
চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশাও জব্দ করা হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ জানতে পারে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি সিএনজিযোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। এমন তথ্যের ওপর ভিত্তিতে সোমবার (১৮ আগস্ট) র্যাবের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন করেরহাট এলাকায় পাকা রাস্তার ওপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে।
এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি সন্দেহজনক সিএনজি অটোরিকশাকে থামার সংকেত দেওয়া হলে, চালক গাড়িটি না থামিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে সিএনজিটি আটক করে এবং তিনজনকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন: মোঃ ইকবাল হোসেন মজুমদার (৩৭), পিতা-মৃত নুরুল আলম মজুমদার সুশান্ত সূত্রধর (৩১), পিতা-বাবুল সূত্রধর মোঃ আলী আজগর লিটন (৩৬), পিতা-মৃত দেলোয়ার হোসেন। তাদের সকলের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানা এলাকায়।
মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে তাদের হেফাজতে থাকা সিএনজি অটোরিকশার ভেতর থেকে দুটি প্লাস্টিকের বস্তা এবং একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভেতরে কৌশলে মোড়ানো অবস্থায় ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে সিএনজি অটোরিকশা ব্যবহার করে খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কাছে খুচরা ও পাইকারি মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব-৭।