
ভিডিও ধারণ করায় চড় মেরে হামিম (১০) নামের এক শিশুর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পটুয়াখালীর বাউফল থানার এসআই মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশের হুমকির ভয়ে শিশুটির পরিবার বিষয়টি গোপন রাখে।
কানে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে শিশুটির পরিবার শনিবার গভীর রাতে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হামিম ছয়হিস্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনা তদন্ত করতে যান এসআই মাসুদুর রহমান। তখন হামিম তার কয়েকজন সহপাঠী নিয়ে খেলার ছলে পুলিশের ভিডিও ধারণ করছিল। ভিডিও ধারণের বিষয়টি দেখে ক্ষেপে যান এসআই মাসুদুর রহমান। তখন হামিমকে ধরে ডান কানে কষে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেন তিনি। এতে ডান কানে প্রচণ্ড ব্যথা পায় হামিম। পুলিশের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে হামিমের পরিবার। কিন্তু হামিমের অবস্থার অবনতি হওয়ায় সবার চোখ এড়িয়ে শনিবার গভীর রাতে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় তার পরিবার।
স্থানীয়রা বলেন, মো. হামিম তার বাসার সামনে বন্ধু জিদান, তানভীর ও মিয়াদের সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলার ছলে ভিডিও ধারণ করছিল। তখন পুলিশের এসআই মাসুদুর রহমান তার হাত থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান এবং শিশুটিকে মারধর করেন। পরে তাকে (হামিম) পুলিশের গাড়িতে উঠালে স্থানীয়দের তোপের মুখে শিশুটিকে ছেড়ে দেন এসআই মাসুদুর।
হামিম জানায়, সে তার বন্ধুদের সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করছিল। তখন পুলিশ তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় এবং কানের উপর চার-পাঁচটি চড় মারে। এতে তার ডান কানের পর্দা ফেটে শ্রবণশক্তি হারিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জালাল খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ শিশুটিকে মারধর করে গাড়িতে উঠালে কলম শাহ, কুদ্দুস মোল্লা ও আমি শিশুটিকে পুলিশের কাছ থেকে রেখে দেই।
হামিমের বাবা কবির মোল্লা বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলেকে মারধর করে ফোন নিয়ে গেছে। আমি পুলিশের ভয়ে ছেলের চিকিৎসাও করাইনি। ছেলেটি সারা রাত ব্যথায় ঘুমাতে না পারায় সবার চোখ এড়িয়ে শনিবার গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
অভিযুক্ত এসআই মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের ঘটনায় ছয়হিস্যা গ্রামে পৌঁছলে শিশুটি আমাদের ভিডিও ধারণ করে। শিশুটিকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি, শুধুমাত্র মোবাইল ফোনটা নিয়ে এসেছি।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান বলেন, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে ডান কানে ব্যথার বিষয়ে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞদের দেখানোর পরামর্শ দিয়েছি।
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, বিষয়টি জানার পরে আমি মাসুদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি শিশুটির মাথা ধরে ঝাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোনটি নিয়ে এসেছে বলে স্বীকার করেছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশের হুমকির ভয়ে শিশুটির পরিবার বিষয়টি গোপন রাখে।
কানে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে শিশুটির পরিবার শনিবার গভীর রাতে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হামিম ছয়হিস্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনা তদন্ত করতে যান এসআই মাসুদুর রহমান। তখন হামিম তার কয়েকজন সহপাঠী নিয়ে খেলার ছলে পুলিশের ভিডিও ধারণ করছিল। ভিডিও ধারণের বিষয়টি দেখে ক্ষেপে যান এসআই মাসুদুর রহমান। তখন হামিমকে ধরে ডান কানে কষে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেন তিনি। এতে ডান কানে প্রচণ্ড ব্যথা পায় হামিম। পুলিশের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে হামিমের পরিবার। কিন্তু হামিমের অবস্থার অবনতি হওয়ায় সবার চোখ এড়িয়ে শনিবার গভীর রাতে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় তার পরিবার।
স্থানীয়রা বলেন, মো. হামিম তার বাসার সামনে বন্ধু জিদান, তানভীর ও মিয়াদের সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলার ছলে ভিডিও ধারণ করছিল। তখন পুলিশের এসআই মাসুদুর রহমান তার হাত থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান এবং শিশুটিকে মারধর করেন। পরে তাকে (হামিম) পুলিশের গাড়িতে উঠালে স্থানীয়দের তোপের মুখে শিশুটিকে ছেড়ে দেন এসআই মাসুদুর।
হামিম জানায়, সে তার বন্ধুদের সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করছিল। তখন পুলিশ তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় এবং কানের উপর চার-পাঁচটি চড় মারে। এতে তার ডান কানের পর্দা ফেটে শ্রবণশক্তি হারিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জালাল খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ শিশুটিকে মারধর করে গাড়িতে উঠালে কলম শাহ, কুদ্দুস মোল্লা ও আমি শিশুটিকে পুলিশের কাছ থেকে রেখে দেই।
হামিমের বাবা কবির মোল্লা বলেন, ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলেকে মারধর করে ফোন নিয়ে গেছে। আমি পুলিশের ভয়ে ছেলের চিকিৎসাও করাইনি। ছেলেটি সারা রাত ব্যথায় ঘুমাতে না পারায় সবার চোখ এড়িয়ে শনিবার গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
অভিযুক্ত এসআই মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের ঘটনায় ছয়হিস্যা গ্রামে পৌঁছলে শিশুটি আমাদের ভিডিও ধারণ করে। শিশুটিকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি, শুধুমাত্র মোবাইল ফোনটা নিয়ে এসেছি।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান বলেন, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে ডান কানে ব্যথার বিষয়ে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞদের দেখানোর পরামর্শ দিয়েছি।
বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, বিষয়টি জানার পরে আমি মাসুদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি শিশুটির মাথা ধরে ঝাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোনটি নিয়ে এসেছে বলে স্বীকার করেছে।