
রাজশাহী মহানগরীতে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা এগারোটায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের(রাসিক) আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে রাসিকের টাইফয়েড টিকাদান প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেনবিভাগীয় কমিশনার ও রাসিকের প্রশাসক খোন্দকার আজিম আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ কর্মসূচি পালিত হবে। জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগরীতে আগামী ১২ অক্টোবর হতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ও কমিউনিটি পর্যায়ে ১ নভেম্বর হতে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি পর্যায়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১২৭ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, নগরীর ২৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ২৪০টি কেন্দ্রে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এসময় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি সকল শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। এই টিকা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য (১৭ ডিজিট) দিয়ে িি.িাধীবঢ়র.মড়া.নফ ওয়েব সাইটে নিবন্ধন করতে হবে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে রাসিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ক্যাম্পেইন বাংলাদেশে প্রথম নয়, পাকিস্তান ও নেপালে ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে। কেউ যদি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে না পারে তাহলে যে কোনো টিকা কেন্দ্রে জন্ম সনদ নিয়ে গেলে তার রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিয়ে দেওয়া হবে। যাদের টাইফয়েড আগে হয়েছে তারাও এ টিকা নিতে পারবে। অনুষ্ঠান শুরু পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ২৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনেবিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ সরকার অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন টিকা দিয়ে আসছে এবং তাতে সফলও হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এই টিকাগুলো সাদরে গ্রহণ করে। এই টিকার কোনো পাশর্^প্রতিক্রিয়া নাই।
এই টিকা কার্যক্রমের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি সকলের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবংটিকা কার্যক্রম নিয়ে যেন কেউ গুজব না ছড়ায় সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকারআহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, রাসিকের সচিব মোছা. রুমানা আফরোজ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রধান এ এইচ তৌফিক আহমেদ, আরএমপির বোয়ালিয়া থানার এডিসি এ.টি.এম মাইনুল ইসলামসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।