
রাজশাহীর ১৪টি পৌরসভার মধ্যে ১৩টিতেই নেই নির্ধারিত ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা বা ডাম্পিং স্টেশন। এর ফলে এসব পৌর এলাকার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে, ড্রেন, পুকুর কিংবা নদীতে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করছে, তেমনি অন্যদিকে বিভিন্ন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
জানা গেছে, নওহাটা পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে বারনই নদীতে। একই নদীতে বাগমারা ও তাহেরপুর পৌরসভা থেকেও বর্জ্য ফেলা হয়। দুর্গাপুর পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হয় হোজা নদীতে, আর গোদাগাড়ী পৌরসভা বর্জ্য ফেলে পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে। কাটাখালী পৌরসভার কঠিন বর্জ্য সিটি হাটের ভাগাড়ে ফেলা হলেও, বেশিরভাগ ময়লা কাটাখালী বাজার এলাকার ড্রেনে ফেলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করা হয়। সবচেয়ে উদ্বেগজনক চিত্র হলো বাঘা পৌরসভায়, যেখানে নির্ধারিত জায়গা থাকা সত্তে¡ও বর্জ্য ফেলা হয় শাহী মসজিদের পুকুরে।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম পুকুরে বর্জ্য ফেলার কারণে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ এবং চর্মরোগ ও ডায়েরিয়ার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন। তিনি খোলা জায়গায় ও ড্রেনে বর্জ্য ফেলার কারণে জলাবদ্ধতা এবং মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেন। স্কুুল শিক্ষিকা সাকিলা খাতুন বারনই নদীতে ফেলা বর্জ্যের কারণে অন্যান্য এলাকার পরিবেশ দূষণ এবং জীবাণু ছড়ানোর বিষয়ে উদ্বেগ জানান।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান চর্মরোগ, ডায়েরিয়া, হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্জ্য থেকে বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেনও পরিবেশগত সমস্যার কারণে রোগ ছড়ানোর এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কাটাখালী, তাহেরপুর, বাঘা ও গোদাগাড়ী পৌরসভায় প্রায় ৬ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প চলমান থাকলেও, জমি না পাওয়া, প্রশাসনিক জটিলতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় সেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। কোটি টাকায় কেনা ডাস্টবিন, ভ্যান, ভ্যাকুটাগসহ বিভিন্ন পরিবহন ও সরঞ্জাম ব্যবহারের সুযোগ না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার পথে। পৌরসভাগুলো প্রতিবছর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় করলেও, বাস্তব চিত্র ভিন্ন।#
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
জানা গেছে, নওহাটা পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে বারনই নদীতে। একই নদীতে বাগমারা ও তাহেরপুর পৌরসভা থেকেও বর্জ্য ফেলা হয়। দুর্গাপুর পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হয় হোজা নদীতে, আর গোদাগাড়ী পৌরসভা বর্জ্য ফেলে পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে। কাটাখালী পৌরসভার কঠিন বর্জ্য সিটি হাটের ভাগাড়ে ফেলা হলেও, বেশিরভাগ ময়লা কাটাখালী বাজার এলাকার ড্রেনে ফেলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করা হয়। সবচেয়ে উদ্বেগজনক চিত্র হলো বাঘা পৌরসভায়, যেখানে নির্ধারিত জায়গা থাকা সত্তে¡ও বর্জ্য ফেলা হয় শাহী মসজিদের পুকুরে।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম পুকুরে বর্জ্য ফেলার কারণে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ এবং চর্মরোগ ও ডায়েরিয়ার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন। তিনি খোলা জায়গায় ও ড্রেনে বর্জ্য ফেলার কারণে জলাবদ্ধতা এবং মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেন। স্কুুল শিক্ষিকা সাকিলা খাতুন বারনই নদীতে ফেলা বর্জ্যের কারণে অন্যান্য এলাকার পরিবেশ দূষণ এবং জীবাণু ছড়ানোর বিষয়ে উদ্বেগ জানান।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান চর্মরোগ, ডায়েরিয়া, হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্জ্য থেকে বায়ু দূষণের প্রধান কারণ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেনও পরিবেশগত সমস্যার কারণে রোগ ছড়ানোর এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কাটাখালী, তাহেরপুর, বাঘা ও গোদাগাড়ী পৌরসভায় প্রায় ৬ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প চলমান থাকলেও, জমি না পাওয়া, প্রশাসনিক জটিলতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় সেগুলোর বাস্তবায়ন হয়নি। কোটি টাকায় কেনা ডাস্টবিন, ভ্যান, ভ্যাকুটাগসহ বিভিন্ন পরিবহন ও সরঞ্জাম ব্যবহারের সুযোগ না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার পথে। পৌরসভাগুলো প্রতিবছর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় করলেও, বাস্তব চিত্র ভিন্ন।#