০২৫ ০৪:২৭:৩৪ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে বিলুপ্ত ঘোষিত রাজশাহীর পদ্মা নদীতে আবারও মিঠাপানির কুমিরের দেখা মিলেছে। নদীর ষাটবিঘা চরে সম্প্রতি একাধিক কুমির ঘোরাফেরা করতে দেখার পর জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসন এলাকাবাসীকে সতর্ক করেছে। রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ নদীতে গোসল, মাছ ধরা এবং ছোট নৌকা চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে যখন আলোকচিত্রী দম্পতি ইমরুল কায়েস ও উম্মে খাদিজা ইভা পদ্মার চরে পাখির ছবি তুলতে গিয়ে একটি প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ড্রোনের মাধ্যমে তোলা ফুটেজে দেখা যায়, কুমিরটি নদীর পাড়ে রোদ পোহাচ্ছে। এর আগে ষাটবিঘা চরের রাজু আহাম্মেদ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা গরু চরাতে গিয়ে প্রথম কুমিরটি দেখতে পান বলে জানা যায়। স্থানীয় জেলেরা আরও কয়েকটি ছোট কুমির দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন। ফলে নদীতে একাধিক কুমিরের উপস্থিতির সম্ভাবনাকে জোরালো করেছে।

এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাণিবিজ্ঞান সংস্থা (আইইউসিএন) ২০১৫ সালে মিঠাপানির কুমিরকে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল আইইউসিএন-এর মুখ্য গবেষক এ বি এম সারোয়ার আলম জানান, রাজশাহীর পদ্মায় দেখা পাওয়া কুমিরটি সম্ভবত ভারতের চাম্বুল নদ এলাকা থেকে এসেছে।

রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির নিশ্চিত করেছেন, একাধিক কুমির দেখার খবর পাওয়ার পর তারা জনগণকে সতর্ক করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা জনগণকে সতর্ক করছি যেন কেউ নদীতে গোসল বা মাছ ধরতে না যায় এবং কুমিরগুলোকে কোনোভাবে বিরক্ত না করে। বিভাগটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

লিফলেটে কুমিরকে জলজ বাস্তুতন্ত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে। কুমির দেখলে বিরক্ত না করা, নদীতে গোসল থেকে বিরত থাকা, শিশুদের নদীর ধারে যেতে না দেওয়া এবং ছোট নৌকা চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এছাড়া বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী কুমিরকে বিরক্ত করা, ধরা, হত্যা বা বিক্রি করা দÐনীয় অপরাধ, যার জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদÐ বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দÐের বিধান রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

এদিকে, কুমিরের আবির্ভাবে স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও প্রকৃতিপ্রেমীরা উচ্ছ্বসিত তারা চান কুমিরগুলো যেন নদীতে নিরাপদে থাকে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রজননের সুযোগ পায়। আলোকচিত্রী ইমরুল কায়েস বলেন, আমরা চাই কুমিরটি মুক্ত থাকুক। যাতে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা হয়। বন বিভাগের কর্মকর্তারা কুমিরটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করলেও সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সেটির আর দেখা পাননি।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]