
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর প্রশ্ন—আগে নামাজ পড়তাম না, তখন যেন জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। এখন নামাজে মনোযোগী হওয়ার পর জীবনে একের পর এক বিপদ দেখা দিচ্ছে। আল্লাহ কি আমার প্রতি অসন্তুষ্ট? নাকি তিনি আমার দোয়া কবুল করছেন না?
সম্প্রতি অনলাইন ইসলামী প্ল্যাটফর্ম ‘আবাউট ইসলাম’-এর প্রশ্নোত্তর বিভাগে এক তরুণীর এমন একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে। ছয় সদস্যের যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা ওই শিক্ষার্থী লিখেছেন—
আমি সবসময়ই একধরনের স্বচ্ছল জীবনে বড় হয়েছি। আমার বাবা-চাচা খুব ধর্মভীরু মানুষ। চাচা হজ, ওমরাহ দুটোই করেছেন। কিন্তু আমি তেমন নামাজি ছিলাম না। সম্প্রতি নামাজে মনোযোগী হয়েছি, অথচ এখন আমার জীবন যেন ওলটপালট হয়ে গেছে।
তিনি আরও লেখেন, আগে পরিশ্রম ছাড়াই ভালো রেজাল্ট পেতাম। মানসিক চাপও ছিল না। কিন্তু নামাজ শুরু করার পর ফলাফল খারাপ হচ্ছে, উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা, মনোবল, শান্তি—এমন ভালো জিনিসগুলোই চাই শুধু। তবু কিছুই ঠিক হচ্ছে না। মনে হয়, আল্লাহ আমার নামাজ পছন্দ করছেন না।
এই প্রশ্নের জবাবে ইসলামী পরামর্শক হান্না মরিস বলেন, এটা আসলে শয়তানের কুমন্ত্রণা। যখন কেউ ইমান ও আমলে উন্নতি করতে চায়, তখন শয়তান বিভিন্ন সন্দেহ তৈরি করে। সে চায় মানুষ ভাবুক—নামাজ না পড়াই ভালো ছিল, কারণ তখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। অথচ এটা এক ধরনের বড় পরীক্ষা।
হান্না বলেন, তুমি এখন নামাজে ফিরেছো—এটাই তোমার জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য। পৃথিবীর সাময়িক বিপর্যয় নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দুনিয়ার কষ্টই পরকালের সফলতার প্রস্তুতি। আল্লাহ যখন কোনো কিছু কেড়ে নেন, তখন তা হয়তো তোমার জন্য আরও ভালো কিছু প্রস্তুত করার ইঙ্গিত।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, যেমন ধরো, তোমার ফলাফল খারাপ হচ্ছে। হতে পারে, আল্লাহ তোমাকে অন্য কোনো পথে চালিত করতে চাইছেন, যেখানে তুমি আরও সফল হবে। আবার এটা হয়তো তোমার অধ্যবসায়ের পরীক্ষা। যেভাবেই হোক, বিশ্বাস রাখো— এখনই প্রতিফল দেখা না গেলেও তোমার দোয়া শোনা হচ্ছে।
শেষে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ধৈর্য ধরো, নামাজে অটল থাকো, আর শয়তানের কুমন্ত্রণাকে প্রশ্রয় দিও না। একসময় তুমি বুঝবে, এই কঠিন সময়টিই ছিল তোমার জন্য রহমতের দরজা।
হান্না মরিস তরুণীটির জন্য দোয়া করে বলেন, আল্লাহ যেন তোমার দুশ্চিন্তা দূর করেন, হৃদয়ে প্রশান্তি দান করেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে তোমার ধৈর্যের উত্তম প্রতিদান দেন। সূত্র: আবাউট ইসলাম
সম্প্রতি অনলাইন ইসলামী প্ল্যাটফর্ম ‘আবাউট ইসলাম’-এর প্রশ্নোত্তর বিভাগে এক তরুণীর এমন একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে। ছয় সদস্যের যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা ওই শিক্ষার্থী লিখেছেন—
আমি সবসময়ই একধরনের স্বচ্ছল জীবনে বড় হয়েছি। আমার বাবা-চাচা খুব ধর্মভীরু মানুষ। চাচা হজ, ওমরাহ দুটোই করেছেন। কিন্তু আমি তেমন নামাজি ছিলাম না। সম্প্রতি নামাজে মনোযোগী হয়েছি, অথচ এখন আমার জীবন যেন ওলটপালট হয়ে গেছে।
তিনি আরও লেখেন, আগে পরিশ্রম ছাড়াই ভালো রেজাল্ট পেতাম। মানসিক চাপও ছিল না। কিন্তু নামাজ শুরু করার পর ফলাফল খারাপ হচ্ছে, উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা, মনোবল, শান্তি—এমন ভালো জিনিসগুলোই চাই শুধু। তবু কিছুই ঠিক হচ্ছে না। মনে হয়, আল্লাহ আমার নামাজ পছন্দ করছেন না।
এই প্রশ্নের জবাবে ইসলামী পরামর্শক হান্না মরিস বলেন, এটা আসলে শয়তানের কুমন্ত্রণা। যখন কেউ ইমান ও আমলে উন্নতি করতে চায়, তখন শয়তান বিভিন্ন সন্দেহ তৈরি করে। সে চায় মানুষ ভাবুক—নামাজ না পড়াই ভালো ছিল, কারণ তখন সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। অথচ এটা এক ধরনের বড় পরীক্ষা।
হান্না বলেন, তুমি এখন নামাজে ফিরেছো—এটাই তোমার জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য। পৃথিবীর সাময়িক বিপর্যয় নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দুনিয়ার কষ্টই পরকালের সফলতার প্রস্তুতি। আল্লাহ যখন কোনো কিছু কেড়ে নেন, তখন তা হয়তো তোমার জন্য আরও ভালো কিছু প্রস্তুত করার ইঙ্গিত।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, যেমন ধরো, তোমার ফলাফল খারাপ হচ্ছে। হতে পারে, আল্লাহ তোমাকে অন্য কোনো পথে চালিত করতে চাইছেন, যেখানে তুমি আরও সফল হবে। আবার এটা হয়তো তোমার অধ্যবসায়ের পরীক্ষা। যেভাবেই হোক, বিশ্বাস রাখো— এখনই প্রতিফল দেখা না গেলেও তোমার দোয়া শোনা হচ্ছে।
শেষে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ধৈর্য ধরো, নামাজে অটল থাকো, আর শয়তানের কুমন্ত্রণাকে প্রশ্রয় দিও না। একসময় তুমি বুঝবে, এই কঠিন সময়টিই ছিল তোমার জন্য রহমতের দরজা।
হান্না মরিস তরুণীটির জন্য দোয়া করে বলেন, আল্লাহ যেন তোমার দুশ্চিন্তা দূর করেন, হৃদয়ে প্রশান্তি দান করেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে তোমার ধৈর্যের উত্তম প্রতিদান দেন। সূত্র: আবাউট ইসলাম