
গত জুলাই মাসে রাজশাহীতে গণঅভুত্থান চলাকালীন সময়ে দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার এবং যুবলীগ কর্মী জহিরুল ইসলাম রুবেলের বিচার আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ধার্য তারিখে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গ্রেফতারের পর ডাবলু সরকারকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বগুড়া কারাগারে এবং রুবেলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে ২২ সেপ্টেম্বর তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান।
এদিকে, গত বছর জুলাই আন্দোলনে রাজশাহীতে সংঘটিত দুই হত্যা মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জুলাই আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থী শিবির নেতা আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাজশাহীর এই দুই ছাত্র হত্যা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুবলীগ কর্মী জহিরুল ইসলাম রুবেলসহ মোট ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোাপলিটন (আরএমপি) পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার (ডিসি) গাজিউর রহমান জানিয়েছেন, রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া ৯টি মামলার অভিযোগপত্র ইতোমধ্যে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থী আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম হত্যা মামলার অভিযোগপত্রও অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী আলী রায়হান হত্যা মামলায় ১২৭ জন এবং সাকিব আনজুম হত্যা মামলার চার্জশিটে ১১৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা ডাবলু সরকার ও যুবলীগ কর্মী রুবেল রয়েছেন। এছাড়াও আলী রায়হান হত্যা মামলার এজাহারের বাইরে তদন্তে প্রাপ্ত ৩২ জন এবং সাকিব আনজুম হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৫ জনসহ মোট ২৮ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে সম্প্রতি ডাবলু সরকার, রুবেল ও বাপ্পি চৌধুরী রনিসহ মোট ৫ জনকে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ আসে। রনি চৌধুরী জামিনে বেরিয়ে পলাতক থাকায় শুধুমাত্র ডাবলু সরকার ও রুবেলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলী আশরাফ মাসুম জানান, শিক্ষার্থী আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুবলীগ কর্মী জহিরুল ইসলাম রুবেল এবং আওয়ামী লীগ কর্মী বাপ্পি চৌধুরী রনিকে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশনা এসেছিল। তবে সাবেক মেয়র লিটন ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছেন এবং বাপ্পি রনি গ্রেফতারের পর জামিন নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে, গ্রেফতারকৃত ডাবলু সরকার ও রুবেলকে ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।
মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ছাত্র হত্যায় অভিযুক্ত আসামি ডাবলু সরকার ও জহিরুল ইসলাম রুবেলকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী ধার্য তারিখে তাদের আবারও হাজির করা হবে।
গ্রেফতারের পর ডাবলু সরকারকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বগুড়া কারাগারে এবং রুবেলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে ২২ সেপ্টেম্বর তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর সিনিয়র জেল সুপার শাহ আলম খান।
এদিকে, গত বছর জুলাই আন্দোলনে রাজশাহীতে সংঘটিত দুই হত্যা মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ও হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জুলাই আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থী শিবির নেতা আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাজশাহীর এই দুই ছাত্র হত্যা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুবলীগ কর্মী জহিরুল ইসলাম রুবেলসহ মোট ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোাপলিটন (আরএমপি) পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার (ডিসি) গাজিউর রহমান জানিয়েছেন, রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া ৯টি মামলার অভিযোগপত্র ইতোমধ্যে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থী আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম হত্যা মামলার অভিযোগপত্রও অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী আলী রায়হান হত্যা মামলায় ১২৭ জন এবং সাকিব আনজুম হত্যা মামলার চার্জশিটে ১১৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা ডাবলু সরকার ও যুবলীগ কর্মী রুবেল রয়েছেন। এছাড়াও আলী রায়হান হত্যা মামলার এজাহারের বাইরে তদন্তে প্রাপ্ত ৩২ জন এবং সাকিব আনজুম হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৫ জনসহ মোট ২৮ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে সম্প্রতি ডাবলু সরকার, রুবেল ও বাপ্পি চৌধুরী রনিসহ মোট ৫ জনকে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ আসে। রনি চৌধুরী জামিনে বেরিয়ে পলাতক থাকায় শুধুমাত্র ডাবলু সরকার ও রুবেলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলী আশরাফ মাসুম জানান, শিক্ষার্থী আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুবলীগ কর্মী জহিরুল ইসলাম রুবেল এবং আওয়ামী লীগ কর্মী বাপ্পি চৌধুরী রনিকে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশনা এসেছিল। তবে সাবেক মেয়র লিটন ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছেন এবং বাপ্পি রনি গ্রেফতারের পর জামিন নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে, গ্রেফতারকৃত ডাবলু সরকার ও রুবেলকে ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।
মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ছাত্র হত্যায় অভিযুক্ত আসামি ডাবলু সরকার ও জহিরুল ইসলাম রুবেলকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী ধার্য তারিখে তাদের আবারও হাজির করা হবে।