
দেশের লোকজন ট্যাক্স দিয়ে সেবা না পেলে, গোসা (রাগ) তো একটু করবেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের অডিটোরিয়াম আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সবাই ট্যাক্স কমাতে বলেন। এমন করা হলে সামনের দিনে বেতন-ভাতা দেয়াও কঠিন হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ৭ দশমিক ২ শতাংশ, ব্রাজিলে এ হার ২৬ শতাংশ। ওরা ট্যাক্স দেয়, সেবা পায়। কিন্তু আমাদের দেশে ট্যাক্স দেয়, সেবা পায় না। এ অবস্থায় লোকজন তো একটু গোসা করবেই। সেই সঙ্গে বলবে- ট্যাক্স দিলাম, আর সেবা পেলাম না।
উপদেষ্টা বলেন, এজন্য আমি প্রায়ই এনবিআর সদস্যদের বলি, ভাই একটু সেবা দেন। সেবা ভালো দিলে আমরা ট্যাক্স ফিটাও বেশি দিতে পারি। সেবা দেবেন না, দশবার ঘোরাবেন, আপনি ফিও বেশি চাইবেন, এটা তো সম্ভব না।
তিনি বলেন, ট্যাক্স, নন-ট্যাক্স রেভিনিউ আমাদের অনেক লো। আমাদের দেশে প্রাইভেট সেক্টরের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের চাহিদা অনেক বেশি। বলেন বড় বড় প্রজেক্ট করেন। এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্থায়ন করতে পারছি না। আমরা বলি স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। তারপর শিক্ষার কথা বলেন। টাকা কোথায়?
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাত অতিমাত্রায় ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে বেসরকারি ও সরকারি খাতের উভয় পক্ষই ঋণ গ্রহণ করে, প্রায়ই সেই ঋণ পরিশোধ না করেই পার পেয়ে যায়। এটাই বাংলাদেশের ট্র্যাজেডি। ঝুঁকি ভাগাভাগির জন্য একটি কার্যকর পুঁজিবাজার এবং বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে বুঝতে হবে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সঙ্গে ঝুঁকি জড়িত। পুঁজিবাজার কোনো চিরস্থায়ী গ্যারান্টিযুক্ত আয়ের উৎস নয়। শেয়ারবাজারের ছোট বিনিয়োগকারীরা মনে করেন বিনিয়োগ করলেই মুনাফা নিশ্চিত, এই বাজারে যে ঝুঁকি আছে, তা তারা মানতে চান না। ছোট বিনিয়োগকারীদের আরও ভালোভাবে শিক্ষিত করতে ডিএসই ও বিএসইসিকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সুকুক বন্ডের বিষয়ে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, এই ইনস্ট্রুমেন্টটি ব্যাংকের ওপর চাপ কমাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রাখে, যদি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সুকুক আছে, কিন্তু তার প্রায় সবই সরকারি প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। বেসরকারি খাতও এই টুলটি ব্যবহার করে অবকাঠামো ও ব্যবসায়িক উদ্যোগে অর্থায়ন করতে পারে।
তিনি বলেন, বড় অবকাঠামো প্রকল্প যেমন এমআরটি (মাস র্যাপিড ট্রানজিট) ব্যবস্থায় সিকিউরিটাইজেশন প্রয়োজন, যেগুলোর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ দরকার।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অর্লিন্স-এর অধ্যাপক এম কবীর হাসান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের অডিটোরিয়াম আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সবাই ট্যাক্স কমাতে বলেন। এমন করা হলে সামনের দিনে বেতন-ভাতা দেয়াও কঠিন হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ৭ দশমিক ২ শতাংশ, ব্রাজিলে এ হার ২৬ শতাংশ। ওরা ট্যাক্স দেয়, সেবা পায়। কিন্তু আমাদের দেশে ট্যাক্স দেয়, সেবা পায় না। এ অবস্থায় লোকজন তো একটু গোসা করবেই। সেই সঙ্গে বলবে- ট্যাক্স দিলাম, আর সেবা পেলাম না।
উপদেষ্টা বলেন, এজন্য আমি প্রায়ই এনবিআর সদস্যদের বলি, ভাই একটু সেবা দেন। সেবা ভালো দিলে আমরা ট্যাক্স ফিটাও বেশি দিতে পারি। সেবা দেবেন না, দশবার ঘোরাবেন, আপনি ফিও বেশি চাইবেন, এটা তো সম্ভব না।
তিনি বলেন, ট্যাক্স, নন-ট্যাক্স রেভিনিউ আমাদের অনেক লো। আমাদের দেশে প্রাইভেট সেক্টরের ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের চাহিদা অনেক বেশি। বলেন বড় বড় প্রজেক্ট করেন। এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্থায়ন করতে পারছি না। আমরা বলি স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। তারপর শিক্ষার কথা বলেন। টাকা কোথায়?
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক খাত অতিমাত্রায় ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে বেসরকারি ও সরকারি খাতের উভয় পক্ষই ঋণ গ্রহণ করে, প্রায়ই সেই ঋণ পরিশোধ না করেই পার পেয়ে যায়। এটাই বাংলাদেশের ট্র্যাজেডি। ঝুঁকি ভাগাভাগির জন্য একটি কার্যকর পুঁজিবাজার এবং বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে বুঝতে হবে বন্ড, ডিবেঞ্চার ও সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সঙ্গে ঝুঁকি জড়িত। পুঁজিবাজার কোনো চিরস্থায়ী গ্যারান্টিযুক্ত আয়ের উৎস নয়। শেয়ারবাজারের ছোট বিনিয়োগকারীরা মনে করেন বিনিয়োগ করলেই মুনাফা নিশ্চিত, এই বাজারে যে ঝুঁকি আছে, তা তারা মানতে চান না। ছোট বিনিয়োগকারীদের আরও ভালোভাবে শিক্ষিত করতে ডিএসই ও বিএসইসিকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সুকুক বন্ডের বিষয়ে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, এই ইনস্ট্রুমেন্টটি ব্যাংকের ওপর চাপ কমাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রাখে, যদি সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের সুকুক আছে, কিন্তু তার প্রায় সবই সরকারি প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। বেসরকারি খাতও এই টুলটি ব্যবহার করে অবকাঠামো ও ব্যবসায়িক উদ্যোগে অর্থায়ন করতে পারে।
তিনি বলেন, বড় অবকাঠামো প্রকল্প যেমন এমআরটি (মাস র্যাপিড ট্রানজিট) ব্যবস্থায় সিকিউরিটাইজেশন প্রয়োজন, যেগুলোর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ দরকার।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অর্লিন্স-এর অধ্যাপক এম কবীর হাসান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।