নাবিল গ্রুপের মুরগি খামারের বর্জ্যে পরিবেশ দুষণ,খামার বন্ধের দাবি

আপলোড সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১০:২৮:১৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১০:২৮:১৯ অপরাহ্ন
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী কাঁকনহাট  পৌর এলাকার গড়গড়ায় নাবিল গ্রুপের মুরগি খামারের মুরগির বিষ্ঠার (বর্জ্য) দুর্গন্ধে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
মুরগি খামারের বিষ্ঠা ও পরিবেশ দুষনকারী বর্জ্য প্রতিনিয়ত খোলা স্থানে  ফেলায় ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা খামার বন্ধ অথবা অন্যত্র সরিয়ে নেবার দাবি করেছেন।

তারা বলেন,পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ব্যতিত নাবিল গ্রুপ অবৈধভাবে লোকালয়ে মুরগি খামার গড়ে তুলেছেন।ইতমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ বিপর্যয় বন্ধে নাবিল গ্রুপকে চিঠি দিয়েছেন।

স্থানীয় সুত্র জানায়, প্রতিদিন খামার থেকে বিপুল পরিমাণ মুরগির বিষ্ঠা ও বর্জ্য কোনো ধরনের প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই গড়গড়া মহল্লার খাড়িতে ফেলা হচ্ছে। এতে খাড়ির পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে প্রচন্ড দুর্গন্ধ। ফলে আশপাশের পরিবেশ হয়ে উঠেছে দূষিত ও মানুষের বসবাসের অনুপযোগী।দিনের পর দিন দুষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্থানীয় অধিবাসীরা জানান খামার কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলার পরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিযোগ করার পর বর্জ্য ফেলার পরিমাণ আরো বেড়েছে। অথচ আগে এসব বর্জ্য ট্রাকে করে বাইরে সরিয়ে নেওয়া হতো। কিন্তু এখন পরিবহন খরচ বাঁচাতে কিছু অসাধু ব্যক্তি গভীর রাতে  (১টা থেকে ৩টা) মহল্লার বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে খাড়ির পানিতে এসব বর্জ্য ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় কিছু গাড়ি চালক নাবিল গ্রুপের কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে মালিকের কথা মতো এ ধরনের পরিবেশ দুষণ ও বিপর্যয়ে লিপ্ত রয়েছে ।

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বিষাক্ত এসব বর্জ্য রাতারাতি কৃষিজমিতে ফেলে আবাদি ফসলের ক্ষতি করছে। খাড়ির পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করলেও বর্তমানে তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে এলাকার পরিবেশে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও মুক্তি মিলছে না। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে শিশু ও বৃদ্ধরা। অনেকেই শ্বাসকষ্ট, ত্বকের সমস্যা ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে শুধু গড়গড়ার সাধারণ মানুষ নয় এই বর্জ্যে দুষণে
অতিষ্ঠ হয় উঠেছে, বিলাসী খাড়ী, বিলাসী গ্রাম ও রিশিকুল ইউনিয়নের (ইউপি) বাসিন্দারা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, “এই ধরনের বর্জ্য যখন পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, তখন তা বায়ু দূষণের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। এসব জীবাণু পশু-পাখি ও মানুষের নানা ধরনের রোগের কারণ হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়।”

এ বিষয়ে নাবিল পোল্ট্রি ফার্ম নাভার জেনারেল ম্যানেজার সালাম বলেন, “আমরা বিষয়টা জেনেছি, আমাদের থার্ড-পার্টিকে চুক্তি দেওয়া আছে। তারা আমাদের ফার্ম গেটের বাইরে বের হলে আমাদের দেখার দায়িত্ব নেই। কিন্তু পরিবেশর স্বার্থে আমরা একাধিকবার তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে সমাধান করবেন কিন্তু করে না।

নাবিল গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস) বেলাল হোসেন বলেন, “এটা ঠিক যে আমরা নিজেরা বর্জ্য ফেলি না, বরং থার্ড পার্টির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। তাদের পরিষ্কারভাবে বলা আছে, আশপাশে কিংবা খোলা স্থানে ফেলা যাবে না। তারা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরও করেছে। যদি তারা এসব শর্ত ভঙ্গ করে, তবে আমাদেরকে হয়তো চুক্তি বাতিল করতে হতে পারে যাতে করে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করা হয়। আমরা চাই না পরিবেশ বা এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হোক।

এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহীর সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে অভিযোগ পেয়েছি এবং কাজ শুরু হয়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দিয়েছি। তারা জানিয়েছে, কাজ প্রক্রিয়াধীন। যদি তারা সমাধান না করে, তাহলে সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]