
প্রবল ব্যস্ততা আর কাজের চাপে শরীরের শক্তিক্ষয় রুখতে অনেকেই চুমুক দেন ‘এনার্জি ড্রিঙ্ক’-এ। কমবয়সিদের মধ্যে এই ধরনের পানীয় খাওয়ার চল বেশি। বিশেষ করে জিমে গিয়ে যাঁরা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের অনেকেই শারীরিক শক্তিবর্ধক কিছু পানীয়ে সারা দিনে একাধিক বার চুমুক দেন। সাময়িক ভাবে শরীর চাঙ্গা হয় পানীয়ের গুণে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, এই ধরনের পানীয় হার্টের ক্ষতি করে।
পুষ্টিবিদদের হিসাব অনুযায়ী, একটি ৩৩০ গ্রাম এনার্জি ড্রিঙ্কের বোতলে প্রায় ১০ শতাংশ জুড়ে থাকে সুগার ও ক্যাফিন। আর এই দুই উপাদানের জেরে ওবেসিটি, টাইপ ২ ডায়াবিটিস ও মানসিক অস্থিরতার সমস্যার পাশাপাশি হৃদ্রোগেরও ঝুঁকিও তৈরি হয়।
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েশন’-এর সমীক্ষা এ বিষয়ে শঙ্কা জাগানোর জন্য যথেষ্ট। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি ৩৪ জন সুস্থ মানুষের উপর তিন দিন গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রতি দিন এক লিটার বা তার বেশি এই ধরনের পানীয় যাঁরা খান, তাঁদের রক্তচাপ সুস্থ মানুষের থেকে বেড়ে যায়। একই সঙ্গে হৃদ্স্পন্দনের গতিও স্বাভাবিক থাকে না।
শুধু ক্যাফিন নয়, এই ধরনের পানীয়তে টাওরিন (এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড), গ্লুকুরোনোল্যাকটোন জাতীয় বহুবিধ উপাদান থাকে, যা কেবল হার্ট নয়, শরীরের অন্যান্য প্রত্যঙ্গেরও ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। এই পানীয়গুলি যত কম খাওয়া যায়, ততই মঙ্গল। চিকিৎসক শুভম সাহার মতে, “এনার্জি ড্রিঙ্ক থেকে শরীরে অতিরিক্ত চিনি প্রবেশ করে। এই ধরনের পানীয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কৃত্রিম চিনি বা অ্যাসপার্টেম মজুত থাকে, যা ডায়াবিটিস ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। তার সঙ্গে প্রিজারভেটিভ যুক্ত থাকার দরুণ শরীরে বাসা বাঁধে নানা চর্মরোগের জীবাণু, লিভারের উপরেও সরাসরি কুপ্রভাব বিস্তার করে এই সব উপাদান। হৃদ্রোগীদের জন্য এই পানীয় একেবারেই ভাল নয়। তাই শরীর চাঙ্গা করতে হলে জল, ডাবের জল, নুন-মধুর জল, লেবু-মধু জলের উপরেই ভরসা রাখুন।’’
কিছু এনার্জি ড্রিঙ্ক ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে নরওয়ে ও ডেনমার্কের মতো দেশ। ব্রিটেনে শিশুদের কাছে এই ধরনের পানীয় বিক্রি রীতিমতো নিষিদ্ধ। নতুন জিএসটির নিয়মবিধি অনুযায়ী এই সব এনার্জি ড্রিঙ্কের উপর ৪০ শতাংশ কর চাপানো হয়েছে, যার ফলে বাজারে এই সব সামগ্রীর দাম ২২ সেপ্টেম্বরের পর থেকে অনেকটাই বেড়ে যাবে। তবে তাতেও সাধারণের হুঁশ ফিরবে কি? সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
পুষ্টিবিদদের হিসাব অনুযায়ী, একটি ৩৩০ গ্রাম এনার্জি ড্রিঙ্কের বোতলে প্রায় ১০ শতাংশ জুড়ে থাকে সুগার ও ক্যাফিন। আর এই দুই উপাদানের জেরে ওবেসিটি, টাইপ ২ ডায়াবিটিস ও মানসিক অস্থিরতার সমস্যার পাশাপাশি হৃদ্রোগেরও ঝুঁকিও তৈরি হয়।
‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েশন’-এর সমীক্ষা এ বিষয়ে শঙ্কা জাগানোর জন্য যথেষ্ট। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি ৩৪ জন সুস্থ মানুষের উপর তিন দিন গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রতি দিন এক লিটার বা তার বেশি এই ধরনের পানীয় যাঁরা খান, তাঁদের রক্তচাপ সুস্থ মানুষের থেকে বেড়ে যায়। একই সঙ্গে হৃদ্স্পন্দনের গতিও স্বাভাবিক থাকে না।
শুধু ক্যাফিন নয়, এই ধরনের পানীয়তে টাওরিন (এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড), গ্লুকুরোনোল্যাকটোন জাতীয় বহুবিধ উপাদান থাকে, যা কেবল হার্ট নয়, শরীরের অন্যান্য প্রত্যঙ্গেরও ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। এই পানীয়গুলি যত কম খাওয়া যায়, ততই মঙ্গল। চিকিৎসক শুভম সাহার মতে, “এনার্জি ড্রিঙ্ক থেকে শরীরে অতিরিক্ত চিনি প্রবেশ করে। এই ধরনের পানীয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কৃত্রিম চিনি বা অ্যাসপার্টেম মজুত থাকে, যা ডায়াবিটিস ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। তার সঙ্গে প্রিজারভেটিভ যুক্ত থাকার দরুণ শরীরে বাসা বাঁধে নানা চর্মরোগের জীবাণু, লিভারের উপরেও সরাসরি কুপ্রভাব বিস্তার করে এই সব উপাদান। হৃদ্রোগীদের জন্য এই পানীয় একেবারেই ভাল নয়। তাই শরীর চাঙ্গা করতে হলে জল, ডাবের জল, নুন-মধুর জল, লেবু-মধু জলের উপরেই ভরসা রাখুন।’’
কিছু এনার্জি ড্রিঙ্ক ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে নরওয়ে ও ডেনমার্কের মতো দেশ। ব্রিটেনে শিশুদের কাছে এই ধরনের পানীয় বিক্রি রীতিমতো নিষিদ্ধ। নতুন জিএসটির নিয়মবিধি অনুযায়ী এই সব এনার্জি ড্রিঙ্কের উপর ৪০ শতাংশ কর চাপানো হয়েছে, যার ফলে বাজারে এই সব সামগ্রীর দাম ২২ সেপ্টেম্বরের পর থেকে অনেকটাই বেড়ে যাবে। তবে তাতেও সাধারণের হুঁশ ফিরবে কি? সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।