
ধূপকাঠির ধোঁয়া নীরবে আমাদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করছে বলে সতর্ক করছেন ফুসফুস বিশেষজ্ঞ সোনিয়া গোয়েল। অ্যাজমা, যক্ষ্মা, স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং সিওপিডি চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ এই পালমোনোলজিস্ট সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওর মাধ্যমে ধূপের ধোঁয়া এবং সেইও সংক্রান্ত বিপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন ধূপের ধোঁয়া শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে তার ক্ষতিকর প্রভাব ধূমপানের মতোই বিপজ্জনক হতে পারে।
ডা. গোয়েলের বক্তব্য অনুযায়ী, ধূপকাঠি জ্বালালে PM2.5 ক্ষুদ্র কণা, কার্বন মনোক্সাইড ও উদ্বায়ী অর্গানিক কম্পাউন্ডস (VOCs) নির্গত হয়। এগুলো ঘরের বাতাসকে দূষিত করে, যা সরাসরি ফুসফুসে প্রভাব ফেলে।
প্যাসিভ স্মোকিং-এর সমান ক্ষতি
তিনি সতর্ক করে বলেন, একটিমাত্র ধূপের ধোঁয়া থেকে যে পরিমাণ সূক্ষ্ম কণা তৈরি হয়, তা একটি সিগারেটের ধোঁয়ার সমান। অর্থাৎ, ধূপ জ্বালানো মানে পরোক্ষে ধূমপান বা প্যাসিভ স্মোকিং-এর মতোই ক্ষতি ডেকে আনা।
শিশু ও প্রবীণদের জন্য বেশি বিপদ
শিশু, বয়স্ক মানুষ, এবং যাদের ফুসফুস দুর্বল কিংবা অ্যাজমার মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ধূপের ধোঁয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। সামান্য পরিমাণও শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি বা দীর্ঘস্থায়ী কাশির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ডা. গোয়েল আরও বলেন, প্রতিদিন বন্ধ ঘরে ধূপ জ্বালালে দীর্ঘমেয়াদে ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, সিওপিডি এমনকী ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
কীভাবে ঝুঁকি কমাবেন?
তবে একেবারে ধূপকাঠির ব্যবহার ছাড়তে হবে, এমনটা কিন্তু নয়। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ—
ধূপ জ্বালালে সবসময় ঘরে ভাল বায়ু চলাচলের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। জানালা খোলা রাখতে হবে এবং ফ্যান চালাতে হবে।
ধোঁয়ার পরিমাণ কমাতে ধূপকাঠির ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে - এসেনশিয়াল অয়েল ডিফিউজার, ইলেকট্রিক প্রদীপ, কিংবা প্রাকৃতিক আলো।
কাশি বা হাঁপানির মতো উপসর্গকে হালকা ভাবে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডা. গোয়েলের মতে, “ধূপ জ্বালানো ভক্তির প্রতীক হতে পারে, কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতির মূল্যে নয়। সামান্য সচেতনতা জীবনকে অনেকটা নিরাপদ রাখতে পারে।”
ডা. গোয়েলের বক্তব্য অনুযায়ী, ধূপকাঠি জ্বালালে PM2.5 ক্ষুদ্র কণা, কার্বন মনোক্সাইড ও উদ্বায়ী অর্গানিক কম্পাউন্ডস (VOCs) নির্গত হয়। এগুলো ঘরের বাতাসকে দূষিত করে, যা সরাসরি ফুসফুসে প্রভাব ফেলে।
প্যাসিভ স্মোকিং-এর সমান ক্ষতি
তিনি সতর্ক করে বলেন, একটিমাত্র ধূপের ধোঁয়া থেকে যে পরিমাণ সূক্ষ্ম কণা তৈরি হয়, তা একটি সিগারেটের ধোঁয়ার সমান। অর্থাৎ, ধূপ জ্বালানো মানে পরোক্ষে ধূমপান বা প্যাসিভ স্মোকিং-এর মতোই ক্ষতি ডেকে আনা।
শিশু ও প্রবীণদের জন্য বেশি বিপদ
শিশু, বয়স্ক মানুষ, এবং যাদের ফুসফুস দুর্বল কিংবা অ্যাজমার মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁরা ধূপের ধোঁয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। সামান্য পরিমাণও শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি বা দীর্ঘস্থায়ী কাশির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ডা. গোয়েল আরও বলেন, প্রতিদিন বন্ধ ঘরে ধূপ জ্বালালে দীর্ঘমেয়াদে ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, সিওপিডি এমনকী ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
কীভাবে ঝুঁকি কমাবেন?
তবে একেবারে ধূপকাঠির ব্যবহার ছাড়তে হবে, এমনটা কিন্তু নয়। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ—
ধূপ জ্বালালে সবসময় ঘরে ভাল বায়ু চলাচলের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। জানালা খোলা রাখতে হবে এবং ফ্যান চালাতে হবে।
ধোঁয়ার পরিমাণ কমাতে ধূপকাঠির ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে - এসেনশিয়াল অয়েল ডিফিউজার, ইলেকট্রিক প্রদীপ, কিংবা প্রাকৃতিক আলো।
কাশি বা হাঁপানির মতো উপসর্গকে হালকা ভাবে না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডা. গোয়েলের মতে, “ধূপ জ্বালানো ভক্তির প্রতীক হতে পারে, কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতির মূল্যে নয়। সামান্য সচেতনতা জীবনকে অনেকটা নিরাপদ রাখতে পারে।”