
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই পাইলট। এটিএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে ওয়ারউইক শহর থেকে উড়ে আসা একটি ছোট বিমান ওকির সেনা বিমানঘাঁটির কাছে ভেঙে পড়ে। তারপরই আগুন ধরে যায়। প্রশিক্ষণ চলাকালীনই ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা দু'জন পাইলটের মৃত্যু হয়েছে।
দুপুর তিনটে নাগাদ ওকির সোয়ার্টজ ব্যারাকে অবস্থিত আর্মি অ্যাভিয়েশন সেন্টারে অবতরণের সময় আচমকা ভেঙে পড়ে বিমানটি। তারপরই আগুন ধরে যায়। পাইলটদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় দু'জন পাইলট দক্ষতা পরীক্ষার প্রশিক্ষণে ছিলেন। বিমানে ছিলেন এয়ারো লজিস্টিকস নামে এক বেসরকারি সংস্থার পাইলট এবং একজন বিমান পরীক্ষক। দুপুর ৩টে নাগাদ ওকির সোয়ার্টজ ব্যারাকে অবস্থিত আর্মি অ্যাভিয়েশন সেন্টারে অবতরণের সময় আচমকা ভেঙে পড়ে বিমানটি। দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু হলেও পাইলটদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।
এটিএসবি-র প্রধান অ্যাঙ্গাস মিচেল জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ছিল Reims-Cessna F406 Caravan মডেলের। ১৯৯০ সালে ফ্রান্সে তৈরি হয় এটি। গত ১৩ বছর ধরে বিমানটি অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে এই একই ধরনের বিমানে অক্সিজেন ঘাটতির সমস্যায় পড়েছিলেন এক পাইলট। তবে দুটি দুর্ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বিমানটি ওকির আকাশে চক্কর কাটছিল। পাইলটরা কোনও জরুরি বার্তা পাঠিয়েছিলেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পাইলটেরা ‘আইএলএস অ্যাপ্রোচ’ বা ‘ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম’-এর অনুশীলনে ছিলেন। এই প্রযুক্তি খারাপ আবহাওয়াতেও বিমান নিরাপদে নামাতে সাহায্য করে।
বিমানে ব্ল্যাকবক্স থাকলে তা উদ্ধার করে বিশ্লেষণ করা হবে। পাশাপাশি পাইলটদের মোবাইল, ট্যাব, রেডার ও রেডিওর তথ্যও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে দুর্ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে এটিএসবি।