‘ভুল রাস্তায়’ সঙ্গম! বিয়ের চার বছরেও সন্তান না আসায় ডাক্তারের কাছে জানলেন সঠিক পদ্ধতি

আপলোড সময় : ০২-০৮-২০২৫ ০৯:৪৫:০৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০২-০৮-২০২৫ ০৯:৪৫:০৫ অপরাহ্ন
বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী এবং সন্তান মিলে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চান অনেকেই। ব্যতিক্রম ছিলেন না এই দম্পতিও। কিন্তু চার বছর চেষ্টা করার পরেও সন্তান আসেনি তাঁদের ঘরে। চীনের এক প্রান্তিক শহরে বসবাসকারী ওই দম্পতির জীবনে নেমে আসে প্রশ্নের ঝড়। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ, সবদিক থেকেই আসছিল চাপ। শেষমেশ স্বামী-স্ত্রী মিলে একদিন গিয়েই ফেললেন স্থানীয় হাসপাতালের গাইনোকলজিস্ট না স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে।

প্রথমে চিকিৎসক ভেবেছিলেন নিশ্চয়ই দম্পতির কারও একজনের শরীরে কোনও সমস্যা রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর দেখা যায় সব কিছুই স্বাভাবিক। এরপর কিছুটা কৌতূহলী হয়ে পড়েন চিকিৎসক। আরও কিছুক্ষণ পরীক্ষার পর যা দেখেন তাতে ডাক্তারদের চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। দেখা যায় ওই বধূর হাইমেন অক্ষত! অর্থাৎ, তিনি এখনও কুমারী! আরও একটি অবাক করার মতো বিষয় দেখতে পান চিকিৎসকেরা। বধূর পায়ুপথে একাধিকবার ইনফেকশনের ইতিহাসও রয়েছে। সন্দেহ ঘনীভূত হতেই ডাক্তাররা সরাসরি কথা বলেন ওই দম্পতির সঙ্গে। দীর্ঘ আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তরের পর উঠে আসে বিস্ময়কর সত্য। চার বছর ধরে ওই দম্পতি শুধুই পায়ুপথে সঙ্গম করে আসছেন। তাঁরা ভাবতেন সেটিই স্বাভাবিক সন্তানধারণের পথ!

ঘটনাটি একটি মেডিক্যাল জার্নালের মাধ্যমে প্রথমবার সামনে আসে এবং এরপর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা যায়, ওই দম্পতি রীতিমতো গ্রামীণ পরিবেশে মানুষ। সেখানে যৌনতা নিয়ে কথা বলা একপ্রকার নিষিদ্ধ।

পরিবারের বড়দের কাছে বা সমাজে যৌন শিক্ষার কোনও সুযোগই তাঁরা পাননি। এমনকী স্কুল-কলেজেও এই বিষয় নিয়ে কোনওরকম পাঠ ছিল না তাঁদের জীবনে। ফলে, ‘সঙ্গম’ এবং ‘প্রজনন’-এর মৌলিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও তাঁরা ছিলেন সম্পূর্ণ অজ্ঞ। শেষপর্যন্ত চিকিৎসকরা তাঁদের সহজভাবে বোঝান নারীর গর্ভধারণের জন্য সঠিক প্রক্রিয়া কী, নারীর শরীর কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে একটি নতুন প্রাণ সৃষ্টি হয়। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেন দম্পতি। পরবর্তীতে জানা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই ওই বধূ অন্তঃসত্ত্বা হন।

এই ঘটনাটি নেট মাধ্যমে হাস্যরসের উদ্রেক করলেও বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এটিকে নিছক মজার গল্প হিসাবে মনে করতে নারাজ। বরং এটি গভীর এক সামাজিক সংকটের দিকেই ইঙ্গিত করে। সমস্যাটি হল যথাযথ যৌনশিক্ষার অভাব। এমন অজস্র মানুষ আজও রয়েছেন, যাঁরা প্রজনন কিংবা যৌনতা নিয়ে ন্যূনতম জ্ঞান ছাড়াই বিবাহিত জীবনে পা রাখেন। সমাজের রক্ষণশীলতার চাদরে ঢাকা পড়ে যায় বাস্তব, আর তার পরিণতিতে দেখা যায় এমন বিভ্রান্তিকর ও কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌনতা নিয়ে গোপনীয়তা নয়, দরকার খোলামেলা, তথ্যভিত্তিক ও বৈজ্ঞানিক আলোচনা। স্কুলে, বাড়িতে, এমনকী চিকিৎসালয়েও এই বিষয় নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। কারণ যৌনতা কোনও ট্যাবু নয়। এটি শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।

শেষ পর্যন্ত সেই দম্পতির জীবনে সন্তান এলেও এই প্রশ্ন থেকেই যায় যে যদি না তাঁরা চিকিৎসকের কাছে যেতেন, আর যদি না চিকিৎসকেরা খোলামনে কথা বলতেন, তবে কি আজও তাঁরা সন্তানের আশায় দিশেহারা হয়ে বসে থাকতেন।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]