
খাওয়াদাওয়ায় রাশ টেনেছেন। নিয়ম করে যোগব্যায়াম বা প্রাতর্ভ্রমণও শুরু করেছেন হয়তো। কারণ মনে মনে ঠিক করে ফেলেছেন, পুজোর আগেই বেশ কয়েক কেজি ওজন শরীর থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে অন্যত্র। খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চায় ওজন কমছে হয়তো। কিন্তু পেট আর কোমরে যে টানটান ভাব আসবে বলে আশা করেছিলেন, সেটি হচ্ছে না। কিছুতেই কমছে না ভুঁড়ি। এমন পরিস্থিতির কারণ হতে পারে একটি হরমোন। যার নাম কর্টিসল।
কর্টিসল কী?
কর্টিসল কী, তা তার ডাকনাম জানলেই অনেকটা বোঝা যায়। একে যে নামে অধিকাংশে চেনেন, তা হল 'স্ট্রেস হরমোন'। মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা হতাশায় থাকলে এই হরমোনের ক্ষরণ হয় সবচেয়ে বেশি। আর এই হরমোন শরীরের নানা রোগের পাশাপাশি ওজনবৃদ্ধিরও কারণ হতে পারে।
কর্টিসলের মাত্রা বাড়লে কী কী সমস্যা হতে পারে?
ওজন বৃদ্ধিতে কর্টিসলের মাত্রা নিয়ে সবিস্তার কথা বলেছেন, ব্রিটেনের এক ফিটনেস প্রশিক্ষক, পুষ্টিবিদ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা ডিলান পটেল। যিনি নিজে ক্যানসারের মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন এবং এখন তাঁর অর্জিত জ্ঞান অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তৈরি করেছেন নিজস্ব ওয়েলনেস সংস্থা। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে ডিলান বলছেন, ‘‘ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁদের অধিকাংশই স্ট্রেস হরমোন নিয়ে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করেন না। অথচ মুখের ফোলা ভাব, পেট এবং কোমরের চর্বি ঝরতে না চাওয়ার একটা বড় কারণ এই স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিসল। এই একটি হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে অনেক সমস্যা দূর হতে পারে। যে সুন্দর ছিপছিপে চেহারা পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তা-ও পেতে পারেন কর্টিসলকে সামলে রাখলে। এমনকি, একঘেয়ে ক্লান্তিবোধ তাড়াতেও এটি উপকারী।’’ তবে তার আগে জানতে হবে, আপনার শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেশি কি না।
কী ভাবে বুঝবেন শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেশি?
ডিলান জানাচ্ছেন, শরীরে কর্টিসল হরমোন মাত্রাছাড়া কি না বা ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ কর্টিসল কি না, তা কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলে বোঝা যায়—
১। মুখে আর পেটেই কি চর্বি জমছে বেশি। মুখে কি ফোলাভাব লক্ষ করছেন? তবে তার কারণ হতে পারে কর্টিসল।
২। সারা দিন এক ধরনের ক্লান্তিবোধ থাকছে? অথচ যখন ঘুমনোর সময় আসছে, তখন ঘুম পাচ্ছে না। কারণ, কর্টিসল।
৩। সব সময়ে কি যে কোনও বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনাচিন্তা করে ফেলেন এবং তা নিয়ে টেনশনে থাকেন? তা হলে হতেই পারে কর্টিসলের জন্য এমন হচ্ছে।
৪। ব্রেন ফগিংও হতে পারে কর্টিসলের মাত্রাবৃদ্ধির কারণ। ভুলে যাওয়া, মাথা কাজ না করা বা ধরুন, কোনও ঘরে ঢুকে ভুলেই গেলেন কেন সেখানে এসেছেন— এমন লক্ষণ যদি দেখা যায়, তবে তাতে কর্টিসলের ভূমিকা রয়েছে।
৫। নিত্যদিনের হজমের সমস্যাও হতে পারে কর্টিসলের ক্ষরণ বেশি হওয়ার উপসর্গ।
কর্টিসল নিয়ন্ত্রণ করবেন কী ভাব?
১। ডিলান বলছেন, ‘‘খুব সহজ কয়েকটি পন্থা রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল ধ্যান। প্রতি দিন সকালে যদি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে ধ্যান করেন, তবে তা কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।’’
২। কর্টিসল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিজেকে হিতৈষী মানুষজনে ঘিরে রাখার পরামর্শও দিচ্ছেন ডিলান।
৩। তার পাশাপাশি খাবারেও বদল আনার কথা বলছেন ডিলান। তিনি জানাচ্ছেন, যে সমস্ত খাবারে ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি এবং যে খাবারে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট বেশি, যেমন গ্রিন টি, ডার্ক চকোলেট, আমলকি ইত্যাদি, তা খেলে কর্টিসল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪। চিনি বেশি আছে বা ক্যাফিন বেশি আছে, এমন খাবার আবার কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কর্টিসল কী?
কর্টিসল কী, তা তার ডাকনাম জানলেই অনেকটা বোঝা যায়। একে যে নামে অধিকাংশে চেনেন, তা হল 'স্ট্রেস হরমোন'। মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা হতাশায় থাকলে এই হরমোনের ক্ষরণ হয় সবচেয়ে বেশি। আর এই হরমোন শরীরের নানা রোগের পাশাপাশি ওজনবৃদ্ধিরও কারণ হতে পারে।
কর্টিসলের মাত্রা বাড়লে কী কী সমস্যা হতে পারে?
ওজন বৃদ্ধিতে কর্টিসলের মাত্রা নিয়ে সবিস্তার কথা বলেছেন, ব্রিটেনের এক ফিটনেস প্রশিক্ষক, পুষ্টিবিদ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা ডিলান পটেল। যিনি নিজে ক্যানসারের মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন এবং এখন তাঁর অর্জিত জ্ঞান অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তৈরি করেছেন নিজস্ব ওয়েলনেস সংস্থা। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে ডিলান বলছেন, ‘‘ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁদের অধিকাংশই স্ট্রেস হরমোন নিয়ে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করেন না। অথচ মুখের ফোলা ভাব, পেট এবং কোমরের চর্বি ঝরতে না চাওয়ার একটা বড় কারণ এই স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিসল। এই একটি হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে অনেক সমস্যা দূর হতে পারে। যে সুন্দর ছিপছিপে চেহারা পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তা-ও পেতে পারেন কর্টিসলকে সামলে রাখলে। এমনকি, একঘেয়ে ক্লান্তিবোধ তাড়াতেও এটি উপকারী।’’ তবে তার আগে জানতে হবে, আপনার শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেশি কি না।
কী ভাবে বুঝবেন শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেশি?
ডিলান জানাচ্ছেন, শরীরে কর্টিসল হরমোন মাত্রাছাড়া কি না বা ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ কর্টিসল কি না, তা কয়েকটি বিষয়ে নজর দিলে বোঝা যায়—
১। মুখে আর পেটেই কি চর্বি জমছে বেশি। মুখে কি ফোলাভাব লক্ষ করছেন? তবে তার কারণ হতে পারে কর্টিসল।
২। সারা দিন এক ধরনের ক্লান্তিবোধ থাকছে? অথচ যখন ঘুমনোর সময় আসছে, তখন ঘুম পাচ্ছে না। কারণ, কর্টিসল।
৩। সব সময়ে কি যে কোনও বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনাচিন্তা করে ফেলেন এবং তা নিয়ে টেনশনে থাকেন? তা হলে হতেই পারে কর্টিসলের জন্য এমন হচ্ছে।
৪। ব্রেন ফগিংও হতে পারে কর্টিসলের মাত্রাবৃদ্ধির কারণ। ভুলে যাওয়া, মাথা কাজ না করা বা ধরুন, কোনও ঘরে ঢুকে ভুলেই গেলেন কেন সেখানে এসেছেন— এমন লক্ষণ যদি দেখা যায়, তবে তাতে কর্টিসলের ভূমিকা রয়েছে।
৫। নিত্যদিনের হজমের সমস্যাও হতে পারে কর্টিসলের ক্ষরণ বেশি হওয়ার উপসর্গ।
কর্টিসল নিয়ন্ত্রণ করবেন কী ভাব?
১। ডিলান বলছেন, ‘‘খুব সহজ কয়েকটি পন্থা রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল ধ্যান। প্রতি দিন সকালে যদি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে ধ্যান করেন, তবে তা কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।’’
২। কর্টিসল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিজেকে হিতৈষী মানুষজনে ঘিরে রাখার পরামর্শও দিচ্ছেন ডিলান।
৩। তার পাশাপাশি খাবারেও বদল আনার কথা বলছেন ডিলান। তিনি জানাচ্ছেন, যে সমস্ত খাবারে ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি এবং যে খাবারে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট বেশি, যেমন গ্রিন টি, ডার্ক চকোলেট, আমলকি ইত্যাদি, তা খেলে কর্টিসল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪। চিনি বেশি আছে বা ক্যাফিন বেশি আছে, এমন খাবার আবার কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।