‘নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে’ যুবদল নেতাকে খুন করেন স্ত্রী

আপলোড সময় : ২৬-০৮-২০২৫ ০৩:৪২:২২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৬-০৮-২০২৫ ০৩:৪২:২২ অপরাহ্ন
খুলনার ডুমুরিয়ায় যুবদল নেতা এস এম শামীম (৩৬) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্ত্রী ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন শামীমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (২৮)।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় খুলনা জেলা পুলিশ। এর আগে সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শামীমকে হত্যার জন্য যে ছুরিটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি কয়েক দিন আগে শামীম স্ত্রীর কাছে রেখেছিলেন। হত্যার পর সেই ছুরি বাড়ির পাশের জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়, পরে সেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে শামীমের স্ত্রী ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‍্যাব-৬–এর যৌথ দল।

জেলা পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে তার স্বামী শামীমে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ছিল। এ কারণে প্রায়ই বৃষ্টিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো তার স্বামী। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে সে তার স্বামীকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার তিনদিন আগে সে তার মামাতো ভাই ওবায়দুল্লাহকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। ঘটনার আগের দিন ২১ শে আগস্ট বৃষ্টি ওবায়দুল্লাহকে জানান যে তার স্বামী শামীম বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার কারণে সে শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। এরপর তিনি ওবায়দুল্লাহকে জিজ্ঞেস করেন শামীমকে খুন করতে পারবে কি-না। এতে ওবায়দুল্লাহ সম্মতি জানায়।

দুজনের পরিকল্পনায় ঘটনার দিন ২২ আগস্ট রাতের খাবার শেষে শামীম শেখ ও তার স্ত্রী তৃতীয় তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটে যান। কিছুক্ষণ পর ওবায়দুল্লাহও তৃতীয় তলায় যান। ওবায়দুল্লাহ ছাদে গিয়ে বৃষ্টির রেখে দেওয়া একটি ছুরি নিয়ে পুনরায় তৃতীয় তলায় আসেন। তখন ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি শামীমকে খুন করার জন্য কীভাবে কোপ দিতে হবে তা ইশারায় ওবায়দুল্লাহকে দেখিয়ে দেন। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে ওবায়দুল্লাহ শামীমের ঘাড়ে কোপ দেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও মৃত্যুবরণ করেন। এসময় ওবায়দুল্লাহ ও বৃষ্টি ছাদে গিয়ে পরিকল্পনামতো ছুরিটি পাশের জলাশয়ে ফেলে দিয়ে দ্বিতীয় তলায় এসে শামীমের মায়ের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলতে থাকেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শামীমের মা-বাবা দুজনই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। প্রায় ২৫ বছর আগে তারা তালার উথালিগ্রাম থেকে ডুমুরিয়ার আঠারোমাইলে এসে বসবাস শুরু করেন। এক সময় মা–বাবার বিচ্ছেদ হয়। শামীম আগে আঠারোমাইল বাজারে মোটরসাইকেল মেকানিকের কাজ করতেন। বর্তমানে তাদের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। নিচতলা ভাড়া দেওয়া। তিনতলায় কেউ থাকতেন না। তৃতীয় তলায় প্রায়ই বহিরাগত মাদকসেবীদের আড্ডা বসত, সেখানে যেতেন শামীমও। যদিও তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না।

ডুমুরিয়া থানার ওসি মো. মাসুদ রানা বলেন, শামীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্ত্রী স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শ্যালককে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]