দুই কমিশনারসহ এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

আপলোড সময় : ০৩-০৭-২০২৫ ০৪:৫২:৫২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৩-০৭-২০২৫ ০৪:৫২:৫২ অপরাহ্ন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দুই কমিশনারসহ আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে  দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকাসহ একাধিক নেতৃবৃন্দ রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা হলেন- কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট ঢাকা পূর্ব জোনের কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা, উপ-কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া এবং কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ।

এর আগে গত রোববার ও সোমবার ১১ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা বলেছিল সংস্থাটি। তাদের অনেকেই এনবিআরের  ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির ‘নেতৃত্বে’ ছিলেন।

দুদকে জমাকৃত অভিযোগ সূত্রে  জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুসের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে, প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন বলে জানা যায়।

অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ-কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাব-নিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরও অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা টাকা। অনুরূপভাবে, বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকুরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও ক্ষেত্র বিশেষে আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীত, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। 

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]