
নির্বাচন সামনে রেখে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন রাজশাহী মহানগর বিএনপি'র নেতাকর্মীরা অনেকটা দিশেহারা। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে হাতে সময় মাত্র চার মাস। কিন্তু মহানগর বিএনপিতে কমিটি না থাকায় দলীয় কার্যক্রম প্রায় স্থবির। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী রাজশাহীর ৬টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনী কার্যক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নেতা-কর্মীরা।
রাজশাহী মহানগর বিএনপিতে বর্তমানে কোনো কমিটি নেই। গত ১০ আগস্ট মহানগর আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও, এক মাসের বেশি সময় পেরুলেও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এতে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে এবং মাঠের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। দলীয় কর্মসূচি অনুপস্থিত থাকায় নেতাকর্মীরা দলবহির্ভ‚ত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনেও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো ভ‚মিকা রাখতে পারছেন না।
বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা জানান, কমিটি না থাকায় মাঠের নেতাকর্মীদের কর্মকাÐ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত নতুন কমিটি গঠনের আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সূত্র মতে, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে অতিরিক্ত লবিং ও গ্রুপিংয়ের কারণেই নতুন কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে। সভাপতি পদে ২০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় দপ্তরে। এই পদগুলোতে সাবেক ও বর্তমান অনেক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন জানান, কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে এবং দ্রুত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের প্রস্তুতিতে অনেক এগিয়ে। তারা গত ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজশাহীর ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল এবং জুলাই মাসে সদর আসনে ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনমুখী কর্মসূচি পালন করছেন। তারা জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এমনকি গ্রাম পর্যায়েও নির্বাচনী কমিটি গঠন করে কার্যক্রম জোরদার করেছে। কর্মীদেরকে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. কেরামত আলী বলেন, জামায়াতের ইতিবাচক অঙ্গীকার ও কর্মসূচির প্রতি ছাত্রসমাজের বিপুল সমর্থন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে সমর্থন বৃদ্ধির কারণে তাদের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। তিনি আশা করছেন, আগামী নির্বাচনে এর প্রতিফলন ঘটবে এবং তারা রাজশাহীর অন্তত তিনটি আসনে জয় লাভ করবে। এর মধ্যে রাজশাহী সদর আসন অন্যতম। ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রশিবিরের বিপুল বিজয় তাদের কর্মীদের উজ্জীবিত করেছে এবং ২৫শে সেপ্টেম্বরের রাকসু নির্বাচনেও তারা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে মরিয়া।
সামনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহীর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি’র এই ছন্নছাড়া অবস্থা এবং জামায়াতের সুসংগঠিত তৎপরতা আগামী দিনে কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
রাজশাহী মহানগর বিএনপিতে বর্তমানে কোনো কমিটি নেই। গত ১০ আগস্ট মহানগর আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও, এক মাসের বেশি সময় পেরুলেও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এতে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে এবং মাঠের নেতাকর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। দলীয় কর্মসূচি অনুপস্থিত থাকায় নেতাকর্মীরা দলবহির্ভ‚ত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনেও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো ভ‚মিকা রাখতে পারছেন না।
বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা জানান, কমিটি না থাকায় মাঠের নেতাকর্মীদের কর্মকাÐ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত নতুন কমিটি গঠনের আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সূত্র মতে, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে অতিরিক্ত লবিং ও গ্রুপিংয়ের কারণেই নতুন কমিটি গঠনে বিলম্ব হচ্ছে। সভাপতি পদে ২০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় দপ্তরে। এই পদগুলোতে সাবেক ও বর্তমান অনেক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন জানান, কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে এবং দ্রুত নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের প্রস্তুতিতে অনেক এগিয়ে। তারা গত ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজশাহীর ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল এবং জুলাই মাসে সদর আসনে ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে প্রার্থী ঘোষণা করে। ৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনমুখী কর্মসূচি পালন করছেন। তারা জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এমনকি গ্রাম পর্যায়েও নির্বাচনী কমিটি গঠন করে কার্যক্রম জোরদার করেছে। কর্মীদেরকে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. কেরামত আলী বলেন, জামায়াতের ইতিবাচক অঙ্গীকার ও কর্মসূচির প্রতি ছাত্রসমাজের বিপুল সমর্থন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে সমর্থন বৃদ্ধির কারণে তাদের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। তিনি আশা করছেন, আগামী নির্বাচনে এর প্রতিফলন ঘটবে এবং তারা রাজশাহীর অন্তত তিনটি আসনে জয় লাভ করবে। এর মধ্যে রাজশাহী সদর আসন অন্যতম। ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রশিবিরের বিপুল বিজয় তাদের কর্মীদের উজ্জীবিত করেছে এবং ২৫শে সেপ্টেম্বরের রাকসু নির্বাচনেও তারা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে মরিয়া।
সামনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহীর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি’র এই ছন্নছাড়া অবস্থা এবং জামায়াতের সুসংগঠিত তৎপরতা আগামী দিনে কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।