
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ভবানীপুর কুশুম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওহিদুলের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নথি গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (২০ জুলাই) অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য রমজান আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দাতা সদস্য রমজান আলী ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ সহকারী শিক্ষক ওহিদুল ইসলামকে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন। সে সময় প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ ২ সেপ্টেম্বর লিখিতভাবে সকল আসবাবপত্র ও কাগজপত্র ওহিদুল ইসলামকে বুঝিয়ে দেন। ওহিদুল ইসলাম একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন যে ৪৮টি উঁচু বেঞ্চ, ৪৮টি নিচু বেঞ্চ, ৪টি চেয়ার, ৪টি টেবিল, ৬টি হাজিরা রেজিস্টার, ২টি রেজুলেশন বহি, ৮টি অন্যান্য রেজিস্টার খাতা, ১টি ঘণ্টা, এবং ৪ সেট তালা-চাবিসহ বিদ্যালয়ের যাবতীয় আসবাবপত্র ও কাগজপত্র বুঝে নিয়ে অঙ্গীকারনাময় স্বাক্ষর করেন। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কুশুম উদ্দিন, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর দাতা সদস্যপদ শূন্য হওয়ায় একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে রমজান আলীকে বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য নির্বাচিত করা হয়।
এছাড়াও অভিযোগে আরো উল্লেখ্য রয়েছে যে, ওহিদুল ইসলাম দাতা সদস্য নির্বাচনের রেজুলেশন বহি এবং বিদ্যালয়ের প্রায় ১২ বছরের হিসাব-নিকাশ সহ সমস্ত কাগজপত্র গায়েব করে রেখেছেন। তিনি ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি নিজেকে ওই তারিখেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান দেখিয়ে একটি বড় ধরনের অনিয়ম করেছেন।
এছাড়াও তার চাকুরি সূত্রের তারিখ ও সালের অনেক গরমিল রয়েছে। রমজান আলী জানান,ওহিদুল ইসলাম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করান। এমনকি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের শিক্ষা তথ্য বিবরণীতে ওহিদুল ইসলামের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের তারিখ ১৯৯৫ সালের ৩০ এপ্রিল দেখানো হয়েছে।
ওহিদুল ইসলাম ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভবানীপুর কুশুম উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার পর ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলশিয়া হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে ছিলেন। সেখান থেকে ১৬ই ফেব্রুয়ারি বদলি হয়ে প্রয়াগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
এনিয়ে দাতা সদস্য রমজান আলী বাদি হয়ে ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে দাতা সদস্য রমজান আলী জানান,আমি অনেক দিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ওহিদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহ পায়নি। বর্তমানে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওহেদুল'এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মুঠো ফোনে জানান, আমি নতুন এসেছি এটি আপনার কাছে শুনলাম। এরকম অনিয়ম হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দাতা সদস্য রমজান আলী ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ সহকারী শিক্ষক ওহিদুল ইসলামকে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন। সে সময় প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ ২ সেপ্টেম্বর লিখিতভাবে সকল আসবাবপত্র ও কাগজপত্র ওহিদুল ইসলামকে বুঝিয়ে দেন। ওহিদুল ইসলাম একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন যে ৪৮টি উঁচু বেঞ্চ, ৪৮টি নিচু বেঞ্চ, ৪টি চেয়ার, ৪টি টেবিল, ৬টি হাজিরা রেজিস্টার, ২টি রেজুলেশন বহি, ৮টি অন্যান্য রেজিস্টার খাতা, ১টি ঘণ্টা, এবং ৪ সেট তালা-চাবিসহ বিদ্যালয়ের যাবতীয় আসবাবপত্র ও কাগজপত্র বুঝে নিয়ে অঙ্গীকারনাময় স্বাক্ষর করেন। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কুশুম উদ্দিন, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর দাতা সদস্যপদ শূন্য হওয়ায় একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে রমজান আলীকে বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য নির্বাচিত করা হয়।
এছাড়াও অভিযোগে আরো উল্লেখ্য রয়েছে যে, ওহিদুল ইসলাম দাতা সদস্য নির্বাচনের রেজুলেশন বহি এবং বিদ্যালয়ের প্রায় ১২ বছরের হিসাব-নিকাশ সহ সমস্ত কাগজপত্র গায়েব করে রেখেছেন। তিনি ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি নিজেকে ওই তারিখেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান দেখিয়ে একটি বড় ধরনের অনিয়ম করেছেন।
এছাড়াও তার চাকুরি সূত্রের তারিখ ও সালের অনেক গরমিল রয়েছে। রমজান আলী জানান,ওহিদুল ইসলাম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করান। এমনকি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের শিক্ষা তথ্য বিবরণীতে ওহিদুল ইসলামের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের তারিখ ১৯৯৫ সালের ৩০ এপ্রিল দেখানো হয়েছে।
ওহিদুল ইসলাম ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভবানীপুর কুশুম উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার পর ২৭ জানুয়ারি থেকে ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলশিয়া হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে ছিলেন। সেখান থেকে ১৬ই ফেব্রুয়ারি বদলি হয়ে প্রয়াগপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
এনিয়ে দাতা সদস্য রমজান আলী বাদি হয়ে ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে শিক্ষা অধিদপ্তরে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে দাতা সদস্য রমজান আলী জানান,আমি অনেক দিন ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ওহিদুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহ পায়নি। বর্তমানে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওহেদুল'এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মুঠো ফোনে জানান, আমি নতুন এসেছি এটি আপনার কাছে শুনলাম। এরকম অনিয়ম হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।