
বৃষ্টিবাদলার দিনে বার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট! গরম, মশা, অন্ধকার, আলোহীন জীবনের সঙ্গে রোজের বোঝাপড়া চলতেই থাকে। তবে এখন ঘরে ঘরে ফ্রিজ চলে আসায় সেটির সঙ্গেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে জীবন। তাই যে কোনও তাপমাত্রাতেই খাবারদাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কারণ, ফ্রিজ এসে যাওয়ার পর থেকে খাবার সংরক্ষণ আদপে কঠিন নয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে বার বার লোডশেডিং হয়ে গেলে ফ্রিজে থাকা খাবারগুলির পচনের সম্ভাবনা থাকে। কেবল খাবার নয়, মশলাপাতি সমেত সবই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির দিনে কী ভাবে পচনের হাত থেকে রক্ষা করবেন খাবার?
১। লোডশেডিংয়ের সময়ে ফ্রিজের দরজা বার বার খোলা-বন্ধ করবেন না। তাতে তাপমাত্রার হেরফের হতে থাকে। যত বার ফ্রিজ খুলবেন, তত বার ভিতরের তাপমাত্রা উষ্ণ হতে থাকবে। আর খাবারে দ্রুত পচন ধরতে পারে। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ না ফেরা পর্যন্ত ফ্রিজ না খোলাই ভাল। যদি খুব প্রয়োজন হয়, এক বার ফ্রিজ খুলে দ্রুত জিনিস বার করে আবার বন্ধ রাখুন।
২। ফ্রিজের প্রস্তুতকর্তারা যে তাপমাত্রা স্থির করে দিয়েছিলেন, সেটিতেই রেখে দেওয়া উচিত। ফ্রিজের উপর ডিজিটাল ইন্ডিকেটর না থাকলে থার্মোমিটার দিয়ে তাপমান পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
৩। এই সময়ে ফ্রিজের ভিতরে অতিরিক্ত কিছু না রাখাই ভাল। খাবার, পানীয়, মশলাপাতি, শাকসব্জিতে ভর্তি করে ফেললে ফ্রিজের ভিতরে বায়ু চলাচল করতে পারে না। আপনার এলাকায় কি ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে? তা হলে এই নিয়মটি গোটা বর্ষাকাল জুড়েই মেনে চলতে হবে। তা সে বিদ্যুৎ থাকুক আর না থাকুক। খেয়াল রাখবেন, এয়ার ভেন্ট অথবা ঠিক যে ঝাঁঝরি দিয়ে হাওয়া বেরোচ্ছে, সেটির সামনে যেন কিছু বসানো না হয়। তাতে হাওয়া আটকে যায়।
৪। কখনওই গরম খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে যদি বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে আপনার এলাকায়। খাবারটি ঘরের তাপমানে আসার পর ফ্রিজে রাখা উচিত।
৫। ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে এখন? এক বারে বেশি খাবার রান্না করে ফ্রিজে না রাখাই ভাল। এক বা দু’বেলার মতো খাবার রেঁধে নিলে ফ্রিজে বেশি ক্ষণ রাখার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম। এমনিতেও যত বাসি করে খাবেন, ততই পুষ্টিগুণ হারাবে খাবারটি।
৬। খাওয়ার সময় পরীক্ষা করে নেবেন, সব ঠিক আছে কি না। যেটির গন্ধ শুঁকে সন্দেহ হচ্ছে, সেটি ফেলে দিন। চেখে পরখ করতে হবে না। তাতে বিষক্রিয়া হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া রং পরিবর্তন হলেও ফেলে দেওয়া উচিত। যে খাবারগুলিতে দ্রুত পচন ধরে, তা হল, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, যেমন পনির, ছানা, দই, সয়া দুধ, লস্যি, ক্ষীর, ক্রিম বা মালাই, পাশাপাশি কাঁচা ডিম, শক্ত ভাবে সিদ্ধ করা ডিম, রান্না করা ডিম, ডিম দিয়ে তৈরি কাস্টার্ড এবং পুডিং, কাঁচা বা রান্না করা মাংস এবং সামুদ্রিক খাবার। কাটা ফল, স্যালাড এবং কাটা সব্জির সঙ্গে তরকারি, ডাল এবং সব্জিও সাবধানে রাখতে হয়। আগে থেকেই ঘাঁটাঘাঁটি হয়ে গেলে রান্না করা খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বিদ্যুৎ চলে গেলে আগেভাগে এগুলি ফ্রিজ থেকে বার করে ফ্রিজ়ার বা ডিপ ফ্রিজে রেখে দেওয়া উচিত।
৭। ঘরে আইস ব্যাগ রেখে দেওয়া উচিত। যাতে এমন আপৎকালীন সময়ে কাজে লাগতে পারে। আইস ব্যাগগুলি খাবারের সংস্পর্শে থাকলে মেয়াদ বাড়তে পারে খাবারের। পাশাপাশি, আইস বক্সও পাওয়া যায়। যাতে খাবার ভরে রাখলেও দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারেন।
১। লোডশেডিংয়ের সময়ে ফ্রিজের দরজা বার বার খোলা-বন্ধ করবেন না। তাতে তাপমাত্রার হেরফের হতে থাকে। যত বার ফ্রিজ খুলবেন, তত বার ভিতরের তাপমাত্রা উষ্ণ হতে থাকবে। আর খাবারে দ্রুত পচন ধরতে পারে। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ না ফেরা পর্যন্ত ফ্রিজ না খোলাই ভাল। যদি খুব প্রয়োজন হয়, এক বার ফ্রিজ খুলে দ্রুত জিনিস বার করে আবার বন্ধ রাখুন।
২। ফ্রিজের প্রস্তুতকর্তারা যে তাপমাত্রা স্থির করে দিয়েছিলেন, সেটিতেই রেখে দেওয়া উচিত। ফ্রিজের উপর ডিজিটাল ইন্ডিকেটর না থাকলে থার্মোমিটার দিয়ে তাপমান পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
৩। এই সময়ে ফ্রিজের ভিতরে অতিরিক্ত কিছু না রাখাই ভাল। খাবার, পানীয়, মশলাপাতি, শাকসব্জিতে ভর্তি করে ফেললে ফ্রিজের ভিতরে বায়ু চলাচল করতে পারে না। আপনার এলাকায় কি ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে? তা হলে এই নিয়মটি গোটা বর্ষাকাল জুড়েই মেনে চলতে হবে। তা সে বিদ্যুৎ থাকুক আর না থাকুক। খেয়াল রাখবেন, এয়ার ভেন্ট অথবা ঠিক যে ঝাঁঝরি দিয়ে হাওয়া বেরোচ্ছে, সেটির সামনে যেন কিছু বসানো না হয়। তাতে হাওয়া আটকে যায়।
৪। কখনওই গরম খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে যদি বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে আপনার এলাকায়। খাবারটি ঘরের তাপমানে আসার পর ফ্রিজে রাখা উচিত।
৫। ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে এখন? এক বারে বেশি খাবার রান্না করে ফ্রিজে না রাখাই ভাল। এক বা দু’বেলার মতো খাবার রেঁধে নিলে ফ্রিজে বেশি ক্ষণ রাখার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম। এমনিতেও যত বাসি করে খাবেন, ততই পুষ্টিগুণ হারাবে খাবারটি।
৬। খাওয়ার সময় পরীক্ষা করে নেবেন, সব ঠিক আছে কি না। যেটির গন্ধ শুঁকে সন্দেহ হচ্ছে, সেটি ফেলে দিন। চেখে পরখ করতে হবে না। তাতে বিষক্রিয়া হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া রং পরিবর্তন হলেও ফেলে দেওয়া উচিত। যে খাবারগুলিতে দ্রুত পচন ধরে, তা হল, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, যেমন পনির, ছানা, দই, সয়া দুধ, লস্যি, ক্ষীর, ক্রিম বা মালাই, পাশাপাশি কাঁচা ডিম, শক্ত ভাবে সিদ্ধ করা ডিম, রান্না করা ডিম, ডিম দিয়ে তৈরি কাস্টার্ড এবং পুডিং, কাঁচা বা রান্না করা মাংস এবং সামুদ্রিক খাবার। কাটা ফল, স্যালাড এবং কাটা সব্জির সঙ্গে তরকারি, ডাল এবং সব্জিও সাবধানে রাখতে হয়। আগে থেকেই ঘাঁটাঘাঁটি হয়ে গেলে রান্না করা খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই বিদ্যুৎ চলে গেলে আগেভাগে এগুলি ফ্রিজ থেকে বার করে ফ্রিজ়ার বা ডিপ ফ্রিজে রেখে দেওয়া উচিত।
৭। ঘরে আইস ব্যাগ রেখে দেওয়া উচিত। যাতে এমন আপৎকালীন সময়ে কাজে লাগতে পারে। আইস ব্যাগগুলি খাবারের সংস্পর্শে থাকলে মেয়াদ বাড়তে পারে খাবারের। পাশাপাশি, আইস বক্সও পাওয়া যায়। যাতে খাবার ভরে রাখলেও দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারেন।