বিশ্ব নারী ক্রিকেটে এক নতুন সূর্যোদয় ঘটাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেয়েরা


ক্রীড়া ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 04-05-2025

বিশ্ব নারী ক্রিকেটে এক নতুন সূর্যোদয় ঘটাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেয়েরা

বিশ্ব নারী ক্রিকেটে এক নতুন সূর্যোদয় ঘটাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেয়েরা। প্রথমবারের মতো আইসিসির ওয়ানডে স্ট্যাটাস অর্জন করেছে তারা। ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের চক্রের জন্য এই স্ট্যাটাস কার্যকর হবে। আর তাদের এই অর্জনে কপাল পুড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের। তাদের হটিয়েই ইউএই-এর মেয়েরা ইতিহাস গড়েছে। 

মূলত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে সুখবর শুনিয়েছে আইসিসি। গেল পরশু সংস্থাটির ঘোষিত নতুন চক্রে ১৬টি নারী দলকে ওয়ানডে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচটি সহযোগী দেশ রয়েছে। তারা হলো থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাপুয়া নিউ গিনি (পিএনজি), স্কটল্যান্ড এবং নতুন সংযোজন হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। টি টোয়েন্টিতে শক্তিশালী পারফরম্যান্স করেই ১৬তম দল হিসেবে যুক্ত হয়েছে তারা। 

আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ড (১১তম) ও স্কটল্যান্ড (১২তম) ওয়ানডে মর্যাদা ধরে রেখেছে। আর পাপুয়া নিউগিনি (১৩) ও নেদারল্যান্ডস (১৫) সেই মর্যাদা পায় তাদের টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে। নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বার্ষিক হালনাগাদকৃত র‍্যাংকিংয়ে এসব দেশের পরই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত; যা তাদের ওয়ানডের মর্যাদা পেতে ভূমিকা রেখেছে। সাধারণত ওয়ানডে স্ট্যাটাস পেতে তিন-চার বছরের চক্রে ফরম্যাটটিতে একটি দলকে ন্যূনতম আটটি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি র‍্যাংকিংয়েও উন্নতি করতে হয়। 

এদিকে মর্যাদা অর্জনের পেছনে ছিল বছরের পর বছর পরিশ্রম, সীমিত সুযোগেও মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলা একদল মেয়ে, যারা ক্রিকেটকে ভালোবেসে মাঠে নেমেছিল বুকভরা সাহস নিয়ে। তাতেই হয়েছে এই অর্জন। তাই এই ঐতিহাসিক প্রাপ্তির পর উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেননি ইউএই ক্রিকেট বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান খালিদ আল জারুনি। 

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'এই অর্জন আমাদের নারী ক্রিকেটের জন্য এক বিশাল মাইলফলক। আমি অধিনায়ক ঈশা ওজা, পুরো দল, কোচিং স্টাফসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা যেভাবে নিজেদের প্রমাণ করেছে, তা আমাদের গর্বিত করেছে। আমাদের নারীদের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে লড়াই করার পথ এখন আরও প্রশস্ত হলো।' 

এছাড়া এমন প্রাপ্তির পর অধিনায়ক ঈশা ওজার কণ্ঠেও ছিল আবেগের ছোঁয়া। তিনি বলেন, 'আমরা যেখানে ছিলাম, আজ সেখানে নেই। অনেকটা উন্নতি হয়েছে, অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। তবে এই পথচলাটা সহজ ছিল না।'


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]