রাজশাহীতে নদী ভাঙনে বিপন্ন বসতি, ফসলি জমি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

আপলোড সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ০৪:০০:১২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ০৪:০০:১২ অপরাহ্ন
রাজশাহী বিভাগজুড়ে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পদ্মা, যমুনা ও মহানন্দা নদীর পানি হু হু করে বাড়তে থাকায় ঝুঁকিতে পড়েছে নদীতীরবর্তী বিস্তীর্ণ জনপদ, ফসলি জমি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বর্ষার শুরুতেই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও জমিজমা। কোথাও কোথাও অস্থায়ী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আবার কোথাও মূল বাঁধে ভাঙন ধরেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেললেও স্থানীয়রা বলছেন, এতে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হচ্ছে না।

গত দুই সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে রাজশাহীতে। কিন্তু গোদাগাড়ীর নিমতলা, নগরীর পঞ্চবটি থেকে তালাইমারি, চারঘাটের টাঙ্গন ও বাঘার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নেই কোনো স্থায়ী শহর রক্ষা বাঁধ। বর্ষা মৌসুমে অস্থায়ী এসব বাঁধ নদীর প্রবল স্রোতে দুর্বল হয়ে পড়ছে, ফলে ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নদীতীরবর্তী মানুষ।

যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, কাজিপুর ও শাহজাদপুর উপজেলা। সবচেয়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী, পাঁচঠাকুরি, শিমলা, ব্রাহ্মণবইরা ও জিয়া মোড় এলাকায়। কয়েক দিনের অব্যাহত ভাঙনে মূল বাঁধের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই এলাকায় এখনো কোনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান। তিনি বলেন, 'স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প না থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।'

বগুড়ার সারিয়াকান্দির ইছামারা এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাঁধ থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরত্বে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। হুমকিতে রয়েছে আরও কয়েক কিলোমিটার এলাকা। বাঁধ রক্ষায় প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নতুন নতুন এলাকায় ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, 'আপদকালীন সময়ে কিছু বাঁধে জরুরি কাজের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

চাঁপাইনবাবগঞ্জের দেবিনগর এলাকায় মহানন্দা নদীতে বর্ষার শুরুতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর পানি বাড়ায় সদর উপজেলার নারায়নপুর, চরবাগডাঙ্গা, শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাও রয়েছে তীব্র ভাঙনের হুমকিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব জানিয়েছেন, দ্রুত ভাঙন শুরু হওয়া এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে।

রাজশাহী বিভাগজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ নদী তীরের পরিমাণ প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১২০টি স্থানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]