দৈনন্দিন কাজকর্মই সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে

আপলোড সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০৮:৫৪:০৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০৮-২০২৫ ০৮:৫৪:০৩ অপরাহ্ন
সন্তান বড় হয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী হবে, কী ভাবে আর পাঁচজনের সঙ্গে মেলামেশা করবে, তার ভিত তৈরি হয়ে যায় শৈশবেই। সে কারণেই মনোবিদ থেকে পেরেন্টিং কনসালট্যান্টরা বলেন, সন্তানের ছোটবেলার শিক্ষা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শুধু পড়ার বই বা স্কুলেই শিশুর শিক্ষা সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং দৈনন্দিন কাজ, রুটিন, অভ্যাস গঠনেই লুকিয়ে থাকে তার ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।

‘পাবমেড’-এ ২০২২ সালে প্রকাশিত ‘বায়োইনফরমেশন’ নামে জার্নালের একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, সঠিক অভ্যাস শিশুদের কাজে দক্ষ এবং স্থিতধী করে তোলে। তাদের কাছ থেকে কী চাওয়া হচ্ছে, তারা অভিভাবকের কাছে কোনটা চায়, সেটা স্পষ্ট হলেই অনেক কাজ সহজ হয়ে যায়। ইউনিসেফ থেকে প্রাপ্ত বলছে, সঠিক অভ্যাসের দ্বারা শিশু যখন তাদের উন্নতি বা জীবনে অগ্রগতি কী ভাবে হচ্ছে বুঝতে পারে, তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।

কোন কাজে কোন শিক্ষায় অভ্যস্থ হয়ে উঠবে শিশুরা?
১। খেলাধুলোর পর নিজের খেলনা নির্দিষ্ট স্থানে গুছিয়ে রাখা, নির্দিষ্ট সময় অন্তর খেলনা পরিষ্কার, জায়গার জিনিস জায়গায় রাখা— বয়সোচিত এমন কিছু শিক্ষা শিশুদের আত্মনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করে। কোন কাজ করলে তার ফল কী হয়, সে সম্পর্কে সন্তান যেমন সচেতন হবে, তেমনই সে বড়দের কথা শুনতে শিখবে, নিয়মানুবর্তী হয়ে উঠবে।

২। নিয়মিত ঘড়ি ধরে পড়তে ধরার অভ্যাস সন্তানের জন্য খুব জরুরি। সেখানেও নির্দিষ্ট রুটিন করা যেতে পারে। কোনও দিন হোমওয়ার্ক করতে হবে, কোনও দিন জোরে পড়তে হবে। নিয়ম করে একই সময়ে পড়তে বসালে সন্তান বুঝতে শিখবে, সেই সময়ে পড়তে হয়। রুটিন তৈরি করে দিলে, কোন কাজটি কখন করতে হবে, সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে।

৩। সন্তান একটু বড় হলে নিজের স্কুল ব্যাগ, জলের বোতল গুছিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব তাকেই দেওয়া দরকার। স্কুলে যাওয়ার আগে তাড়াহুড়োয় সে কাজ করতে পারবে না। কিন্তু প্রতি দিন সন্ধ্যায় বা রাতে তাকে দিয়ে এই কাজটি করানো হল তার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি হবে। নিজের জিনিস গুছিয়ে রাখতে শিখবে সন্তান। ছোট ছোট সাধারণ শিক্ষায় সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনকে সহজ করে দিতে পারে।

৪। শোনা এবং বলার অভ্যাসের জন্য রাতের সময়টা নির্দিষ্ট করা যেতে পারে। ছোটরা এখন মোবাইলেই আনন্দ খোঁজে। শুতে যাওয়ার আগে মোবাইলে চোখে রাখলে ঘুম আসায় সমস্যা হতেই পারে। এই সময়টা সন্তানকে গল্প শোনানো, গান শোনানো বা তার কথা শোনার জন্য রাখা যেতে পারে। সুস্থ শরীরের জন্য ঘুমের সময় নির্দিষ্ট হওয়া দরকার।

৫। গাছে জল দেওয়া, পোষ্য থাকলে তাকে খেতে দেওয়া— এমন কাজ তাকে পরিবেশ, পোষ্যের সঙ্গে একাত্ম হতে শেখাবে। তারাও যে জীবনের অঙ্গ, সে কথা বুঝতে শিখবে সন্তান।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]