দুর্গাপুরে ১৫ মণের ‘বাহদুর’কে নিয়ে খামারির শাহআলমের স্বপ্ন

আপলোড সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৮:৫২:৪৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৮:৫২:৪৮ অপরাহ্ন
যেমন লম্বায়, তেমনই উচ্চতাও গরুটির। ১৫ মণ ওজনের গরুটি চলে হেলে দুলে। শান্ত স্বভাবের গরুটির নাম রাখা হয়েছে বাহাদুর। এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাহদুর’কে নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন গরুটির মালিক শাহআলম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর পৌর এলাকার খুলুপাড়া শাহআলমের খামারে বিশাল আকৃতির বাহাদুর নামের ফ্রিজিয়ান জাতের প্রায় ১৫ মণ ওজনের ষাঁড়টি দেখা মেলে।
গরুটির মালিক জানান, সবুজ ঘাস, দানাদার খাবার, কমলা, মালটা, ভুট্টা, ছোলা, চালেরগুড়াসহ প্রতিদিন প্রায় সাতশত টাকার খাবার দিতে হয় তাকে।

ফ্রিজিয়ান জাতের ১৫ মণ ওজনের ষাঁড়টি বিশেষভাবে পালন করছেন উপজেলার দেবীপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শাহআলম। প্রতিদিন গরুটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন নানা প্রান্তের মানুষ। এবার দুর্গাপুরে কোরবানির পশুরহাটের আলোচিত গরু ‘বাহাদুর’। ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা।

গরুটি দেখতে শাহআলমের বাড়িতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন উৎসুক জনতা। গরুর পাশে দাঁড়িয়ে কেউ তুলছেন ছবি, কেউ করছেন রিলস ভিডিও। এ সময় স্থানীয় সালিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের গ্রামের সবচেয়ে বড় গরু পালন করছেন শহআলম ভাই, এটা শুনেছি। আজ এসেছিলাম দেখার জন্য, দেখলাম, সত্যি ভালো লেগেছে। আমিও এমন গরু লালন পালনের অনেক ইচ্ছে আছে।’

উপজেলার বেলঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা একেএম আজাদ এসেছেন ‘বাহাদূর’ কে দেখার জন্য। তিনি গরু দেখে বলেন, দুর্গাপুর উপজেলা এরিয়ার মধ্যে এত বড় গরু আর নেই। দুর্গাপুরের মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু এটাই। পাশ্ববর্তী তাহেরপুর বাজারে এখন গরুর যে দাম, তাতে গরুর মালিক যে দাম চেয়েছেন, এটা অনেকটা কম মনে হয়েছে।

বাহাদূরকে বাড়ির ভিতরে পাকা দালান রুমে অতি যত্নে রাখা হয়েছে। রুমের মধ্যে আলো-বাতাস ঢুকার জন্য জানালার পাশাপাশি চার দিকে লাইট ও ফ্যান দেওয়া হয়েছে। দৈনিক সকালে ও বিকেলে সেটির সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন খামারি শাহআলমের স্ত্রী,পুত্র ও শাহআলম নিজেও। সময়মতো তিন বেলায় রাজকীয় গোসল করানো থেকে শুরু করে খাবার খাওয়ানোর কাজ করে থাকেন তার। গরুর উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট ও প্রস্থ প্রায় ৩ ফুট।

গরুটির মালিক শাহআলম বলেন, ‘গরু টা আমার গাভির ঘরের বাচ্চা। এটা ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। আমি প্রায় তিন বছর থেকে লালনপালন করছি। গরুটার চার দাঁত হয়েছে। এই গরুটা যখন আরও ছোট ছিল, তখনও ভালো দাম উঠেছিল। আমার বিক্রি করার ইচ্ছা ছিল না, তাই আমি গতবার হাটে তুলিনি।

ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, কুরবানির হাট এখনো তেমন জমে উঠেনি তাই বেচাকেনা একেবারেই কম। দাঁড়িয়ে থাকলেও ভালো দাম বলছেন না ক্রেতারা। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যাপারীরা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ গত বছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম অন্তত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি হাঁকা হচ্ছে। বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, ৭০ থেকে ৮০ হাজাররে মধ্যে ছোট মাঝারি ধরনের গরু কেনা যাচ্ছে। একটু বড় গরু লাখ টাকার উপরে দাম হাঁকা হচ্ছে।

উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোছা: জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এ বছরে দুর্গাপুরে হাটগুলোতে যাতে রোগে আক্রান্ত গরু বিক্রি না হয় সেজন্য ভেটেনারি টিম বসানো হয়েছে। আমাদের অফিস থেকে খামারিরা পরামর্শ নিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে রিষ্ট পুষ্ট বা মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে এসব গরু। তাই ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল বা অন্য কোনো উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরু বিক্রি করার সুযোগ নেই। তবে এ বছর হাটে ভারতীয় গরু না উঠলে দেশীয় গরুর ন্যায্য দাম পাবেন বলে আশাবাদী খামারিরা।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]