বাচ্চার জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল দিচ্ছেন? আগে জেনে নিন শিশু বিশেষজ্ঞের ৫টি জরুরি পরামর্শ

আপলোড সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ০২:১৩:১২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ০২:১৩:১২ অপরাহ্ন
জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল শিশুদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও নিরাপদ ওষুধ হিসেবে ধরা হয়। তবে ছোটখাট কিছু ভুল থেকে যেতে পারে, যা শিশুর সঠিকভাবে সেরে ওঠাতে প্রভাব ফেলতে পারে বা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। অনেক সময় বাবা-মা পুরনো ওষুধের ব্যবহার, কম্পোজিশন বা ডোজ ঠিকমতো না মানার মতো ভুল করেন। এসব এড়াতেই গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সাঁচি রাস্তোগি।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ৫টি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন - ডোজ, কনসেন্ট্রেশন, কম্পোজিশন থেকে শুরু করে পুরনো ওষুধ ব্যবহারের ঝুঁকি পর্যন্ত কী কী ভুল নজর এড়িয়ে যেতে পারে বাবা-মায়েদের।

প্যারাসিটামল কি সত্যিই নিরাপদ?
ডাঃ রাস্তোগি বলেন, প্যারাসিটামল শিশুদের জ্বর কমানোর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে ওষুধের পাশাপাশি উষ্ণ গরম জলে গা মুছিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তবে সতর্ক করেছেন - অন্য কোনও স্যালিসাইলেট, যেমন অ্যাসপিরিন, শিশুকে কখনও দেওয়া উচিত নয়। কারণ ভাইরাল অসুখের সময় এটি, বিরল হলেও, লিভারের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।

ডোজ: ওষুধের ডোজ শিশুর বয়স নয়, বরং ওজনের উপর নির্ভর করে। উদাহরণ দিতে তিনি বলেন, “একই বয়সের দুই শিশু - একজনের ওজন ৮ কেজি আরেকজনের ১২ কেজি হলে, দু’জনের ডোজ সম্পূর্ণ আলাদা হবে।” কম ডোজে কাজ হবে না, আবার বেশি ডোজ ক্ষতিকর হতে পারে। তাই চিকিৎসকের দেওয়া সঠিক ডোজ মেনে চলাই সবচেয়ে জরুরি।

ড্রপস বনাম সিরাপ: ড্রপস আর সিরাপের কনসেন্ট্রেশন এক নয়। ডাঃ রাস্তোগি জানান, “১ মিলি ড্রপসে থাকে ১০০ মি.গ্রা. পারাসিটামল, কিন্তু সিরাপে থাকে ২৫ বা ৫০ মি.গ্রা।” তাই কোন ফর্ম প্রেসক্রাইব করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া দরকার।

কম্পোজিশন: বাজারে নানা ধরনের প্যারাসিটামলের কম্বিনেশন পাওয়া যায়। তবে শিশুদের জন্য মেফেনামিক অ্যাসিড বা আইবুপ্রোফেনের সঙ্গে প্যারাসিটামল মিশ্রিত ওষুধ ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ। বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া এই ধরনের কম্বিনেশন শিশুকে দেওয়া উচিত নয়।

পুরনো ওষুধ ব্যবহার করবেন না: ডাঃ রাস্তোগি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “পুরনো খোলা বোতল ব্যবহার করবেন না। কয়েক মাস আগে খোলা হয়েছিল এমন বোতল থেকে ওষুধ খাওয়ানো উচিত নয়।” এতে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়। তাই এক মাসের বেশি সময় আগে খোলা বোতল ফেলে দিয়ে নতুন সিল করা বোতল ব্যবহার করা উচিত।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]