গ্রেফতার তালিকায় মাফিয়াচক্রের সদস্যরা, গর্জে উঠবে দুদক


অনলাইন ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 12-12-2024

গ্রেফতার তালিকায় মাফিয়াচক্রের সদস্যরা, গর্জে উঠবে দুদক

অনুসন্ধান প্রায় শেষের পথে। সংগ্রহ করা হয়েছে রেকর্ডপত্র। অনুমোদন মিললেই দায়ের হতে পারে এফআইআর। ফ্যাসিস্ট হাসিনা রেজিমে সংঘটিত বড় বড় দুর্নীতির এমন অন্তত: শতাধিক মামলার এম.ই. (মেমো অব এভিডেন্স) প্রস্তুত হয়ে আছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। প্রস্তুত হয়ে আছে ৪০টির বেশি তদন্ত প্রতিবেদন। এর মধ্যে যেমন বড় অঙ্কের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি রয়েছে। তেমনি রয়েছে ব্যক্তি পর্যায়ে সংঘটিত শত শত কোটি টাকা লুন্ঠনের মামলা। এসব মামলায় গ্রেফতার হবেন চিহ্নিত বহু রাঘব বোয়াল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার মাসে এমন বিপুল প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। কমিশনের অনুমোদন পেলে তারা ‘অ্যাকশন’এ যেতে প্রস্তুত। সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে পুনর্গঠিত কমিশন যোগদান করেন গতকাল। (আজ) বৃহস্পতিবার থেকে নয়া কমিশনের পুরোদমে কার্যক্রম শুরুর কথা।

আলাপচারিতায় দুদক কর্মকর্তারা জানান, রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা পেয়ে গিয়েছিলেন চূড়ান্ত বার্তা। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দুই নায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম গত ২৯ আগস্ট দুদক পরিদর্শন করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা সেদিনই পেয়ে যান স্পষ্ট বার্তা। অবশ্য প্রস্তুতি চলতে থাকে তারও আগে থেকে।

ভারত পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা দেড় দশকে বহু মাফিয়ার জন্ম দেন। তাদের দুর্নীতির রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করতে থাকেন কর্মকর্তারা। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা জানেন, হাসিনার দাসে পরিণত হওয়া মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহর কমিশন বিদায় নিলে লক্ষ্যবস্তু হবেন হাসিনা সৃষ্টি মাফিয়াচক্র। কিন্তু সব মাফিয়ার বিরুদ্ধেই আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানের ঘোষণা দেয়া হয়নি। টের পেলে তারা দেশ ছাড়তে পারেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে শুরু হয় গোয়েন্দা অনুসন্ধান। তবে গোপনসূত্রে আগাম বার্তা পেয়ে আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে বহু মাফিয়ার দেশত্যাগ আটকে দেয়া হয়। এখন মামলা দায়েরের পাশাপাশি তাদের করা হবে গ্রেফতার। নতুন অনুসন্ধান, মামলা দায়ের, গ্রেফতার এবং চলমান অনুসন্ধান-তদন্তে গতি এনে হাসিনার দুর্নীতি-দুর্গে প্রচ-রকম আঘাত হানার অপেক্ষা।

সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা : আইগতভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বশাসিত স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আইনগতভাবে কোনো দুর্বলতা নেই বললেই চলে। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে বিশেষ কিছু এখতিয়ার ও ক্ষমতা। যতটুকুন আইনি সীমাবদ্ধতা ছিলো, গত ২০ বছরে সেগুলো আদালতের মাধ্যমে সেগুলো জাস্টিফায়েড হয়েছে। ফলে আইনিভাবে কমিশন কার্যক্রমকে ব্যাহত করার তেমন সুযোগ নেই। অভাব রয়েছে সদিচ্ছার। সদিচ্ছার অভাবেই হাসিনার শাসনামলে দুদককে অনুগত দাসে পরিণত করা সম্ভব হয়। স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে কার্যত: বানিয়ে রাখা হয় মেরুদ-হীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্ভর, ফুট-ফরমায়েশ খাটা ঠ্যাঙ্গারে প্রতিষ্ঠান। গোলাম রহমান থেকে শুরু করে সবশেষ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ পর্যন্ত প্রায় একই রকম পারফর্মেন্স দেখায় দুদক। শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্য, মন্ত্রী-এমপি, তাদের পার্শ্ব ঘিরে থাকা স্তাবকরা দুস্যুবৃত্তিতে নিয়োজিত থাকলেও দুদক তাদের দুর্নীতির তদন্ত প্রশ্নে ছিলো অন্ধ। আওয়ামী দলীয় প্রায় সবাইকে দেয়া হয় দায়মুক্তি। পক্ষান্তরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দুর্নীতির কোনো সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও দায়ের করা হয় হয়রানিমূলক মামলা। করা হয় গ্রেফতার। প্রতিষ্ঠানটিকে এই ট্র্যাডিশন থেকে বের করে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন নতুন কমিশন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয় সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, আমি তিনটি রাজনৈতিক সরকার ও দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্য রাজনৈতিক দলের মতো কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নেই। রাজনৈতিক চাওয়া নেই। এই সরকারের চাওয়া হচ্ছে জনগণকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। এখানে রাজনৈতিক সরকার প্রভাবিত করবে না। আমরাও প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবো। সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন ভাষায় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন নয়া কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। অপর কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রি: জে: (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদও একই মানসকিতার বলে জানান আলি আকবার আজিজী। তিনি শিঘ্রই দুদকে যোগদান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন দুদক চেয়ারম্যান।

দুদক কর্মকর্তারা মনে করছেন, নতুন কমিশন এই প্রত্যয়ে অবিচল থাকলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার এটি হবে মোক্ষম সুযোগ। তাদের মতে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপই দুদককে অনেকাংশে শক্তিহীন করে দেয়। রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অলিখিত দায়িত্ব কর্মকর্তাদের ঘাড়ে চাপালে সেটি হবে দুর্নীতি বিরোধী লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। যথাযথ কর্মকর্তাকে যথা কর্মে নিযুক্তি, তাদের দক্ষতা-যোগ্যতা বিচার, বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন, আওয়ামী আমলে নানাভাবে আনুকূল্য পাওয়া কর্মকর্তাদের পদায়ন পুনর্বিবেচনা করা, দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও বিগত কমিশনে কোণঠাসা ও রোষানলে পড়া কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন, অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি রোধে কার্যকর পদ্ধতি প্রণয়ন, দক্ষ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সৃষ্টি, অনুসন্ধান-তদন্তের দীর্ঘসূত্রতা হ্রাসে কার্যভারের সুষম বণ্টন-ইত্যাদি উদ্যোগ কমিশনকে গতিশীল ও প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হতে পারে।

নেয়া আছে যেসব প্রস্তুতি : দুদকে কমিশন নেই এক মাসের বেশি। এ সময়ে জমা পড়ে অন্তত: ৩ হাজার অভিযোগ। ৫ আগস্ট পট-পরিবর্তনের পর মানুষ তার প্রত্যাশা অনুসারে বহু দুর্র্নীতির অভিযোগ দুদকে দায়ের করেন। এসব অভিযোগের ৯০ ভাগই আওয়ামী সরকার আমলে সংঘটিত দুর্নীতি সংক্রান্ত। কিন্তু হাসিনা অনুগত মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহর মেরুদ-হীনতা কারণে অনুসন্ধানের অনুমতি মেলেনি। কয়েক হাজার অভিযোগ অনুসন্ধান অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। নয়া কমিশন অভিযোগ যাচাই-বাছাই কমিটি (যাবাক) পুনর্গঠন করে তফসিলভুক্ত অভিযোগগুলোর অনুসন্ধান শুরু করতে পারেন।

শেখ হাসিনার সরকার ছিলো মূলত: মাফিয়া সরকার। শেখ হাসিনা স্বয়ং, তার বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা পুতুলসহ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে অবিশ্বাস্য অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। দুদক কর্মকর্তারা তাদের প্রাথমিক তথ্য ও অনেক রেকর্ডপত্র হস্তগত করেছেন। এ তালিকায় হাসিনার পুত্র-কন্যা-বোন ছাড়াও রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র ও হাসিনার ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ ফজলে নূর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে ফাহিম, শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, শেখ হেলালউদ্দীন, শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, নূর-এ-আলম চৌধুরী লিটন, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, ওমর ফারুক চৌধুরী, আব্দুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ রয়েছেন। নিকটাত্মীয়ের মধ্যে রয়েছেন শেখ রেহানার স্বামী ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকী, রেহানার দেবর ও শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, পরশের স্ত্রী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতান যুথীর দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য।

হাসিনা সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের মধ্যে দলের মহাসচিব ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, তার বান্ধবীখ্যাত অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম, ডা: দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত,তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফারুক খান, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র.আ.ম.উবায়দুল মোকতাদির, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), ফরহাদ হোসেন, জুনায়েদ আহমেদ পলক, আব্দুস শহিদ, শ.ম. রেজাউল করিম, কামরুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম সুজন, জিল্লুল হাকিমের দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালে আওয়ামী টিকিটে কিংবা ‘ডামি প্রার্থী’ হিসেবে স্বতন্ত্রী এমপি নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাদেক খান, মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ২০১৮ সালে রাতের ভোটে ‘নির্বাচিত এমপি’ অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ওয়াকিল আহমেদ, আ.ক.ম.বাহারউদ্দীন বাহার, তার মেয়ে কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচী, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ আড়াই শ’ আওয়ামী এমপি’র প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহে রয়েছে।

সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত আগে থেকেই চলমান। অনুসন্ধান চলছে পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহিদুল হক, সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ ওরফে ‘ডিবি হারুন’, পুলিশের বিপ্লব কুমার সরকার, হাবিবুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, সৈয়দ নূরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, ্এনটিএমসি’র সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ব্রি; জেনারেল (অব.) টিএম জোবায়েরসহ ২২ কর্মকর্তার দুর্নীতি,অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ।

তালিকায় ৪০ শিল্প ব্যবসায়ী-শিল্প পরিবার : হাসিনার দীর্ঘ ফ্যাসিজমের অর্থদাতা হিসেবে রয়েছে ৪০টি শিল্প পরিবার, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান,প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, পরিবারের সদস্য এবং বিরুদ্ধে রয়েছে ঋণের নামে ব্যাংক লুট ও ঋণলব্ধ অর্থ বিদেশ পাচারের তথ্য ও রেকর্ডপত্র। এদের মধ্যে এস.আলম গ্রুপ, একই গ্রুপ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নোমান গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ, নূরজাহান গ্রুপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। এসব প্রতিষ্ঠান মালিকদের কেউ গ্রেফতার রয়েছেন। কারো বিরুদ্ধে রয়েছে দেশত্যাগে দুদকের নিষেধাজ্ঞা। দুদক কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের অনুমোদন পেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতেই মামলা করা সম্ভব। তদন্ত পর্যায়ে সংগ্রহ করা হবে রেকর্ডপত্র। প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুসন্ধানে পৃথক টিম রাত-দিন কাজ করছে।

হাসিনার আমলে অবাধ দুর্নীতিতে নিমগ্ন থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, হেলালুদ্দীন, কামাল আব্দুল নাসের, শহিদুল্যাহ খন্দকারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান। এদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে পৃথক টিম কাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন মহাপরিচালক বলেন, দুর্নীতির দমনের পূর্ণ সক্ষমতা দুদকের রয়েছে। আমাদের বড় সঙ্কট ছিলো কমিশন। কমিশন যোগদান করায় আশা করছি দুর্নীতি দমনে দুদক আবারও পূর্ণ সামর্থ নিয়ে গর্জে উঠতে পারবে। নাম প্রকাশে আপত্তি জানিয়ে একজন পরিচালক বলেন, দায়িত্বের যথাযথ বন্টন করা হলে দীর্ঘদিন উপেক্ষিত কর্মকর্তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে। মাফিয়াতন্ত্রের সময় সংঘটিত বিদ্যুৎ খাত, উন্নয়ন খাতের নামে যত দুর্নীতি হয়েছে, অর্থ পাচার হয়েছে সেসবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের কাঠগড়ায় তোলা সম্ভব।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]