দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে হতাশা বিরাজ করছে। গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়ার দাম মাত্র ১০ টাকা। আর ভেড়ার চামড়া নিতেই চায় না কেউ। বাধ্য হয়ে অনেকেই ছাগল ও ভেড়ার চামড়া রাস্তা বা নদীতে ফেলে দিচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা বকেয়া পরিশোধ না করায় পুঁজি সংকটে পড়েছেন তারা। এ ছাড়া চামড়া সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রক্রিয়াকরণ খরচও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিনে ঈদের পরদিন থেকে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল পর্যন্ত পৌর শহরের নিমতলা মোড় এলাকায় দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে চামড়া বিক্রি করতে এসেছেন। কিন্তু আশানুরূপ দাম না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ ও হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
সরকারি দামে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ঢাকায় ৬০–৬৫ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৫৫–৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ছাগলের চামড়া ২ হাজার –২২ টাকা, খাসির ২ হাজার ২–২৭ টাকা এবং ভেড়ার ১ হাজার ৮–২০ টাকা। কিন্তু বাস্তবে বাজারে তার ছিটেফোঁটাও মিলছে না।
বিক্রেতা মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গরুর চামড়া ৩৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। ছাগলের চামড়ার দাম বলল মাত্র ১০ টাকা। বিক্রি না করে ছোট যমুনা নদীতে ফেলে দিয়েছি।’
আরেকজন বিক্রেতা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ‘চামড়ার কোনো দাম নেই। মাদ্রাসায় দিতে চাইলেও তারা নিতে চায়নি। তাই ইউটিউব দেখে নিজেই কিছু বানানোর চেষ্টা করব।’
স্থানীয় মৌসুমী ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ হাশমি ও কোরবান আলী জানান, ‘মহাজনদের কাছে বাকিতে চামড়া দিয়ে সময়মতো টাকা না পাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে তারা ক্ষতির মুখে। ফলে অনেকে পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা ছেড়েছেন।’
ব্যবসায়ী আলী আকবর হাশমি বলেন, ‘ঢাকার ট্যানারিগুলো সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া না কেনায় আমরাও সেই দামে কিনতে পারছি না। গরুর চামড়া কিনেছি ৩০০-৭০০ টাকায়, ছাগলের ১০ টাকা। বকরি ও ভেড়ার চামড়া কেউ নেয়নি। এর উপর লবণের দাম বেড়ে প্রক্রিয়াকরণ ব্যয়ও বেড়েছে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, ‘কেন বিক্রেতারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে।’ ##
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা বকেয়া পরিশোধ না করায় পুঁজি সংকটে পড়েছেন তারা। এ ছাড়া চামড়া সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রক্রিয়াকরণ খরচও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বেশি দামে চামড়া কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিনে ঈদের পরদিন থেকে মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল পর্যন্ত পৌর শহরের নিমতলা মোড় এলাকায় দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে চামড়া বিক্রি করতে এসেছেন। কিন্তু আশানুরূপ দাম না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ ও হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
সরকারি দামে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ঢাকায় ৬০–৬৫ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৫৫–৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ছাগলের চামড়া ২ হাজার –২২ টাকা, খাসির ২ হাজার ২–২৭ টাকা এবং ভেড়ার ১ হাজার ৮–২০ টাকা। কিন্তু বাস্তবে বাজারে তার ছিটেফোঁটাও মিলছে না।
বিক্রেতা মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গরুর চামড়া ৩৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। ছাগলের চামড়ার দাম বলল মাত্র ১০ টাকা। বিক্রি না করে ছোট যমুনা নদীতে ফেলে দিয়েছি।’
আরেকজন বিক্রেতা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ‘চামড়ার কোনো দাম নেই। মাদ্রাসায় দিতে চাইলেও তারা নিতে চায়নি। তাই ইউটিউব দেখে নিজেই কিছু বানানোর চেষ্টা করব।’
স্থানীয় মৌসুমী ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ হাশমি ও কোরবান আলী জানান, ‘মহাজনদের কাছে বাকিতে চামড়া দিয়ে সময়মতো টাকা না পাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে তারা ক্ষতির মুখে। ফলে অনেকে পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা ছেড়েছেন।’
ব্যবসায়ী আলী আকবর হাশমি বলেন, ‘ঢাকার ট্যানারিগুলো সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া না কেনায় আমরাও সেই দামে কিনতে পারছি না। গরুর চামড়া কিনেছি ৩০০-৭০০ টাকায়, ছাগলের ১০ টাকা। বকরি ও ভেড়ার চামড়া কেউ নেয়নি। এর উপর লবণের দাম বেড়ে প্রক্রিয়াকরণ ব্যয়ও বেড়েছে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, ‘কেন বিক্রেতারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হবে।’ ##