
নাটোরের লালপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সিরাজুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৪ এর বিচারক সোহাগ তালুকদার এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন তালুকদার টগর।
মামলার এজাহার সূত্রের বরাত দিয়ে এই আইনজীবী জানান, সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় ১২ বছর পূর্বে একই উপজেলার রামনারায়নপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে লতা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী লতা খাতুনকে নির্যাতন করতেন স্বামী সিরাজুল। এরই একপর্যায়ে ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে লতা খাতুনের মৃত্যুর খবর পান বাবা হেলাল উদ্দিন। পরে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় নিহত লতা খাতুনের বাবা হেলাল উদ্দিন লালপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে লতা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার তথ্য পাওয়া গেলে পুলিশ নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী লতা খাতুনকে হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে পুলিশ নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনসহ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। দীর্ঘ ৫ বছর মামলার স্বাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৪ এর বিচারক সোহাগ তালুকদার এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন তালুকদার টগর।
মামলার এজাহার সূত্রের বরাত দিয়ে এই আইনজীবী জানান, সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় ১২ বছর পূর্বে একই উপজেলার রামনারায়নপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে লতা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী লতা খাতুনকে নির্যাতন করতেন স্বামী সিরাজুল। এরই একপর্যায়ে ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে লতা খাতুনের মৃত্যুর খবর পান বাবা হেলাল উদ্দিন। পরে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় নিহত লতা খাতুনের বাবা হেলাল উদ্দিন লালপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে লতা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার তথ্য পাওয়া গেলে পুলিশ নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজুল ইসলাম তাঁর স্ত্রী লতা খাতুনকে হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে পুলিশ নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনসহ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। দীর্ঘ ৫ বছর মামলার স্বাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।