সিংগাইরের বেইলি সেতুটি মরণফাঁদ, নতুন না সংস্কারের আশ্বাস

আপলোড সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৩:৩০:১০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৩:৩০:১০ অপরাহ্ন
প্রায় আট বছর হলো মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নে, জৈইল্যা খালের ওপর একটি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের সময়  স্থানীয়দের মধ্যে আশার  আলো সঞ্চার হয়। কিন্তু এই সেতুটিই এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। কাঠের পাটাতনে তৈরি হয়েছে বড় বড় ছিদ্র। নড়বড়ে অবকাঠামোর কারণে ঝুঁকিতে, যে কোন সময়  সেতু ভেঙে পানিতে পড়বে, এতে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।

প্রতিদিন এই সেতুটি দিয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ যাতায়াত করেন।
এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করা হোক। বহুবার কতৃপক্ষের নিকট বিষয় টি জানানের পর ও কোন ফলাফল জনগন পায়নি। বর্তমানে জনপ্রতিনিধি কাছ থেকে সেতুটি সংস্কার কথা উঠেছে।  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ মিলেছে সেতুটি সংস্কারের আশ্বাস।

বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় মাত্র ২ লাখ টাকা ব্যয়ে জৈল্যা খালের ওপর প্রায় ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এর পর আর কোন কাজ করা হয় নাই।

সম্প্রতি সেতুটিতে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর রেলিং ভেঙে পড়েছে। কাটের পাটাতনের উপর অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র। কোথাও কাঠ উঠে গিয়ে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল চালিয়ে ব্রিজ পার হওয়াটাই যেন রীতিমতো এক দুঃসাহসিক অভিযান।

সেতুর দক্ষিণ পাশেই অবস্থিত জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা।

স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে তারা ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্রিজটি এখন জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিতে পরিণত হয়েছে। তাদের আশঙ্কা-যেকোনো মুহূর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, সংস্কারের আশ্বাস বহুবার পেলেও বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ তারা দেখেননি। এ অবস্থায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]