রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ে (রাবি) আসন্ন মতিহার হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. মুসা দর্শন বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ, ব্যালট নং-৩) স্বাধীন, অংশগ্রহণমূলক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, বুদ্ধিবৃত্তিক ও শিক্ষার্থী কল্যাণভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তার ইশতেহারে তিনি মতিহার হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একগুচ্ছ যুগান্তকারী পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন। যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রার্থী মো. মুসা দর্শন বিভাগের (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ), শিক্ষার্থী। পদ: ভিপি পদপ্রার্থী ব্যালট নং: ৩।
মো. মুসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার, সোনারামপুর ইউনিয়নের ইছাপুর, গ্রামের বাসিন্দা।
এক নজরে মো. মুসার ইশতেহারের মূল বিষয়গুলো: লেজুরবৃত্তিক ও দলীয় রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ: মো. মুসা তার ইশতেহারে শুরুতেই মতিহার হলে লেজুরবৃত্তিক ও দলীয় রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্ত, স্বাধীন পড়াশোনার উপযোগী আবাসন তৈরিতে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
২. হলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন: সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ গ্যারেজ: আগামী এক মাসের মধ্যে হলের ভেতরের ফাঁকা জায়গা (সিঁড়ির নিচে) সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ গ্যারেজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি এর একটি মডেলও উপস্থাপন করেছেন।
সুপেয় খাবার পানি: হলের তিনটি ব্লকের প্রতিটি ফ্লোরে সাবমার্সিবলের সুপেয় খাবার পানি পিভিসি পাইপ ও ট্যাপের মাধ্যমে সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।
ওয়াশরুম ও বাথরুমের সংস্কার: জলের ওয়াশরুম, বাথরুম যুগোপযোগী সংস্কার (যেমন টাইলস, এক্সহস্ট ফ্যান, পর্যাপ্ত আলো) এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার উপযোগী ওয়াশরুম ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।
উন্নত ডাইনিং ও ক্যান্টিন ব্যবস্থা: হল ব্যবস্থাপনা, ডাইনিং পরিচালনা, পূর্ণাঙ্গ ক্যান্টিন ব্যবস্থা এবং স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহে বিশ্ববিদ্যালয়/হল প্রশাসনের ভর্তুকিমূলক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
আবাসন সংকট নিরসন:
বাঙ্কার বেড মডেল: আবাসন সংকট দূরীকরণে মতিহার হল প্রশাসনের তত্ত্ববাধানে বাঙ্কার বেড মডেল পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গ ডরমেটরি নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রথম বর্ষ থেকে হলে সিট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হল প্রশাসনকে বাধ্য করবেন।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও আর্থিক অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ থেকে আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে তার।
উচ্চগতির ইন্টারনেট: হলে উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হল প্রশাসন ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান (স্টারলিংক) এর সাথে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: মাসিক মতবিনিময় সভা: হল প্রশাসন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে একবার মতিহার হলের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় ও পরামর্শের জন্য আলোচনা সভার আয়োজন করবেন।
কার্যকর অভিযোগ বক্স: একটি কার্যকর অভিযোগ বক্স স্থাপন করবেন এবং নিজে নিয়মিত তত্ত্বাবধান করবেন।
লাইব্রেরি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া: হল লাইব্রেরি ও রিডিং রুমের সংস্কার, সমৃদ্ধি এবং পাঠ উপযোগীতা নিশ্চিত করবেন।
স্পোর্টস রুম, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং সৃজনশীল (বিতর্ক, পাঠচক্র) মুক্তবুদ্ধির চর্চা কার্যক্রমের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
প্রার্থনালয়ের উন্নয়ন: হলের প্রার্থনালয়গুলো প্রার্থনা উপযোগী ও উন্নয়ন করতে কাজ করবেন। যেমন, মসজিদে নিয়মিত সংস্কার, আধুনিকীকরণ, এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম চালু, মন্দিরের আসবাবপত্র, বাসন, বাদ্যযন্ত্র, পূজায় ভর্তুকি বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যকর করবেন।
শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষা: মতিহার হল শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সব সময় তার শক্ত অবস্থান থাকবে এবং শিক্ষার্থীবান্ধব যেকোনো সিদ্ধান্তে তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।
মো. মুসা তার ব্যক্তিগত মতাদর্শে বিশ্বাস করেন, দল বা সংগঠন নয়, বরং সাধারণ শিক্ষার্থীর মতামতই হবে আসল চালিকা শক্তি। তার এই ইশতেহার মতিহার হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে এবং একটি উন্নত ও শিক্ষার্থী-বান্ধব হলের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
মো. মুসার এই বিস্তারিত ইশতেহার প্রকাশের পর মতিহার হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা তুঙ্গে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই মনে করছেন, তার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে মতিহার হলের সামগ্রিক পরিবেশের এক আমূল পরিবর্তন আসবে।
মো. মুসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার, সোনারামপুর ইউনিয়নের ইছাপুর, গ্রামের বাসিন্দা।
এক নজরে মো. মুসার ইশতেহারের মূল বিষয়গুলো: লেজুরবৃত্তিক ও দলীয় রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ: মো. মুসা তার ইশতেহারে শুরুতেই মতিহার হলে লেজুরবৃত্তিক ও দলীয় রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্ত, স্বাধীন পড়াশোনার উপযোগী আবাসন তৈরিতে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
২. হলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন: সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ গ্যারেজ: আগামী এক মাসের মধ্যে হলের ভেতরের ফাঁকা জায়গা (সিঁড়ির নিচে) সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ গ্যারেজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি এর একটি মডেলও উপস্থাপন করেছেন।
সুপেয় খাবার পানি: হলের তিনটি ব্লকের প্রতিটি ফ্লোরে সাবমার্সিবলের সুপেয় খাবার পানি পিভিসি পাইপ ও ট্যাপের মাধ্যমে সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।
ওয়াশরুম ও বাথরুমের সংস্কার: জলের ওয়াশরুম, বাথরুম যুগোপযোগী সংস্কার (যেমন টাইলস, এক্সহস্ট ফ্যান, পর্যাপ্ত আলো) এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার উপযোগী ওয়াশরুম ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।
উন্নত ডাইনিং ও ক্যান্টিন ব্যবস্থা: হল ব্যবস্থাপনা, ডাইনিং পরিচালনা, পূর্ণাঙ্গ ক্যান্টিন ব্যবস্থা এবং স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহে বিশ্ববিদ্যালয়/হল প্রশাসনের ভর্তুকিমূলক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
আবাসন সংকট নিরসন:
বাঙ্কার বেড মডেল: আবাসন সংকট দূরীকরণে মতিহার হল প্রশাসনের তত্ত্ববাধানে বাঙ্কার বেড মডেল পদ্ধতিতে পূর্ণাঙ্গ ডরমেটরি নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রথম বর্ষ থেকে হলে সিট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হল প্রশাসনকে বাধ্য করবেন।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও আর্থিক অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ থেকে আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে তার।
উচ্চগতির ইন্টারনেট: হলে উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হল প্রশাসন ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান (স্টারলিংক) এর সাথে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: মাসিক মতবিনিময় সভা: হল প্রশাসন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে একবার মতিহার হলের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় ও পরামর্শের জন্য আলোচনা সভার আয়োজন করবেন।
কার্যকর অভিযোগ বক্স: একটি কার্যকর অভিযোগ বক্স স্থাপন করবেন এবং নিজে নিয়মিত তত্ত্বাবধান করবেন।
লাইব্রেরি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া: হল লাইব্রেরি ও রিডিং রুমের সংস্কার, সমৃদ্ধি এবং পাঠ উপযোগীতা নিশ্চিত করবেন।
স্পোর্টস রুম, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং সৃজনশীল (বিতর্ক, পাঠচক্র) মুক্তবুদ্ধির চর্চা কার্যক্রমের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
প্রার্থনালয়ের উন্নয়ন: হলের প্রার্থনালয়গুলো প্রার্থনা উপযোগী ও উন্নয়ন করতে কাজ করবেন। যেমন, মসজিদে নিয়মিত সংস্কার, আধুনিকীকরণ, এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম চালু, মন্দিরের আসবাবপত্র, বাসন, বাদ্যযন্ত্র, পূজায় ভর্তুকি বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যকর করবেন।
শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষা: মতিহার হল শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সব সময় তার শক্ত অবস্থান থাকবে এবং শিক্ষার্থীবান্ধব যেকোনো সিদ্ধান্তে তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।
মো. মুসা তার ব্যক্তিগত মতাদর্শে বিশ্বাস করেন, দল বা সংগঠন নয়, বরং সাধারণ শিক্ষার্থীর মতামতই হবে আসল চালিকা শক্তি। তার এই ইশতেহার মতিহার হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে এবং একটি উন্নত ও শিক্ষার্থী-বান্ধব হলের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
মো. মুসার এই বিস্তারিত ইশতেহার প্রকাশের পর মতিহার হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা তুঙ্গে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই মনে করছেন, তার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে মতিহার হলের সামগ্রিক পরিবেশের এক আমূল পরিবর্তন আসবে।