
ভারতীয় সিনেমায় রাধিকা আপ্তে এক ব্যতিক্রমী নাম। মূল ধারার বলিউড থেকে শুরু করে স্বাধীন সিনেমা কিংবা আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট— সর্বত্রই তিনি নিজের অভিনয়ের জোরে দর্শক ও সমালোচকদের মন জয় করেছেন। তবে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নামকে ঘিরে বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে— সিনেমায় নগ্নতা। রাধিকা নির্দ্বিধায় বারবার জানিয়েছেন, “যদি গল্পের প্রয়োজন হয়, নগ্নতা অশ্লীল নয়, বরং স্বাভাবিক।” কিন্তু ভারতীয় দর্শক সমাজে এই বিষয়টি এখনও অনেক সময়েই চর্চার বদলে কেবল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়।
রাধিকার কেরিয়ারের দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনি বারবার এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন যেখানে সামাজিক ট্যাবু ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। পার্চড কিংবা নেটফ্লিক্সের লাস্ট স্টোরিজ— প্রতিটি ছবিতেই তাঁর চরিত্র গাঢ় আবেগ, শারীরিকতা এবং বাস্তবতার সংমিশ্রণ রয়েছে। অনেক সময়ে নগ্ন দৃশ্যের কারণে তাঁকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠলেও আসলে এই চরিত্রগুলির মাধ্যমে সমাজে নারীর দমবন্ধ বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া মাইকেল উইন্টারবটম পরিচালিত আন্তর্জাতিক ছবি দ্য ওয়েডিং গেস্ট রাধিকা আপ্তের কেরিয়ারে এক বিশেষ অধ্যায় বলা চলে। ছবিতে তাঁর সহঅভিনেতা ছিলেন ব্রিটিশ-ভারতীয় অভিনেতা দেব পটেল। এখানে রাধিকা অভিনয় করেছিলেন সমীরা নামে এক তরুণীর চরিত্রে, যে জবরদস্তি বিয়ের বন্ধন থেকে পালিয়ে যায় এবং এক অচেনা যাত্রায় পা বাড়ায়।
এই ছবিতে রাধিকাকে একেবারে নতুন আঙ্গিকে দেখেছেন দর্শক। তাঁর চরিত্রের মধ্যে ছিল ভয়, উত্তেজনা, প্রেম ও বিশ্বাসঘাতকতার মিশ্রণ। সমীরার মানসিক দ্বন্দ্ব, স্বাধীনতার খোঁজ এবং দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা রাধিকা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিল ছবির একাধিক নগ্ন দৃশ্য।
ভারতে এই নগ্ন দৃশ্যগুলিকে ঘিরে সমালোচনা ও বিতর্ক তৈরি হলেও বিদেশি সমালোচকেরা একে দেখেছেন চরিত্রের বাস্তব রূপকল্প হিসেবে। সমীরার আবেগ ও শারীরিক ভঙ্গুরতাকে তুলে ধরার জন্য এই দৃশ্যগুলি অপরিহার্য ছিল বলে মনে করেন অনেক আন্তর্জাতিক সমালোচক। রাধিকা নিজেও বলেছেন, “যদি চরিত্রের সত্যকে প্রকাশ করতে হয়, তবে নগ্নতাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শিল্পকে সীমাবদ্ধ করে দেখলে সেটা আর শিল্প থাকে না।”
ভারতের দর্শক সমাজে যেখানে অনেক সময়েই নারীর দেহকে কেন্দ্র করে আলোচনার চেয়ে সমালোচনা বেশি হয়, সেখানে দ্য ওয়েডিং গেস্ট প্রমাণ করেছে— একই দৃশ্য বিদেশে প্রশংসিত হলেও দেশে বিতর্কের জন্ম দেয়। এই বৈপরীত্যই প্রশ্ন তোলে— ভারতীয় দর্শক কি এখনও নগ্নতাকে শিল্প হিসেবে গ্রহণ করার মানসিকতায় পৌঁছতে পারেনি?
রাধিকা আপ্তে বারবার জানিয়েছেন, তিনি নগ্নতাকে ‘ভাল-মন্দ’ কিংবা ‘শালীন-অশালীন’ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন না। তাঁর মতে, “মানবদেহ স্বাভাবিক, এবং শিল্পে তা দেখানো অশালীন নয়। বরং গল্পের প্রয়োজনে এটি বাস্তবতাকে আরও স্পষ্ট করে।” তিনি মনে করেন, ভারতীয় সিনেমা এখনও সেন্সরশিপ ও সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে পিছিয়ে রয়েছে। তাই তাঁর মতো অভিনেত্রীদের পদক্ষেপ শুধু সাহসীই নয়, নতুন পথও দেখাচ্ছে।
রাধিকার আপ্তের সিনেমাগুলো আসলে এক বৃহত্তর বিতর্কের দরজা খুলে দিয়েছে বারবার। একদিকে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও আন্তর্জাতিক সিনেমা দর্শকের কাছে নতুন ধরনের গল্প পৌঁছে দিচ্ছে, অন্যদিকে ভারতীয় সমাজের একাংশ এখনও ‘নৈতিকতা’ ও ‘শালীনতা’র বেড়াজালে আবদ্ধ। এর ফলে একজন অভিনেত্রীর অভিনয়ের গুণাবলি আলোচনার পরিবর্তে অনলাইনে তাঁকে ট্রোল বা সমালোচনা লাগাতার চলছে।
ভারতীয় সিনেমায় নগ্নতা এখনও অনেক সময়েই বিতর্কের বিষয়। তবে রাধিকার মতো অভিনেত্রীদের জন্যই ধীরে ধীরে দর্শকরা বুঝতে শিখছেন, নগ্নতা মানেই অশালীনতা নয়। বরং তা হতে পারে চরিত্রের বাস্তব প্রকাশ, একটি শিল্পের দাবি। রাধিকার যাত্রা তাই কেবল একজন অভিনেত্রীর সাফল্যের গল্প নয়, বরং ভারতীয় সিনেমার সাংস্কৃতিক মানসিকতার পরিবর্তনের কাহিনিও বটে।
রাধিকার কেরিয়ারের দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনি বারবার এমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন যেখানে সামাজিক ট্যাবু ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। পার্চড কিংবা নেটফ্লিক্সের লাস্ট স্টোরিজ— প্রতিটি ছবিতেই তাঁর চরিত্র গাঢ় আবেগ, শারীরিকতা এবং বাস্তবতার সংমিশ্রণ রয়েছে। অনেক সময়ে নগ্ন দৃশ্যের কারণে তাঁকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠলেও আসলে এই চরিত্রগুলির মাধ্যমে সমাজে নারীর দমবন্ধ বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া মাইকেল উইন্টারবটম পরিচালিত আন্তর্জাতিক ছবি দ্য ওয়েডিং গেস্ট রাধিকা আপ্তের কেরিয়ারে এক বিশেষ অধ্যায় বলা চলে। ছবিতে তাঁর সহঅভিনেতা ছিলেন ব্রিটিশ-ভারতীয় অভিনেতা দেব পটেল। এখানে রাধিকা অভিনয় করেছিলেন সমীরা নামে এক তরুণীর চরিত্রে, যে জবরদস্তি বিয়ের বন্ধন থেকে পালিয়ে যায় এবং এক অচেনা যাত্রায় পা বাড়ায়।
এই ছবিতে রাধিকাকে একেবারে নতুন আঙ্গিকে দেখেছেন দর্শক। তাঁর চরিত্রের মধ্যে ছিল ভয়, উত্তেজনা, প্রেম ও বিশ্বাসঘাতকতার মিশ্রণ। সমীরার মানসিক দ্বন্দ্ব, স্বাধীনতার খোঁজ এবং দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা রাধিকা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিল ছবির একাধিক নগ্ন দৃশ্য।
ভারতে এই নগ্ন দৃশ্যগুলিকে ঘিরে সমালোচনা ও বিতর্ক তৈরি হলেও বিদেশি সমালোচকেরা একে দেখেছেন চরিত্রের বাস্তব রূপকল্প হিসেবে। সমীরার আবেগ ও শারীরিক ভঙ্গুরতাকে তুলে ধরার জন্য এই দৃশ্যগুলি অপরিহার্য ছিল বলে মনে করেন অনেক আন্তর্জাতিক সমালোচক। রাধিকা নিজেও বলেছেন, “যদি চরিত্রের সত্যকে প্রকাশ করতে হয়, তবে নগ্নতাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শিল্পকে সীমাবদ্ধ করে দেখলে সেটা আর শিল্প থাকে না।”
ভারতের দর্শক সমাজে যেখানে অনেক সময়েই নারীর দেহকে কেন্দ্র করে আলোচনার চেয়ে সমালোচনা বেশি হয়, সেখানে দ্য ওয়েডিং গেস্ট প্রমাণ করেছে— একই দৃশ্য বিদেশে প্রশংসিত হলেও দেশে বিতর্কের জন্ম দেয়। এই বৈপরীত্যই প্রশ্ন তোলে— ভারতীয় দর্শক কি এখনও নগ্নতাকে শিল্প হিসেবে গ্রহণ করার মানসিকতায় পৌঁছতে পারেনি?
রাধিকা আপ্তে বারবার জানিয়েছেন, তিনি নগ্নতাকে ‘ভাল-মন্দ’ কিংবা ‘শালীন-অশালীন’ দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন না। তাঁর মতে, “মানবদেহ স্বাভাবিক, এবং শিল্পে তা দেখানো অশালীন নয়। বরং গল্পের প্রয়োজনে এটি বাস্তবতাকে আরও স্পষ্ট করে।” তিনি মনে করেন, ভারতীয় সিনেমা এখনও সেন্সরশিপ ও সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে পিছিয়ে রয়েছে। তাই তাঁর মতো অভিনেত্রীদের পদক্ষেপ শুধু সাহসীই নয়, নতুন পথও দেখাচ্ছে।
রাধিকার আপ্তের সিনেমাগুলো আসলে এক বৃহত্তর বিতর্কের দরজা খুলে দিয়েছে বারবার। একদিকে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও আন্তর্জাতিক সিনেমা দর্শকের কাছে নতুন ধরনের গল্প পৌঁছে দিচ্ছে, অন্যদিকে ভারতীয় সমাজের একাংশ এখনও ‘নৈতিকতা’ ও ‘শালীনতা’র বেড়াজালে আবদ্ধ। এর ফলে একজন অভিনেত্রীর অভিনয়ের গুণাবলি আলোচনার পরিবর্তে অনলাইনে তাঁকে ট্রোল বা সমালোচনা লাগাতার চলছে।
ভারতীয় সিনেমায় নগ্নতা এখনও অনেক সময়েই বিতর্কের বিষয়। তবে রাধিকার মতো অভিনেত্রীদের জন্যই ধীরে ধীরে দর্শকরা বুঝতে শিখছেন, নগ্নতা মানেই অশালীনতা নয়। বরং তা হতে পারে চরিত্রের বাস্তব প্রকাশ, একটি শিল্পের দাবি। রাধিকার যাত্রা তাই কেবল একজন অভিনেত্রীর সাফল্যের গল্প নয়, বরং ভারতীয় সিনেমার সাংস্কৃতিক মানসিকতার পরিবর্তনের কাহিনিও বটে।