
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আপন চাচাতো বোনকে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার (২০ জুলাই) রাত ৩টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানাধীন গোলাবাড়ী এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন চৈতন্যপুর গ্রামের মৃত সলেমান আলীর ছেলে মোঃ সাদিকুল ইসলাম (৩৮) ও একই গ্রামের মোঃ সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ মোকতারা বেগম (৩২)।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-৫ সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, অত্র মামলার বাদী ও আসামীগন পরস্পর জ্ঞাতিগোষ্টি, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পৈত্রিক বসত ভিটায় বাড়িঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে । প্রায় এক বৎসর পূর্বে বাদী তার ভাগের জমিতে বাড়ী ঘর তৈরী করার উদ্যোগ গ্রহন করলে আসামীগণ তাকে বাড়ী ঘর নির্মানে বাঁধা প্রদান করে। ফলে বাদী তাদের ভিটের জমি মাপজোখ করার জন্য গ্রাম্য শালিস ডাকেন। শালিসদারগন উভয়ের জমির সীমানা মাপজোখ করে দেখতে পায় যে, আসামীগণ বাদীর প্রাপ্য জমির প্রায় এক ফুট ভিতরে বাড়ী ঘর নির্মান করেছেন। আসামীদের পাকা বাড়ী ভেঙ্গে দখলকৃত জমি উদ্ধার করা সম্ভব নয় মর্মে জমি বাবদ বাদীকে ক্ষতিপুরন প্রদান করার জন্য শালিসদারগন আসামীগনকে বলে কিন্তু আসামীগণ শালিসদারগনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এবং বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ।
গত ৫ জুলাই ২০২৫, বাদী তার নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে এবং বাদীসহ তার স্ত্রী ও কন্যা খালেদা বেগম, লিপি বেগম কাজে সাহায্য/ তদারকি করেন। এমন সময় পূর্ব পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রমূলে এজাহারনামীয় আসামীগণ হাতে হাঁসুয়া, কাতা, লাঠি, লাদনা, লোহার রড ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ছাদ হতে বাদীর ছাদে আসে এবং তাদের হাতে থাকা লাঠি লাদনা ও লোহার রড়, হাঁসুয়া, কাতা ও কোপতার উল্টা দিক দিয়া বাদীসহ তার স্ত্রী কন্যাকে মারপিট করতে থাকলে তারা প্রাণ বাঁচানোর জন্য ছাদ হতে নীচে নেমে আসে। আসামীগন ক্ষিপ্ত ও হ্রিংস্র হয়ে ছাদ থেকে নেমে আসামী মামুন বাদীর বাম পায়ের হাঁটুর উপরিভাগে স্বজোরে কোপ মারিলে বাদী মাটিতে পড়ে যায়। আসামী সাদিকুল বাদীকে কোপাইতে উদ্যেত হলে বাদীকে বাঁচানোর জন্য তার কন্যা খালেদা তার উপর পড়ে তাকে রক্ষার চেষ্টা করে। খুনি আসামী নিয়ামত বাদীর মেয়ে খালেদার ডান হাত মোচড়াইয়া ধরে এবং সাদিকুলের হাত হতে ধারালো কাতা লইয়া হত্যার জন্য খালেদার ঘাড়ে একাধিক কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। প্রচুর রক্তক্ষরনের কারনে খালেদা নিস্তেজ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও অন্যান্য আসামীগণ লাদনা দিয়ে খালেদার শরীরসহ বাদীর অপর কন্যা ও স্ত্রীকে আঘাত করে আহত করে। ইতোমধ্যে সেখানে লোকজন উপস্থিত হলে আসামীগন সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর পিতা মোঃ সবুর আলী(৬৬) বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ১৫ জন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ৬ জুলাই ২০২৫ তারিখ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
রোববার (২০ জুলাই) রাত ৩টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানাধীন গোলাবাড়ী এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন চৈতন্যপুর গ্রামের মৃত সলেমান আলীর ছেলে মোঃ সাদিকুল ইসলাম (৩৮) ও একই গ্রামের মোঃ সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ মোকতারা বেগম (৩২)।
রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-৫ সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, অত্র মামলার বাদী ও আসামীগন পরস্পর জ্ঞাতিগোষ্টি, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পৈত্রিক বসত ভিটায় বাড়িঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে । প্রায় এক বৎসর পূর্বে বাদী তার ভাগের জমিতে বাড়ী ঘর তৈরী করার উদ্যোগ গ্রহন করলে আসামীগণ তাকে বাড়ী ঘর নির্মানে বাঁধা প্রদান করে। ফলে বাদী তাদের ভিটের জমি মাপজোখ করার জন্য গ্রাম্য শালিস ডাকেন। শালিসদারগন উভয়ের জমির সীমানা মাপজোখ করে দেখতে পায় যে, আসামীগণ বাদীর প্রাপ্য জমির প্রায় এক ফুট ভিতরে বাড়ী ঘর নির্মান করেছেন। আসামীদের পাকা বাড়ী ভেঙ্গে দখলকৃত জমি উদ্ধার করা সম্ভব নয় মর্মে জমি বাবদ বাদীকে ক্ষতিপুরন প্রদান করার জন্য শালিসদারগন আসামীগনকে বলে কিন্তু আসামীগণ শালিসদারগনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এবং বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ।
গত ৫ জুলাই ২০২৫, বাদী তার নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে এবং বাদীসহ তার স্ত্রী ও কন্যা খালেদা বেগম, লিপি বেগম কাজে সাহায্য/ তদারকি করেন। এমন সময় পূর্ব পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রমূলে এজাহারনামীয় আসামীগণ হাতে হাঁসুয়া, কাতা, লাঠি, লাদনা, লোহার রড ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ছাদ হতে বাদীর ছাদে আসে এবং তাদের হাতে থাকা লাঠি লাদনা ও লোহার রড়, হাঁসুয়া, কাতা ও কোপতার উল্টা দিক দিয়া বাদীসহ তার স্ত্রী কন্যাকে মারপিট করতে থাকলে তারা প্রাণ বাঁচানোর জন্য ছাদ হতে নীচে নেমে আসে। আসামীগন ক্ষিপ্ত ও হ্রিংস্র হয়ে ছাদ থেকে নেমে আসামী মামুন বাদীর বাম পায়ের হাঁটুর উপরিভাগে স্বজোরে কোপ মারিলে বাদী মাটিতে পড়ে যায়। আসামী সাদিকুল বাদীকে কোপাইতে উদ্যেত হলে বাদীকে বাঁচানোর জন্য তার কন্যা খালেদা তার উপর পড়ে তাকে রক্ষার চেষ্টা করে। খুনি আসামী নিয়ামত বাদীর মেয়ে খালেদার ডান হাত মোচড়াইয়া ধরে এবং সাদিকুলের হাত হতে ধারালো কাতা লইয়া হত্যার জন্য খালেদার ঘাড়ে একাধিক কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। প্রচুর রক্তক্ষরনের কারনে খালেদা নিস্তেজ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও অন্যান্য আসামীগণ লাদনা দিয়ে খালেদার শরীরসহ বাদীর অপর কন্যা ও স্ত্রীকে আঘাত করে আহত করে। ইতোমধ্যে সেখানে লোকজন উপস্থিত হলে আসামীগন সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম এর পিতা মোঃ সবুর আলী(৬৬) বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ১৫ জন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে ৬ জুলাই ২০২৫ তারিখ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।