সকালে রাখি পরিয়েছিল বোন, রাতে তাকেই ধর্ষণ করে খুন করলেন তুতো দাদা!

আপলোড সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ০১:১২:৪৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৩-০৮-২০২৫ ০১:১২:৪৫ অপরাহ্ন
রাখিপূর্ণিমায় তুতো বোন তাঁর হাতে রাখি বেঁধেছিলেন। ১৪ বছরের সেই নাবালিকাকেই ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ৩৩ বছরের যুবক। শুধু তা-ই নয়, খুনের পর অপরাধ ঢাকতে কম চেষ্টা করেননি তুতো দাদা। দেখাতে চেয়েছিলেন, বোন আত্মহত্যা করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আউরিয়ায়। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শনিবার সকালে কাকার বাড়িতে গিয়েছিলেন। রাখিপূর্ণিমা ছিল। তুতো দাদার হাতে রাখি পরান বোন। খাওয়াদাওয়া হয়। আনন্দ করে গোটা পরিবার। নিজের বাড়ি চলে যান ওই যুবক। পরের দিন সকালে ১৪ বছরের কন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন বাবা। কী থেকে কী হল, কিছুই মাথায় ঢুকছিল না পরিবারের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।

স্কুলছাত্রীর দেহ উদ্ধারের খানিক ক্ষণ পরেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়ে যান যে, এটা আত্মহত্যা নয়, খুন। ঘরের যত্রতত্র ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দেখতে পান তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরিবারের সকল সদস্যকে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগে মেয়েটির সঙ্গে কারা কথা বলেছেন, মেয়েটি কী করেছে, বাড়িতে কেউ এসেছিলেন কি না, সমস্ত খবর নেয় পুলিশ। এর পর ডাক পড়ে ওই তুতো দাদার। টানা জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়েন ওই যুবক। স্বীকার করে নেন অপরাধের কথা।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বোনের হাত থেকে রাখি পরে কাকার বাড়িতে খাওয়াদাওয়া সেরে নিজের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন যুবক। তবে গভীর রাতে আবার কাকার বাড়িতে যান তিনি। তবে সকলের অজান্তে। মত্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। কোনও ভাবে কাকার বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। তিনি জানতেন বোন কোন ঘরে ঘুমোয়।

নাবালিকা ঘুমিয়ে ছিল। সেই অবস্থায় তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তুতো দাদা। ১৪ বছরের মেয়েটির গোঙানির শব্দ দরজা পেরিয়ে পাশে বাবা-মায়ের ঘরে পৌঁছোয়নি। কেউ কিচ্ছুটি টের পাননি। যে বোনের হাত থেকে সকালে রাখি পরেছেন, রাতে তাকেই ধর্ষণ করে গলা টিপে খুন করেন দাদা!

তদন্তকারীদের দাবি, খুনের পরে ঠান্ডা মাথায় ছিলেন অভিযুক্ত। তাই খুনকে আত্মহত্যা দেখানোর জন্য বোনের গলায় দড়ির ফাঁস পরিয়ে ঝুলিয়ে দেন। বিছানাপত্র গোছগাছ করে সন্তর্পণে ঘর থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তবে মেঝেতে রক্তের দাগের কথা ভুলে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাবে পুলিশ। নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]