
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: গ্রাম আদালত হলো সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সহজ ও কার্যকর মাধ্যম। গ্রামের মানুষ যেন ছোটখাটো বিরোধ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ না হয়ে নিজ এলাকাতেই ন্যায়বিচার পায়, সেই লক্ষ্যেই সরকার এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক মো. জাকিউল ইসলাম। ‘গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা জোরদার করতে স্থানীয় অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
মো. জাকিউল ইসলাম তার বক্তব্যে গ্রাম আদালতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, গ্রাম আদালত সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনো পর্যাপ্ত ধারণা নেই। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো জনগণকে এই কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা এবং ন্যায়বিচারের পথ সহজ করা। তিনি আরও বলেন, প্রচার-প্রচারণা বাড়লে মানুষ আদালতের আশ্রয় না নিয়ে গ্রাম আদালতেই ন্যায্য সমাধান পেতে উৎসাহিত হবে। এর ফলে তাদের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।
সভায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এই কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গ্রাম আদালত কার্যক্রম আরও গতিশীল ও টেকসই হবে, যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ছোটখাটো বিরোধ মীমাংসায় সহায়তা করবে। এর ফলে মামলার জট কমার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সামাজিক সম্প্রীতি আরও দৃঢ় হবে।
‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় এই সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মো. লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক এটিএম গোলাম মাহবুব, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক মনিরা খাতুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একে এম আনোয়ার হোসেন, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক নাফেয়ালা নাসরিন এবং জেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসের সিএ তরুণ কুমার প্রমুখ।