
অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে স্কুলের লোহার কেঁচি গেটের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ডুমরাই সমজানপাড়া গ্রামে চাঁদপুর রফাতুল্লাহ সোনার উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবার ঘটনাটি ঘটলেও তা রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নাম মো. আবু তালহা শাফিন (১৪) ও জয় আহম্মেদ (১৪)। শাফিন ডুমরাই সমজানপাড়া গ্রামের এবং জয় কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা উভয়েই একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। এদের মধ্যে শাফিনকে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শাফিনের বাবা তার ছেলেকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্কুল বন্ধ থাকায় শনিবার সকালে খেলার জন্য মাঠে যায় শাফিন। এ সময় বিদ্যালয়টির নৈশপ্রহরী মো. লতিফ সোনার (৪৫) এবং স্থানীয় মো. হাবিল সোনার (২৮) তাকে স্কুলের কেঁচি গেটের সঙ্গে নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুসি ও লাথি মারে। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরা, ফোলা ও জখমের সৃষ্টি করে।
তারা স্কুলের জানালার গ্লাস ভাঙার অজুহাতে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে এবং একপর্যায়ে গলাচিপে ধরে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। শাফিনের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ছাত্র শাফিন জানায়, স্কুলের জানালায় কাঁচ নাকি প্লাস্টিক এ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বাজি শুরু হলে দুই বন্ধুর ধাক্কায় জানালার কাঁচের সামান্য একটি অংশ ভেঙে যায়। এরপর নাইটগার্ড লতিফ এসে তাদের ধরে মারধর করেন। এ সময় তার ভাতিজা হাবিল এসেও মারপিট শুরু করে। পরে রশি কিনে এনে তারা কেঁচি গেটের সঙ্গে তাদের দুই বন্ধুকে শক্ত করে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।
এ বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলী জানান, ওই দিন স্কুল ছুটি ছিল। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। নৈশপ্রহরী তাকে জানিয়েছেন- সকালে স্কুলে শব্দ শুনে কাছে গিয়ে ওই দুই ছাত্রকে জানালার কাঁচ ভাঙতে দেখে তাদের মারধর করলেও রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তবে অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী আব্দুল লতিফ জানান, স্কুলের কাঁচ ভাঙার কারণে তাদের তিনি ধরে রেখে পরে অভিভাবকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মারধর বা বাঁধার ঘটনা ঘটেনি। তবে সেখানে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়েছিল, এদের মধ্যে কেউ বেঁধে থাকতে পারেন।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজর রহমান বলেন, তিনি এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ডুমরাই সমজানপাড়া গ্রামে চাঁদপুর রফাতুল্লাহ সোনার উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবার ঘটনাটি ঘটলেও তা রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নাম মো. আবু তালহা শাফিন (১৪) ও জয় আহম্মেদ (১৪)। শাফিন ডুমরাই সমজানপাড়া গ্রামের এবং জয় কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা উভয়েই একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। এদের মধ্যে শাফিনকে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শাফিনের বাবা তার ছেলেকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্কুল বন্ধ থাকায় শনিবার সকালে খেলার জন্য মাঠে যায় শাফিন। এ সময় বিদ্যালয়টির নৈশপ্রহরী মো. লতিফ সোনার (৪৫) এবং স্থানীয় মো. হাবিল সোনার (২৮) তাকে স্কুলের কেঁচি গেটের সঙ্গে নাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুসি ও লাথি মারে। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিরা, ফোলা ও জখমের সৃষ্টি করে।
তারা স্কুলের জানালার গ্লাস ভাঙার অজুহাতে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে এবং একপর্যায়ে গলাচিপে ধরে শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। শাফিনের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ছাত্র শাফিন জানায়, স্কুলের জানালায় কাঁচ নাকি প্লাস্টিক এ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বাজি শুরু হলে দুই বন্ধুর ধাক্কায় জানালার কাঁচের সামান্য একটি অংশ ভেঙে যায়। এরপর নাইটগার্ড লতিফ এসে তাদের ধরে মারধর করেন। এ সময় তার ভাতিজা হাবিল এসেও মারপিট শুরু করে। পরে রশি কিনে এনে তারা কেঁচি গেটের সঙ্গে তাদের দুই বন্ধুকে শক্ত করে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।
এ বিষয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলী জানান, ওই দিন স্কুল ছুটি ছিল। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। নৈশপ্রহরী তাকে জানিয়েছেন- সকালে স্কুলে শব্দ শুনে কাছে গিয়ে ওই দুই ছাত্রকে জানালার কাঁচ ভাঙতে দেখে তাদের মারধর করলেও রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তবে অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী আব্দুল লতিফ জানান, স্কুলের কাঁচ ভাঙার কারণে তাদের তিনি ধরে রেখে পরে অভিভাবকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মারধর বা বাঁধার ঘটনা ঘটেনি। তবে সেখানে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়েছিল, এদের মধ্যে কেউ বেঁধে থাকতে পারেন।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি মোস্তাফিজর রহমান বলেন, তিনি এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।