আকাশ থেকে ‘মৃত্যুদূত’-এর নিখুঁত নিশানা, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রে ইরাকে হত আইএস-এর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 15-03-2025

আকাশ থেকে ‘মৃত্যুদূত’-এর নিখুঁত নিশানা, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রে ইরাকে হত আইএস-এর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’

২০২৩ সালে আবু খাদিজাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা। ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএসের দায়িত্বে ছিলেন খাদিজা। আইএসের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ বলা হত তাঁকে।

একেবারে নিখুঁত নিশানা। আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর ‘গ্লোবাল অপারেশন’-এর প্রধান আবদাল্লা মাক্কি মুসলিহ আল-রিফাই ওরফে আবু খাদিজার গাড়ি লক্ষ্য করে আকাশ থেকে সাক্ষাৎ ‘মৃত্যুদূত’ নেমে আসে। তার পরই একটা বিস্ফোরণ। উদ্ধার হয় আইএস প্রধানের দেহ। মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আবদাল্লার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ইরাক।

ইরাকের গোয়েন্দা দফতর, নিরাপত্তাবাহিনী এবং মার্কিন বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ইরাকের আল আনবার প্রদেশে অভিযান চালানো হয়। গাড়িতে যাচ্ছিলেন আবু খাদিজা এবং এক সঙ্গী। সেই সময়ে আকাশ থেকে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় আমেরিকা। হামলার পর পরই ওই এলাকায় যায় মার্কিন বাহিনী সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এবং ইরাকের বাহিনী। তারাই আবু খাদিজা এবং তাঁর এক সঙ্গীকে শনাক্ত করে।

আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষনেতার মৃত্যুতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘ইরাকে আইএস-এর অন্যতম মাথা নিহত হয়েছেন। অনেক দিন ধরেই খোঁজা হচ্ছিল।’’ গত ১৩ মার্চ আল আনবার প্রদেশে মার্কিন বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন আবু খাদিজা।

সেন্টকম সূত্রে খবর, দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের শরীরে বিস্ফোরক বাঁধা পোশাক ছিল। শুধু তা-ই নয়, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্রও ছিল তাঁদের সঙ্গে। আবু খাদিজার দেহ ডিএন পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগেও হামলায় বেঁচে গিয়েছিলেন আইএসের এই শীর্ষনেতা। ২০২৩ সালে আবু খাদিজাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা। ইরাক এবং সিরিয়ায় আইএসের দায়িত্বে ছিলেন খাদিজা। আইএসের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ বলা হত তাঁকে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]