
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দাওয়াইল-হলুদঘৈর মোল্লাপাড়া ব্রীজ এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে পাখি আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে মান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত পাখি আক্তার মান্দা উপজেলার ভারশোঁ গ্রামের লবির উদ্দীন সরদারের মেয়ে এবং দু' সন্তানের জননী। তার মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহ দানা বেঁধেছে, যার তীর গ্রাম্য মাতব্বর ও স্বামীর পরিবারের দিকে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহটির পরিচয় শনাক্ত করে। জানা যায়, মৃতদেহটি পাখি আক্তারের।
নিহতের বাবা ও স্থানীয় সূত্রমতে, প্রায় তিন মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে দাওয়াইল গ্রামের জিয়ারুলের ছেলে তাইজুল ইসলামের সাথে পাখি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাইজুলের পরিবার পাখিকে গৃহবধূ হিসেবে মেনে নিতে রাজি ছিল না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০-২৫ দিন আগে জনৈক গ্রাম্য মাতব্বরের নেতৃত্বে ১ লাখ টাকার মোহরানার স্থানে মাত্র ২০ হাজার টাকায় রফাদফা করে পাখিকে তালাক দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, মাতব্বর সে সময় পাখিকে এক প্রকার চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তালাক দিতে বাধ্য করেন এবং ২০ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা নিজের পকেটে রেখে ১৫ হাজার টাকা পাখিকে দেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মাতব্বরের কাছে থাকা ৫ হাজার টাকা আদায়ের জন্য পাখি প্রায়ই তার কাছে আসতেন। ঘটনার আগের রাতেও পাখিকে মাতব্বরের সাথে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এসব কারণে স্থানীয়দের সন্দেহের তীর মাতব্বরসহ নিহতের স্বামীর পরিবারের দিকে।
নিহত গৃহবধূ পাখি আক্তারের বাবা লবির উদ্দীন সরদার অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ের মৃত্যুর পেছনে গ্রাম্য মাতব্বর, মেয়ে জামাইয়ের পরিবার এবং আরও কয়েকজন জড়িত। তিনি জানান, কিছুদিন আগেও পাখির শাশুড়ি তাদের বাড়িতে এসে তার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর তার মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনাটি উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে মান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত পাখি আক্তার মান্দা উপজেলার ভারশোঁ গ্রামের লবির উদ্দীন সরদারের মেয়ে এবং দু' সন্তানের জননী। তার মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহ দানা বেঁধেছে, যার তীর গ্রাম্য মাতব্বর ও স্বামীর পরিবারের দিকে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহটির পরিচয় শনাক্ত করে। জানা যায়, মৃতদেহটি পাখি আক্তারের।
নিহতের বাবা ও স্থানীয় সূত্রমতে, প্রায় তিন মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে দাওয়াইল গ্রামের জিয়ারুলের ছেলে তাইজুল ইসলামের সাথে পাখি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাইজুলের পরিবার পাখিকে গৃহবধূ হিসেবে মেনে নিতে রাজি ছিল না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০-২৫ দিন আগে জনৈক গ্রাম্য মাতব্বরের নেতৃত্বে ১ লাখ টাকার মোহরানার স্থানে মাত্র ২০ হাজার টাকায় রফাদফা করে পাখিকে তালাক দেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, মাতব্বর সে সময় পাখিকে এক প্রকার চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তালাক দিতে বাধ্য করেন এবং ২০ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা নিজের পকেটে রেখে ১৫ হাজার টাকা পাখিকে দেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মাতব্বরের কাছে থাকা ৫ হাজার টাকা আদায়ের জন্য পাখি প্রায়ই তার কাছে আসতেন। ঘটনার আগের রাতেও পাখিকে মাতব্বরের সাথে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এসব কারণে স্থানীয়দের সন্দেহের তীর মাতব্বরসহ নিহতের স্বামীর পরিবারের দিকে।
নিহত গৃহবধূ পাখি আক্তারের বাবা লবির উদ্দীন সরদার অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ের মৃত্যুর পেছনে গ্রাম্য মাতব্বর, মেয়ে জামাইয়ের পরিবার এবং আরও কয়েকজন জড়িত। তিনি জানান, কিছুদিন আগেও পাখির শাশুড়ি তাদের বাড়িতে এসে তার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর তার মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তিনি এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনাটি উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।