মির্জাপুরে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়া তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আপলোড সময় : ১৭-০৯-২০২৫ ০১:৩৪:৪১ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৭-০৯-২০২৫ ০১:৩৪:৪১ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়া ২২ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী ২ সেপ্টেম্বর আরাফাত হোসেনকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেছেন। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক মির্জাপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আরাফাত হোসেনের বাবা মো. ফরহাদ মোল্লা, মা সাজেদা বেগম, ভাই অপু মোল্লা ও কথিত বোন লাকী আক্তার।

আরাফাত হোসেন উপজেলা শহরের হিফজুল কুরআন মাদরাসায় চাকরি করতেন। এ ছাড়া তরুণী চলতি বছর এইচএসসি পাস করেছেন বলে জানা গেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার টাকিয়া কদমা গ্রামের ফরহাদ মোল্লার ছেলে মো. আরাফাত হোসেনের সঙ্গে ২০২৪ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে একই উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের একটি গ্রামের ২২ বছরের ওই তরুণীর পরিচয় হয়। আরাফাত ওই তরুণীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন প্রকার হাদিস এবং ইসলামী ঘটনা পাঠাতেন। আরাফাত ওই তরুণীর গ্রামে নানার বাড়িতে এলে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতো। একপর্যায়ে আরাফাত উপজেলা শহরের কাকলী মোড়ের গোল্ডেন স্পন হোটেলে সাক্ষাৎ করতে বলেন। হোটেলে গেলে আরাফাত কৌশলে ওয়াশ রুমে তার ফোনের ক্যামেরা অন করে রাখেন এবং গোপনে তরুণীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করেন। পরে ২৮ ডিসেম্বর আরাফাত ওই তরুণীকে তার কথিত বোন শহীদ মিনার সংলগ্ন আব্দুস সামাদের ভাড়াটিয়া লাকী আক্তারের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর লাকী আক্তার তাকে আরাফাতের সঙ্গে বিয়ের কথা বলেন। পরে লাকী কৌশলে তাদের অন্য একটি কক্ষে বসতে দিয়ে চলে যান। এসময় আরাফাত মোবাইলে ধারণ করা তার নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় লাকী আক্তারের সহায়তায় আরাফাত তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তারা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। এ ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুমকিও দেন।

পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন এবং মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করার কথা বলে ৪ আগস্ট লাকী আক্তারের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং ভিডিও ডিলিট করার কথা বলে তরুণীর কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পুলিশকে ফোন দিতে চাইলে লাকী আক্তারের সহযোগিতায় আরাফাত তরুণীকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন। এরমধ্যে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি আরাফাতকে জানালে তার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানাবে বলে জানায়।

বাবা-মা, ভাই-বোন তরুণীকে দেখবে বলে ৯ আগস্ট আরাফাত তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। আরাফাতের বাবা-মা ও ভাই তরুণীকে আদর যত্ন শুরু করেন। তরুণীকে আরাফাতের স্ত্রী করে নেবে বলে জানান। এরপর বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ান। পরে বাবা-মায়ের নির্দেশে আরাফাত তাকে মির্জাপুরে পৌঁছে দেন। কিন্তু আরাফাতের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পেট ব্যথা শুরু হয়। ১০ আগস্ট মির্জাপুর শহরের আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তার দেখালে কর্তব্যরত চিকিৎসক গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান।

পরে ২ সেপ্টেম্বর আরাফাত হোসেনকে প্রধান করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন ওই তরুণী। অভিযুক্ত আরাফাত হোসেন ও বাবা ফরহাদ মোল্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]