নওগাঁর পত্নীতলায় একটি মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় মুসল্লির ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কমিটির সেক্রেটারি ওবাইদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এতে আহত হয়েছেন দু'জন। অভিযুক্ত ওবাইদুল ইসলাম চৌধুরী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) তারাবির নামাজের পর উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের মধইল ইসলামী আলিম মাদ্রাসার মাঠে এ ঘটনা ঘটে । আহতদের পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- মধইল উত্তর পাড়া এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন (৪৬) ও তার ছেলে আরাফাত হোসেন (২১)। তারা সম্পর্কে দুজনেই বাবা-ছেলে।
আহত বেলাল হোসেন বলেন, বাড়ির পাশেই মসজিদটি। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ সেখানেই আদায় করি। মসজিদে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছি কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইচ্ছামত আদায় ও খরচ করে সেগুলো হিসাব কাউকে দেখায় না। কয়েকদিন আগে একবার আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েছিলাম। তারপর থেকেই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়টি নিয়ে রাগান্বিত। এরই জেরে ২৭ শে রমজান তবারক হিসেবে জিলাপি, ইমাম-মুয়াজ্জিনের হাদিয়া বিষয়ে আলোচনা চলে। এ আলোচনার এক পর্যায়ে আমার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবাইদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তারাবির নামাজ পড়ে মিলাদে জিলাপি ও ইমাম মুয়াজ্জিনের হাদিয়া সম্পর্কে আলোচনা চলে। আমার বিরুদ্ধে বেলালকে মারার অভিযোগ সঠিক নয়, মসজিদ থেকে চলে যাবার পর মাঠে আমার ছেলে ও ভাইয়ের সঙ্গে মারামারি হয়ে জখম হতে পারে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শুনলাম সেক্রেটারির কাছে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় তাদের উপর হামলা হয়। যা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মোটেও কাম্য নয়।
পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় মারামারির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।