প্যাকেজ লেনদেনেও শুল্কছাড় তুলে নিল আমেরিকা!

আপলোড সময় : ২৯-০৮-২০২৫ ০১:৩৫:২৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৯-০৮-২০২৫ ০১:৩৫:২৩ অপরাহ্ন
৮০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৭০,২৪৩ টাকা) বা তার কম মূল্যের প্যাকেজ লেনদেনের উপর এত দিন আমেরিকা যে শুল্কছাড় দিত, তা তুলে নেওয়া হল। শুক্রবার থেকে আর কোনও প্যাকেজের লেনদেনে শুল্কছাড় প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এ বার থেকে আমেরিকায় কোনও পার্সেল পাঠাতে হলে স্বাভাবিক হারেই শুল্ক দিতে হবে। অর্থাৎ, পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে যে দেশের উপরে যত শুল্ক চাপানো হয়েছে, প্যাকেজ বা পার্সেল পাঠানোর ক্ষেত্রেও তা-ই দিতে হবে। যে কোনও মূল্যের পার্সেলের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু করে দেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী ছ’মাসের জন্য পার্সেল প্রেরকদের অন্য একটি বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগও দিয়েছে ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, প্রেরকেরা চাইলে আগামী ছ’মাসের জন্য সরাসরি বাড়তি অর্থ দিয়ে আমেরিকায় পার্সেল পাঠাতে পারবেন। বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে এই বাড়তি অর্থের পরিমাণ বিভিন্ন রকম। ৮০ ডলার (৭,০২৪ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ২০০ ডলার (১৭,৫৬১ টাকা) পর্যন্ত বাড়তি দিতে হতে পারে এক-একটি পার্সেলের জন্য। আমেরিকার কাস্টম্‌স ও বর্ডার প্রোটেকশন এজেন্সি (সিবিপি) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, যে সমস্ত দেশের উপর এখন মার্কিন রফতানি শুল্ক ১৬ শতাংশ বা তার কম, তারা পার্সেল পাঠানোর ক্ষেত্রে বাড়তি ৮০ ডলার দিলেই হবে। এই তালিকায় ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কিছু দেশ রয়েছে। যে দেশের উপর শুল্ক ১৬ থেকে ২৫ শতাংশ, তাদের পার্সেলের জন্য বাড়তি দিতে হবে ১৬০ ডলার (১৪,০৪৯ টাকা)। ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম এই তালিকায় পড়ছে। চিন, ভারত, ব্রাজিল, কানাডার মতো যে সমস্ত দেশের উপর আমেরিকা ২৫ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপ করেছে, তাদের পার্সেলের জন্য সর্বোচ্চ ২০০ ডলার দিতে হবে। তবে এই নিয়ম ছ’মাসের জন্য। তার পর থেকে সব দেশের পার্সেলেই স্বাভাবিক রফতানি শুল্ক প্রযোজ্য হবে।

আমেরিকার বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানিয়েছেন, পার্সেল লেনদেনের ক্ষেত্রে শুল্কছাড় যে তুলে নেওয়া হল, এই ব্যবস্থা স্থায়ী। ভবিষ্যতে কোনও দেশের ক্ষেত্রে ব্যবস্থার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। শুল্কছাড়ের সুযোগ নিয়ে আমেরিকায় নিষিদ্ধ মাদক এবং অন্য বিপজ্জনক জিনিসপত্র প্রবেশ করত বলে দাবি করেছেন তিনি। এই সিদ্ধান্তের পর তা কমবে। পিটার বলেন, ‘‘ভয়ঙ্কর শুল্কছাড় বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিয়েছেন, তাতে আগামী দিনে আমেরিকানেরা লাভবান হবেন। মাদক এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ ও বিপজ্জনক জিনিসপত্র আর আমেরিকায় অবাধে ঢুকতে পারবে না। তা ছাড়া, এর থেকে বছরে এক হাজার কোটি ডলার বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে। এটা একটা স্থায়ী পরিবর্তন।’’

পার্সেলে শুল্কছাড় থাকায় অনেক দেশ রফতানি শুল্ক এড়ানোর মাধ্যম হিসাবে এই পথকে ব্যবহার করত বলে অভিযোগ। কারণ, সাধারণ রফতানিতে শুল্ক দিতে হলেও পার্সেলের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকের হাতে যদি সেই পণ্য পৌঁছে দেওয়া যায়। তাতে শুল্ক এড়ানো যেত। চিন-সহ একাধিক দেশ আমেরিকায় পার্সেল পাঠাত এ ভাবেই। নিয়মের এই ‘ফাঁক’ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকায় আলোচনা চলছিল। অনেকে এর বিরোধিতা করেছিলেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পার্সেলে নজরদারি তুলনামূলক কম থাকত। ফলে এই পথে নিষিদ্ধ জিনিসপত্রও আমেরিকায় ঢুকত। এ বার সেই পথ বন্ধের জন্য উদ্যোগী হল ট্রাম্প প্রশাসন।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]