
কক্সবাজারের চকরিয়া থানা হাজতে দুর্জয় চৌধুরী (২৭) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন নিজের শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
তবে এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার এবং ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে জনমনে ব্যাপক সন্দেহ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুর্জয় চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে এবং তিনি চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানমের দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্জয়কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, দুর্জয় চেক জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানা হাজতে রাখা হয়। পরদিন ভোরে হাজতের ভেতরে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশের বক্তব্য
কক্সবাজার জেলা পুলিশের ভাষ্যমতে, দুর্জয় নিজের শার্ট গলায় পেঁচিয়ে হাজতের দরজার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু দুদকের তফসিলভুক্ত, তাই মামলা না নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এবং মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। থানার সিসিটিভি ফুটেজে আত্মহত্যার দৃশ্য সরাসরি দেখা না গেলেও, হাজতের ভেতরে দুর্জয়ের গতিবিধি ও অন্যান্য কার্যকলাপের দৃশ্য রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ
নিহতের পরিবার পুলিশের আত্মহত্যার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। দুর্জয়ের বাবা কমল চৌধুরী অভিযোগ করেন, মিথ্যা অভিযোগে তার ছেলেকে বিদ্যালয়ে একটি কক্ষে আটকে রেখে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার দাবি, দুর্জয় গত কিছুদিন ধরে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
এদিকে, থানা হাজতে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা থানার সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে এবং এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, নিহতের পা দুটি মেঝেতে লেগে ছিল, যা এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
গৃহীত পদক্ষেপ
ঘটনার পর কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে চকরিয়া থানার এএসআই হানিফ মিয়া এবং কনস্টেবল ইশরাত হোসেন ও মহিউদ্দিনকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার এবং ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে জনমনে ব্যাপক সন্দেহ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুর্জয় চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে এবং তিনি চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানমের দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্জয়কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, দুর্জয় চেক জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানা হাজতে রাখা হয়। পরদিন ভোরে হাজতের ভেতরে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশের বক্তব্য
কক্সবাজার জেলা পুলিশের ভাষ্যমতে, দুর্জয় নিজের শার্ট গলায় পেঁচিয়ে হাজতের দরজার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু দুদকের তফসিলভুক্ত, তাই মামলা না নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে এবং মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। থানার সিসিটিভি ফুটেজে আত্মহত্যার দৃশ্য সরাসরি দেখা না গেলেও, হাজতের ভেতরে দুর্জয়ের গতিবিধি ও অন্যান্য কার্যকলাপের দৃশ্য রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ
নিহতের পরিবার পুলিশের আত্মহত্যার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। দুর্জয়ের বাবা কমল চৌধুরী অভিযোগ করেন, মিথ্যা অভিযোগে তার ছেলেকে বিদ্যালয়ে একটি কক্ষে আটকে রেখে মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার দাবি, দুর্জয় গত কিছুদিন ধরে বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
এদিকে, থানা হাজতে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা থানার সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে এবং এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায়, নিহতের পা দুটি মেঝেতে লেগে ছিল, যা এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
গৃহীত পদক্ষেপ
ঘটনার পর কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে চকরিয়া থানার এএসআই হানিফ মিয়া এবং কনস্টেবল ইশরাত হোসেন ও মহিউদ্দিনকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।