পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় নিখোঁজের ৪ দিন পর শাজাহান আলী (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে পাবনা শহরের ছাতিয়ানা পশ্চিম পাড়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীন ওরফে কালা শাহীন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ইয়াকুল নামের আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
সোমবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রাম থেকে শাজাহান আলী মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শাজাহান পাবনা শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে এবং হাসপাতাল সড়কের শাপলা প্লাস্টিক চত্বরে নয়ন ফটোস্ট্যাটের মালিক। অন্যদিকে নিহত শাহীন পাবনা শহরতলীর ছাতিয়ানী পশ্চিম পাড়ার মজনু শেখের ছেলে।
নিহত শাজাহানের স্বজনরা জানান, ৪ দিন আগে শাহজাহান নিখোঁজ হন। এ ৪ দিন তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সোমবার বিকলে আটঘরিয়া উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়ির পেছনে টয়লেটের হাউজ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা সেখানে একটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আমরা যাই। এই বিষয়ে পাবনা সদর থানার একটি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ ছিল। নিহতের স্বজনেরা লাশ সনাক্ত করেছে। তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যার পর মৃতদেহ এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাকে হত্যার পর এখানে ফেলে রেখে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেলে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
অন্যদিকে শাহিনের খুন হওয়ার ঘটনায় পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মেদ জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রবিবার রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন শাহীন ও ইয়াকুলকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয় এবং এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় শাহীনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়। সোমবার বিকেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, সোমবার এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর সময় / এফ কে