
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, মূল ধারার সাংবাদিকের বাইরে অনেকেই আছে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংবাদিক পরিচয়ে অনেক সময় সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার এসব ভুয়া সাংবাদিকরা মূলধারার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তির অনেক ক্ষতি করছে।
ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য মূলধারার সাংবাদিকদের সচেতন থাকতে হবে এবং ভুয়া সাংবাদিকদের প্রতিরোধ করতে হবে।
ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য মূলধারার সাংবাদিকদের সচেতন থাকতে হবে এবং ভুয়া সাংবাদিকদের প্রতিরোধ করতে হবে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে রাজশাহী আঞ্চলিক তথ্য অফিস আয়োজিত ‘গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীষর্ক গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকে গুজবের উৎপত্তি হয়। এসব মিডিয়ায় এমনভাবে সংবাদ পরিবেশন করা হয় যেন মনে হয় এটা মূলধারার মিডিয়ার সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। রিউমার স্ক্যানারের মতো বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম এসব গুজব সনাক্ত করে কিন্তু গুজব সনাক্ত হওয়ার আগেই অনেক সময় ক্ষতি হয়ে যায়। এভাবে ভুল তথ্যের ফলে যে ক্ষতি হয় তা আর ফিরিয়ে আনা যায় না।
সংবাদ পত্রের গুরুত্বের কারণেই একে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে অভিহিত করা হয়-এমন মন্তব্য করে জেলা প্রশাসক বলেন, সিরাজগঞ্জের সাংবাদিকরা সবসময় মানুষের ইতিবাচক দিকগুলো সামনে নিয়ে আসছে। এসময় তিনি সতর্কতার সাথে সংবাদ পরিবেশনের আহŸান জানিয়ে আসন্ন পূজা উপলক্ষ্যে যাতে গুজবের ডালপালা ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
রাজশাহী আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেনঅতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গণপতি রায় এবং সিরাজগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আঞ্চলিক তথ্য অফিসের পক্ষ থেকে প্রতিপাদ্য বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করা হয়। পরে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজশাহী আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আতিকুর রহমান শাহ্।
সিরাজগঞ্জে কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।