বিয়ের পর মোহর বাড়ানো যায়?

আপলোড সময় : ৩০-০৭-২০২৫ ০২:৩৪:০৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ৩০-০৭-২০২৫ ০২:৩৪:০৮ অপরাহ্ন
নারী-পুরুষের বৈধ ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার একমাত্র হালাল মাধ্যম হচ্ছে বিয়ে। যার অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে মোহর। এটি স্ত্রীর অধিকার। স্বামীর তা পরিশোধ করা ইসলামের বিধান।

ইসলামি শরিয়তে বিয়ের সময় মোহর নির্ধারণ করা ওয়াজিব। এটা নির্ধারণ না করলেও মোহরে মিসিল বা স্ত্রীর সমান সামাজিক মর্যাদার অন্য নারীদের স্বাভাবিক মোহর তাকে দেয়া আবশ্যক হয়ে যায়। 
 
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন,
 
وَ اٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِهِنَّ نِحۡلَۃً فَاِنۡ طِبۡنَ لَکُمۡ عَنۡ شَیۡءٍ مِّنۡهُ نَفۡسًا فَکُلُوۡهُ هَنِیۡٓــًٔا مَّرِیۡٓــًٔا অর্থ: আর তোমরা নারীদের উপহার হিসেবে তাদের মোহর দিয়ে দাও, তারপর যদি তারা তোমাদের জন্য তা থেকে খুশি হয়ে কিছু ছাড় দেয়, তাহলে তোমরা তা সানন্দে তৃপ্তিসহকারে খেতে পার। (সুরা নিসা: ৪) 

বিয়ের আকদের সময় যে মোহর নির্ধারণ করা হয়, আকদের পর স্বামী-স্ত্রী উভয়ে চাইলে তা বৃদ্ধি করতে পারে। স্ত্রী যদি মোহর বাড়ানোর অনুরোধ করে এবং স্বামী স্বতস্ফূর্তভাবে তাতে রাজি হয়, তাহলে ওই বর্ধিত অংকও মোহরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় এবং তা আদায় করাও ওয়াজিব হয়ে যায়।
 
উদাহরণস্বরূপ বিয়ের আকদের সময় মোহর হিসেবে যদি তিন লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়, বিয়ের পর স্ত্রী মোহর বাড়ানোর দাবি করলে স্বামী তাতে সম্মত হয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করে, তাহলে মোহর হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকাই আদায় করতে হবে। 

মোহর নারীর মূল্য নয় বরং একটি উপহার যা স্বামীর আগ্রহের প্রমাণ বহন করে। পবিত্র কোরআনের আয়াতেও উপহার বলে স্পষ্ট করা হয়েছে যে এটা নারীর মূল্য বা বিনিময় নয়। একইসঙ্গে কোরআনে মোহর স্ত্রীকে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে বোঝানো হয়েছে মোহরের মালিক হবে স্ত্রী, তার পরিবার বা অভিভাবকরা নয়। স্ত্রীর ইচ্ছে হলে মোহরে ছাড়ও দিতে পারেন।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]