‘জয় শ্রী রাম’ বলতে অস্বীকৃতি, ভারতে ইমামকে নৃশংসভাবে মারধর

আপলোড সময় : ২২-০৯-২০২৫ ০৪:১১:০৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২২-০৯-২০২৫ ০৪:১১:০৬ অপরাহ্ন
ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এক ইমামকে নৃশংসভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই ইমাম অভিযোগ করেছেন, তাকে জোর করে ধর্মীয় স্লোগান দিতে চাপ দেওয়া হয়েছিল।

তবে পুলিশের দাবি, ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক নয়, সাধারণ মারধরের। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিয়াসাত ডেইলি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার লোধা ব্লকের বুলাকঘারি গ্রামের এক স্থানীয় ইমামকে গত ২০ সেপ্টেম্বর নৃশংসভাবে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, হামলাকারীরা তাকে জোর করে “জয় শ্রী রাম” বলতে বাধ্য করার চেষ্টা করে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ইমাম মুস্তাকিমকে দাড়ি ও টুপি পরার কারণে টার্গেট করা হয়। সে সময় তিনি সাইকেলে ছিলেন। এর আগে কিছু বাচ্চা এবং জিশান নামে এক ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়ার জেরে ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে এবং আহত দুই পক্ষকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আলিগড় শহরের পুলিশ সুপার মৃগাঙ্ক শেখর পাঠক বলেন, “তদন্তে দেখা গেছে, এটি সাধারণ মারধরের ঘটনা। এর সঙ্গে কোনো ধর্মীয় বিষয় জড়িত নয় এবং কাউকে জোর করে ধর্মীয় স্লোগান দিতেও বাধ্য করা হয়নি।”

তবে ভুক্তভোগী ইমাম অভিযোগ করেছেন, তাকে সরাসরি ধর্মীয় স্লোগান দিতে চাপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “কয়েকদিন ধরে কিছু ছেলে আমাকে বিরক্ত করছিল। ওইদিন তারা আমার সাইকেল থামিয়ে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বলে। আমি রাজি না হলে লাঠি দিয়ে প্রায় আধঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা ধরে আমাকে পেটায়। উঠতে দেয়নি, বরং বলেছিল, ‘এখানেই কবর দিয়ে দাও’।”

পূর্বে তিনি এ ধরনের হয়রানির কথা পুলিশের কাছে জানাননি বলেও উল্লেখ করেন ইমাম। কারণ, বিষয়টি বড় আকার ধারণ করবে ভেবে তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। যদিও ইমামের অভিযোগ স্পষ্ট, তবে স্থানীয় পুলিশ এখনো বলছে, এটি কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। তদন্ত চলছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]