
জিন্সের প্যান্ট এ যুগে নিত্যদিনের সঙ্গী। তার ফিটিংয়ের নানা রকমফেরও আছে। ফ্যাশনের জন্য কেউ পরেন গায়ে সেঁটে বসে থাকা টাইট জিন্স। কেউ পরেন ঢলঢলে ব্যাগি জিন্স। কিন্তু এই ফ্যাশনের প্রভাব শুধু সাজগোজ পর্যন্ত সীমিত থাকলে কথা ছিল। দেখা যাচ্ছে, তা নয়। জিন্স পরিস্থিতি বিশেষে শরীর-স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন বা মূত্রনালির সংক্রমণের মতো জটিল রোগের কারণও হতে পারে জিন্সের ফিটিং।
এক গবেষণায় তেমনই দাবি। আমেরিকান জার্নাল অফ পাবলিক হেল্থ-এ প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সিন্থেটিক এবং শরীরের সঙ্গে আঁটসাঁট হয়ে থাকা জামাকাপড় ব্যাক্টেরিয়ার বেড়ে ওঠার আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। বিশেষ করে আঁটসাঁট প্যান্ট দীর্ঘ ক্ষণ পরে থাকলে এমন হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শরীরে ইকোলাই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে, যা ইউটিআই বা মূত্রনালির সংক্রমণের অন্যতম কারণ।
টাইট জিন্সের সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধির সম্পর্ক কী?
গবেষণাপত্রে এ ব্যাপারে সবিস্তার বলা হয়েছে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, মানবদেহের মূত্রনালি এমন ভাবে তৈরি, যা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে পারে। কিন্তু যদি কেউ টাইট জিন্স পরেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে তা পরে থাকেন তবে নানা সমস্যা তৈরি হতে থাকে। এক, মূত্রনালিতে যথাযথ বায়ু চলাচল হয় না। দুই, মূত্রনালির উপর চাপ পড়ে, সেখানে অনাবশ্যক আর্দ্রতা তৈরি হয়, যা ব্যাক্টেরিয়া বেড়ে ওঠার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে। এতে প্রস্রাবের ব্লাডার এবং ইউরেথ্রায় ব্যাক্টেরিয়া আরও বেশি করে জন্মায়। যা মূত্রনালির সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যদি কারও জিন্সে পলিয়েস্টার বা স্প্যান্ডেক্স মেশানো থাকে। ইদানীং অধিকাংশ স্ট্রেচেবল এবং স্কিন টাইট জিন্সেই স্প্যান্ডেক্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যাতে সেটি শরীরে আদল নিতে পারে সহজেই। কিন্তু তাতে সমস্যা বাড়ছে আরও। কারণ পলিয়েস্টার বা স্প্যান্ডেক্স তাপ ধরে রাখে। হাওয়া চলাচলে আরও বেশি বাধা দেয়। তাতে তলপেট, মূত্রাশয়ের সমস্যা আরও বাড়ে।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
টাইট জিন্স পরলে মহিলা এবং পুরূষ উভয়েরই ইউটিআইয়ের সমস্যা হতে পারে। তবে মহিলাদের সমস্যা তুলনায় একটু বেশি। কারণ, তাদের মূত্রনালির দৈর্ঘ্য পুরুষদের তুলনায় খাটো। মূত্রাশয় বা ব্লাডার থেকে এই মূত্রনালি বা ইউরেথ্রা মারফত মূত্র শরীরের বাইরে যায়। ফলে সহজেই বাইরে জমা ব্যাক্টেরিয়া পৌঁছে মূত্রনালির মাধ্যমে পৌঁছে যায় ব্লাডারে।
কী করবেন?
১। চিকিৎসকেরা বলছেন সবসময় সুতির অন্তর্বাস পরুন। এমন পোশাক পরুন যাতে সহজে হাওয়া চলাচল করতে পারে।
২। গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া থাকলে স্কিন টাইট জিন্স এড়িয়ে চলাই ভাল। পরলেও বেশি ক্ষণ পরা উচিত নয়।
৩। জল বেশি করে খান এবং শারীরিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
৪। শরীরচর্চা করার পরে বা সাঁতার কাটলে বা কোনও কারণে অতিরিক্ত ঘেমে গেলে ভিজে বা স্যাঁতসেঁতে পোশাক যত দ্রুত সম্ভব পাল্টে নিন।
এক গবেষণায় তেমনই দাবি। আমেরিকান জার্নাল অফ পাবলিক হেল্থ-এ প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সিন্থেটিক এবং শরীরের সঙ্গে আঁটসাঁট হয়ে থাকা জামাকাপড় ব্যাক্টেরিয়ার বেড়ে ওঠার আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। বিশেষ করে আঁটসাঁট প্যান্ট দীর্ঘ ক্ষণ পরে থাকলে এমন হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শরীরে ইকোলাই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে, যা ইউটিআই বা মূত্রনালির সংক্রমণের অন্যতম কারণ।
টাইট জিন্সের সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধির সম্পর্ক কী?
গবেষণাপত্রে এ ব্যাপারে সবিস্তার বলা হয়েছে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, মানবদেহের মূত্রনালি এমন ভাবে তৈরি, যা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে পারে। কিন্তু যদি কেউ টাইট জিন্স পরেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে তা পরে থাকেন তবে নানা সমস্যা তৈরি হতে থাকে। এক, মূত্রনালিতে যথাযথ বায়ু চলাচল হয় না। দুই, মূত্রনালির উপর চাপ পড়ে, সেখানে অনাবশ্যক আর্দ্রতা তৈরি হয়, যা ব্যাক্টেরিয়া বেড়ে ওঠার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে। এতে প্রস্রাবের ব্লাডার এবং ইউরেথ্রায় ব্যাক্টেরিয়া আরও বেশি করে জন্মায়। যা মূত্রনালির সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যদি কারও জিন্সে পলিয়েস্টার বা স্প্যান্ডেক্স মেশানো থাকে। ইদানীং অধিকাংশ স্ট্রেচেবল এবং স্কিন টাইট জিন্সেই স্প্যান্ডেক্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যাতে সেটি শরীরে আদল নিতে পারে সহজেই। কিন্তু তাতে সমস্যা বাড়ছে আরও। কারণ পলিয়েস্টার বা স্প্যান্ডেক্স তাপ ধরে রাখে। হাওয়া চলাচলে আরও বেশি বাধা দেয়। তাতে তলপেট, মূত্রাশয়ের সমস্যা আরও বাড়ে।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
টাইট জিন্স পরলে মহিলা এবং পুরূষ উভয়েরই ইউটিআইয়ের সমস্যা হতে পারে। তবে মহিলাদের সমস্যা তুলনায় একটু বেশি। কারণ, তাদের মূত্রনালির দৈর্ঘ্য পুরুষদের তুলনায় খাটো। মূত্রাশয় বা ব্লাডার থেকে এই মূত্রনালি বা ইউরেথ্রা মারফত মূত্র শরীরের বাইরে যায়। ফলে সহজেই বাইরে জমা ব্যাক্টেরিয়া পৌঁছে মূত্রনালির মাধ্যমে পৌঁছে যায় ব্লাডারে।
কী করবেন?
১। চিকিৎসকেরা বলছেন সবসময় সুতির অন্তর্বাস পরুন। এমন পোশাক পরুন যাতে সহজে হাওয়া চলাচল করতে পারে।
২। গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া থাকলে স্কিন টাইট জিন্স এড়িয়ে চলাই ভাল। পরলেও বেশি ক্ষণ পরা উচিত নয়।
৩। জল বেশি করে খান এবং শারীরিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
৪। শরীরচর্চা করার পরে বা সাঁতার কাটলে বা কোনও কারণে অতিরিক্ত ঘেমে গেলে ভিজে বা স্যাঁতসেঁতে পোশাক যত দ্রুত সম্ভব পাল্টে নিন।