
রাজশাহীর চারঘাটে পারিবারিক কলহের জেরে ভগিনীপতি (বোনের স্বামী) মিঠুন আলীর ছুরিকাঘাতে শ্যালক অনিক হাসান হৃদয় (২২) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন, যারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার ভোর রাতে উপজেলার বাবুপাড়া গ্রামে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বাবর আলী শুকটা ও রাজু আহম্মেদ নামের দুইজনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোক্তারপুর আন্ধারীপাড়া গ্রামের রেখা বেগমের সঙ্গে বাবুপাড়া গ্রামের মিঠুন আলীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিঠুন আলী স্ত্রী রেখাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন।
রোববার ভোর রাতে মিঠুন আলী রেখার ভাই কাবুল উদ্দিনকে ফোন করে জানান, "তোর বোন মরে গেছে। লাশ নিয়ে যা।" এই খবর পেয়ে রেখার ভাই কাবুল উদ্দিন, অনিক হাসান হৃদয়, বিপ্লব, মুন্নী বেগম, আব্দুল মান্নান, মেহেরুন্নেসাসহ ৮-১০ জন একটি অটোরিকশাযোগে বাবুপাড়ায় মিঠুনের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান রেখাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।
এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত মিঠুন, রকি, রাজু, লিখন ও তাদের সহযোগীরা লাঠিসোটা নিয়ে রেখার ভাই ও ভাবিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে অনিক হাসান হৃদয় ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন রেখার পরিবারের আরও ৫ সদস্য।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রেখার চাচাতো ভাই লালন আলী। চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত অনিক হাসান হৃদয়ের পিতা আবুল কালাম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোক্তারপুর আন্ধারীপাড়া গ্রামের রেখা বেগমের সঙ্গে বাবুপাড়া গ্রামের মিঠুন আলীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিঠুন আলী স্ত্রী রেখাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন।
রোববার ভোর রাতে মিঠুন আলী রেখার ভাই কাবুল উদ্দিনকে ফোন করে জানান, "তোর বোন মরে গেছে। লাশ নিয়ে যা।" এই খবর পেয়ে রেখার ভাই কাবুল উদ্দিন, অনিক হাসান হৃদয়, বিপ্লব, মুন্নী বেগম, আব্দুল মান্নান, মেহেরুন্নেসাসহ ৮-১০ জন একটি অটোরিকশাযোগে বাবুপাড়ায় মিঠুনের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান রেখাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।
এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত মিঠুন, রকি, রাজু, লিখন ও তাদের সহযোগীরা লাঠিসোটা নিয়ে রেখার ভাই ও ভাবিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে অনিক হাসান হৃদয় ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন রেখার পরিবারের আরও ৫ সদস্য।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রেখার চাচাতো ভাই লালন আলী। চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত অনিক হাসান হৃদয়ের পিতা আবুল কালাম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।