সিরাপ খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যু, নিরাপদ প্রমাণ করতে গিয়ে অজ্ঞান চিকিৎসকও!

আপলোড সময় : ০২-১০-২০২৫ ০৪:১৭:৩০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০২-১০-২০২৫ ০৪:১৭:৩০ অপরাহ্ন
ঠান্ডা ও কাশির চিকিৎসায় সিরাপ খেয়ে ২ শিশু মারা গেছে এবং ১০ জনেরও বেশি শিশু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর অভিযুক্ত সিরাপটি যে নিরাপদ, তা প্রমাণ করতে গিয়ে সেবন করার পর জ্ঞান হারিয়েছেন চিকিৎসকও
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যে। সরকারি সরবরাহকৃত কফ সিরাপ নিয়ে এমন কাণ্ড হওয়ায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বুধবার (১ অক্টোবর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনার শুরু গত সোমবার, যখন রাজস্থানের সিকার জেলার ৫ বছর বয়সী নিতিশ কফ ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে চিরানা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নেওয়া হয়। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সিরাপটি তাকে দেওয়া হয়।

রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে ওষুধ খাওয়ার পর মাঝরাতে একবার হেঁচকি তুললেও পরে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি। সকালে আর জেগে ওঠেনি সে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপর জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর একই সিরাপ খাওয়ার পর ২ বছর বয়সী সম্রাট জাতভ নামের আরেক শিশুও মারা গিয়েছিল।

সেসময় তার সঙ্গে সিরাপ খাওয়ার পর বমি করে জেগে উঠেছিল বোন ও চাচাতো ভাই। কিন্তু সম্রাটকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পরও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সম্রাটের দাদী বলেন, আমরা জানতামই না সিরাপটি এত ভয়ংকর হতে পারে। নিতিশের মৃত্যুর খবর না পেলে আমরা কখনও বুঝতেই পারতাম না যে সিরাপটাই এর কারণ।

বায়ানার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের ইনচার্জ ডা. তারাচন্দ যোগী একজন অভিভাবকের অভিযোগের পর নিজেই সিরাপ খেয়ে নিরাপদ প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি একজন অ্যাম্বুলেন্স চালককেও সিরাপটি দেন। পরে গাড়ি চালিয়ে বেরোলে পথে ঘুমঘুম ভাব অনুভব করে তিনি গাড়ি থামিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী রাজস্থান রাজ্য সরকারের জন্য কেইসন ফার্মা নামের একটি ওষুধ কোম্পানি যে কফ সিরাপ উৎপাদন করেছিল, তার ২২টি ব্যাচ ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]